ট্রেন দুর্ঘটনার গল্প ।
আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। কেমন আছেন সবাই? আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি। আজকে একটি ভূতের গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গল্প পড়তে এবং গল্প শুনতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। মাঝে মাঝে যখনই সময় হয় তখন গল্প করার চেষ্টা করি। যাইহোক তাহলে আজকের গল্পটা শুরু করি।
একটা স্কুলের স্যার খুবই সময় এবং নিয়মকানুন মেনে চলতে পছন্দ করেন। কালকে তার বোনের বিয়ে কিন্তু সে আজকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে বোনের বিয়ে উপলক্ষে ছুটি নিতে এসেছে। তখন প্রধান শিক্ষক বলে উঠলো তোমার বোনের বিয়ে সেটা তুমি আগে বলবে না তাহলে আমি তোমাকে এক সপ্তাহ আগে থেকে ছুটি দিয়ে দিতাম। তখন লোকটি বলল না না সমস্যা নেই স্কুলের সামনে পরীক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার ক্ষতি করে আমি ছুটি নিতে চাইনি নিজে থেকে সেজন্যই ছুটি নেওয়া হয়নি। তখন প্রধান শিক্ষক বলছে তোমার দায়িত্ব কর্তব্য দেখে আমি সত্যিই অবাক হই।
বোনের বিয়ে উপলক্ষে লোকটিকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো। খুবই খুশি মনে বাসায় গিয়ে জামা কাপড় গুছিয়ে গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এরপর একটা ট্রেনের মধ্যে উঠে পড়ে ট্রেনে উঠে শুয়ে সারাদিন ক্লাস করার পর খুবই ক্লান্ত ছিল ট্রেনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পর মানুষজনের কথাবার্তায় ঘুম ভাঙ্গে। চোখ খুলে দেখে তার আশেপাশে একটা লোকও নেই। সে বাইরে গিয়ে দেখে কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সে তাদেরকে জিজ্ঞেস করে যে কি হয়েছে তখন বলল ট্রেনের ইঞ্জিন কিছু সমস্যা হয়েছে সমস্যা সারতে অনেকটা সময় লাগবে।
পাশে একটা হোটেল আছে আজকে রাত্রে এখানে কাটাতে হবে। তখন লোকটি একা একা হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় কিছুক্ষণ হাটার পর একটা হোটেল পেয়েও যায়। সেখানে গিয়ে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ম্যানেজার বলল কোন রুম ফাঁকা নেই ট্রেন এর ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার কারণে ট্রেনের সব প্যাসেঞ্জার হোটেলের রুমগুলো বুক করে নিয়েছে। তখন লোকটি অনেক অনুরোধ করার পর তখন একটা লোক বলে উঠল লোকটি মনে হয় ভীষণ বিপদে পড়েছে তাহলে ওই কোনার রুমটা তাহলে লোকটিকে দেওয়া যাক।
লোকটি যখন জানতে পারে যে একটা রুম ফাঁকা আছে তখন লোকটি রাজি হয়ে যায় সেখানে থাকার জন্য। তাদের কাছে অনুরোধ করে ওই রুমটিতে সে থাকতে পারবে লোকগুলো নিষেধ করে কিন্তু তারপরও সে থাকার জন্য রাজি হয়। এরপর তারা তাকে ঐ রুমটি দেওয়ার জন্য রাজি হয়। সেখানে গিয়ে সে ঘুমিয়ে পড়ে ঘুমের মধ্যে। দুবার উঠে দরজা খুলেছিল যেন তাকে দরজার পাশে কেউ ডাকছিল। তৃতীয়বার যখন তার ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় পাশে একটা কঙ্কাল রয়েছে তখন সে খুবই ভয় পায়।
ভয় পাওয়ার পর লোকটি সেখান থেকে রাতের বেলায় বেরিয়ে যায়। আর বেরিয়ে এসে দেখতে পায় ট্রেন ঠিক হয়ে গেছে। তখন সে ট্রেনের মধ্যে আশ্রয় নেয় আর অনেক বেশি ভয় পেয়েছিল এভাবে রাতের বেলা কঙ্কালটি দেখতে পাওয়ার কারণে। এই ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
https://twitter.com/AHP14338073/status/1679177682687528960?t=tT0OZvJc3-Qk1_ly-c2yRg&s=19
লোকটার এরকম দায়িত্ব এবং কর্তব্য দেখে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। স্টুডেন্টদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে তাই তিনি বিয়ের আগের দিন ছুটি নিতে গিয়েছিলেন। লোকটা যদিও অনেক বিপদে পড়ে হোটেলে আশ্রয় নিতে গিয়েছিল, কিন্তু এরকম একটা রুমে কঙ্কাল দেখে সে অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিল। এরকম বিপদের সময় যদি এরকম দৃশ্য দেখা হয় তাহলে সত্যি ভয় লাগে। আপনার গল্পটা পড়ে ভালো লেগেছে আবার ভয়ও লেগেছে।
আসলে এরকম দায়িত্ববান মানুষগুলো খুবই কম রয়েছে। তাইতো স্কুলের এই শিক্ষক বিয়ের আগের দিন ছুটি নিয়ে গিয়েছে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে। তবে তার সাথে অনেক বড় একটা ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটা কিন্তু সত্যি পড়ে আমি ভয় পেলাম। কঙ্কাল এর কথা শুনে আমি ভয় পেয়েছি। যদি বাস্তবে আমি দেখি তাহলে কি করবো আল্লাহই জানে।