দুটি খাবার হোটেলের গল্প (পর্ব -১)
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভালো আছেন। আজকে অনেকদিন পর আপনাদের সাথে আরও একটি গল্প নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার গল্পটি হচ্ছে দুটি খাবারের হোটেলের গল্প। এই গল্পের মাধ্যমে আমি দুটি খাবারের হোটেলের কিছু ঘটনা বর্ণনা করবো আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। সবার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টস এর মাধ্যমে জানাবেন।
একটি গ্রামে দুটি খাওয়ার হোটেল ছিল। যেখানে মানুষ গিয়ে নাস্তা করতো এবং দুপুরে খাবার খেতো। ওই খাওয়ার হোটেলের মধ্যে পুরাতন হোটেলে খাওয়ার সার্ভিস গুলি তেমন উন্নতমানের ছিল না এবং ওই হোটেলে খাওয়ার গুলি তরতাজা পাওয়া যেত না। অপর আরেকটি হোটেলে সব সময় তারতাজা ফ্রেশ খাওয়ার খাওয়াতো কাস্টমারকে এবং খুব সুস্বাদু খাওয়ার পাওয়া যেত।
দুটি খাওয়ার হোটেল পাশাপাশি ছিল। যে খাবার হোটেলটি মানসম্মত ছিলনা ওই খাবার হোটেলের যে কাস্টমার গুলি ছিল সেগুলি অপরদিকে যে নতুন হোটেলটি ছিল সে হোটেলে গিয়ে ভীড় জমালো। প্রতিনিয়ত ওই হোটেলের কাস্টমার না থাকার কারণে পুরাতন হোটেলের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। পরবর্তীতে ওই হোটেলের মালিক চিন্তা করলো এই নতুন হোটেলটিকে শায়েস্তা করতে হবে।
তারপর সে একদিন নতুন হোটেলটির মালিক কে ডেকে তার হোটেলে নিয়ে আসলো এবং তাকে অনেক বকাঝকা করল এবং বলল তোমার কারণে আমার হোটেলের কাস্টমার সবগুলি তোমার হোটেলে চলে গিয়েছে। আমার ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ। তুমি অতি দ্রুত তোমার হোটেলটি ছেড়ে এখান থেকে চলে যাও। নাহলে আমি তোমার অনেক ক্ষতি করব। ও নতুন হোটেলের মালিক কে পুরাতন হোটেলের মালিক অনেক ধমক দিল এবং অনেক ভয় দেখালো।
পরবর্তীতে নতুন হোটেলের মালিক ভয় না পেয়ে সে বলল আমি এখানে এসেছি আমার জায়গায় আমি ব্যবসা করার জন্য তাতে আপনার কি। আপনার যদি কিছু করার থাকে আপনি করেন আমি ব্যবসা করে যাব। পরবর্তীতে পরদিন সকালে ওই নতুন হোটেলের মালিক তার হোটেলে এসে দেখেন হোটেলের আশেপাশে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা এবং দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এরমধ্যে কাস্টমার চলে এসেছে । কাস্টমার এসে দেখতেছে হোটেলের চারপাশে ময়লা এবং দুর্গন্ধ দেখে সব কাস্টমার চলে গেল এবং ওই পুরাতন হোটেলে গিয়ে নাস্তা করে নিল খাওয়া-দাওয়া করে নিল।
তখন নতুন হোটেলের মালিকের আর বুঝতে বাকি রইল না এই কাজটি কে করেছিল। পরবর্তীতে এভাবেই কিছুদিন যেতে লাগলো কিন্তু পুরাতন হোটেলের মালিকের সেই ন্যাক্কারজনক কাজ প্রতিনিয়ত চলতে থাকল। পরবর্তীতে নতুন হোটেলের মালিক অনেক বেশি চিন্তায় পড়ে গেল । এভাবে হলো তো তার সব ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে চলে যেতে হবে। সে অনেক গম্ভীর ভাবে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর সাথে সব কিছু শেয়ার করল। পরবর্তীতে তার স্ত্রী তাকে একটি বুদ্ধি পরামর্শ দিল (চলবে)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
আসলে পাশাপাশি যদি দুটি হোটেল একসাথে থাকে তাহলে এই ঝামেলাটা অনেক বেশি দেখা যায়। একটা হোটেলে যদি কাস্টমার একটু বেশি যায়, তখন অন্য হোটেলের মালিক এর ভিতরে অনেক রকম হিংসা চলে আসে। তখন সে অপরজনের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকে। আর এই গল্পটিতে ও এরকম কিছুই হয়েছে। তবে আমি তো ভাবছি পরবর্তী পর্বে কিভাবে। আশা করছি পরবর্তী পর্ব খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবো।
https://twitter.com/AHP14338073/status/1687483046977822720?t=Mlk9htj2hVBg8J6fK-x3Ug&s=19
বাহ আপনি তো খুব সুন্দর গল্প লিখেন। আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যিই কারো ভালো কেউ চায় না। মানুষের মনমানসিকতা খুবই নিচু তা না হলে পুরাতন হোটেল মালিকের এমন চিন্তা ধারা কেন আসবে। সে তার হোটেল নতুন ভাবে না সাজিয়ে, খাবারের কোয়ালিটি ভালো না করে অন্যের ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যাই হোক নতুন হোটেল মালিকের স্ত্রী কি বুদ্ধি দিল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আপনার লেখা হোটেলের গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আসলে মানসম্মত খাবার সরবরাহ না করতে পারলে কেউ হোটেলে যেতে চায় না। স্ত্রী কি বুদ্ধি দিলো তা শোনার জন্য খুবই আগ্রহে আছি। তাড়াতাড়ি পরবর্তী পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন।
আপনার লেখা গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি প্রতিনিয়ত অনেক সুন্দর করে গল্প লিখে থাকেন যেগুলো পড়তে অনেক বেশি ভালো হয়। আজকে দুটি খাবার হোটেলের গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। পুরাতন হোটেলে যেহেতু খাবারের মন খারাপ তাহলে কেনই বা তার হোটেলে কাস্টমার যাবে। নতুন হোটেলের মালিকের বউ তাকে কি পরামর্শ দিল এটা দেখার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।