শীতকালে খেজুরের রস চুরির গল্প।
সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আশা করছি সবাই ভালো আছেন আমিও ভালো আছি। আজকের গল্পটি অনেক পুরাতন গল্প প্রায় ১৩-১৪ বছর আগের ঘটনা। পাশের গ্রাম থেকে শীতকালে খেজুরের রস চুরির গল্প। এই গল্পটি অনেক আগের যখন আমি কলেজে পড়াশোনা করতাম তখনকার গল্প। আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেছি। আশা করছি আমার এই গল্প আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে।
অনেক বছর আগের ঘটনা যখন আমি কলেজে ছিলাম কলেজে পড়াশোনা করতাম। তখন আমরা পড়াশোনার বাইরে সম্পূর্ণ সময়টি বাড়িতে এবং গ্রামে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম। সকালবেলা বাড়ি থেকে বের হতাম কলেজের উদ্দেশ্যে এবং কলেজে ক্লাস শেষে দুপুরের দিকে বাড়িতে চলে আসতাম। এরপরে সম্পূর্ণ বিকেল এবং রাত পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্রি থাকতাম। তখন আমাদের গ্রামে আমার সমবয়সী অনেক বন্ধু হচ্ছিল সবাই মিলে আমরা একসাথে আড্ডা দিতাম।
আমাদের কাজ ছিল প্রতিদিন দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বের হয়ে যাওয়া। তারপর সারাদিন গ্রামের এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানো এবং কোথায় কি আছে কি চুরি করা যায় এরকম চিন্তা ভাবনা সব সময় মাথায় ঘোরাঘুরি করতো। কখনো ডাব চুরি, কখনো তালছুরি, কখনো আম চুরি, কখনো খেজুরের রস চুরি এগুলি করতাম। তবে অতিরিক্ত কিছু করতাম না মাঝেমধ্যে যখন মন চাইতো তখন একটু দুষ্টামি করতাম।
একদিন শীতকালের সময় আমরা বন্ধুরা সবাই মিলে উদ্যোগ নিলাম খেজুরের রস দিয়ে সিন্নি পাকাবো। পরবর্তীতে ভাবলাম সিন্নি পাকাতে হলে তো খেজুরের রসের প্রয়োজন। আমাদের পাশের গ্রামে অনেকগুলি খেজুর গাছ রয়েছে একটি জায়গায় ওখানে অনেক মানুষ খেজুর গাছের রস আহরণ করে। আমরা তখন টার্গেট করলাম ওই জায়গায় গিয়ে ওখান থেকে রস চুরি করে নিয়ে আসবো। পরবর্তীতে সবাই মিলে একদিন রাতে গেলাম সেখানে রস চুরি করার জন্য। শীতকালে প্রচন্ড শীত পড়তে ছিল চারিদিকে ঘন কুয়াশা। শীত যখন বেশি পড়ে তখন খেজুর গাছ থেকে রস বেশি আহরণ করা যায়।
পরবর্তীতে আমরা সবাই গিয়ে ওই বাগান থেকে খেজুরের রস নিয়ে আসলাম। এবং সবাই মিলে জমির মধ্যখানে খেজুর রস দিয়ে সিন্নি রান্নার আয়োজন শুরু করে দিলাম রাতে রাতেই। আমরা প্রায় রাত দশটার দিকে গিয়ে খেজুর রস নিয়ে আসলাম এবং রাত ১১ টার দিকে রান্না শুরু করলাম। পরবর্তীতে রান্না শেষ করে সবাই খাওয়া-দাওয়া করে সবাই বাড়িতে ফিরে গেলাম। এ ছিল আমার খেজুরের রস চুরি করে সিন্নি খাওয়ার গল্প।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @ahp93 |
ডিভাইস | Poco X3-Pro |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম এমরান হোসেন পাটোয়ারী। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট @ahp93। আমি ডিসেম্বর 2022 থেকে Steemit ব্যবহার করছি। আমি ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি পছন্দ করি। আমি কাজের ব্যস্ততার মাঝে যখনই সময় পাই ভ্রমণ করি। আমি তথ্য প্রযুক্তিতে খুব আগ্রহী। আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে আরও জানতে চাই এবং আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে শেখাতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/AHP14338073/status/1674317907986366464?t=EsfzmczkCa_ySqYjAwaZrg&s=19
ভাইয়া ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই আপনাকে প্রথমে। আপনি তো দেখছি বেশ পুরনো একটা গল্প শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। এরকম পুরনো একটা গল্প পড়ে কিন্তু বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। শীতকালে বেশিরভাগ ছেলে বন্ধুরা মিলে খেজুরের রস চুরি করার কথা শোনা যায় এবং দেখা যায়। আপনারা সবাই যেহেতু সমবয়সী ছিলেন তাই ছোটখাটো চুরি করতেন। নিশ্চয়ই চুরি করা খেজুরের রস দিয়ে তৈরি করা সিন্নি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
তাহলে কলেজ জীবনে খেজুরের রস চুরি করলেন। আপনার মত এরকম অনেকে আছে ছাত্রজীবন অবস্থা বন্ধুরা মিলে অনেক কিছু চুরি করে মজা করে। যেমন আপনারা শীতকালে বন্ধুরা মিলে চুরি করে রস দিয়ে সিন্নি পাকালেন। তবে শীতকালে যত বেশি কুয়াশা পড়ে খাজুরের রসগুলো ক্ষেতের ততই মজা লাগে। খেজুরের রস চুরি করার পর কি ঘটলো তা কিন্তু লিখলেন না। যাইহোক গল্পটি পড়ে খুব ভালোই লাগলো।
আপনার মত আমিও ছাত্র জীবনে শীতকালে বন্ধুদের সাথে খাজুরের রস শুরু করেছি। তবে বেশিরভাগ ছাত্ররে পড়ালেখার সময় বিকেল বেলা অনেক ফ্রি থাকতেন এবং রাত্রে। যাইহোক বন্ধুদেরকে নিয়ে খেজুরের রস চুরি করে সিন্নি পাকিয়েছেন। যদিও ঘটনাটি অনেকদিন আগের। ও সময় মনে হয় খুব মজা করে সিন্নি খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আশা করি ভাইয়া ভালো আছেন? আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। শৈশবের স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়লে হৃদয় কেঁপে ওঠে। আসলে কাঁচা রস খাওয়ার অনুভূতি খুব অন্যরকম। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
সমবয়সী বন্ধুদের নিয়ে গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো চুরি করার মজাটাই অন্যরকম। খেজুরের রস চুরি করে রাত ১১ টায় জমির মধ্যখানে রান্না করে ফেলেছেন। অসাধারণ একটি মুহূর্ত ছিল আপনাদের। একটি বিষয় ভালো লাগলো ছোটখাটো চুরির মাঝে অতিরিক্ত কিছু না করাটা। অনেকেই আছে ছোটখাটো চুরি করে আনন্দ পাওয়ার জন্য । কিন্তু অনেকেই আছে অতিরিক্ত কিছু করে পেলে যেটা সমাজের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই আমরা বন্ধুরা কখনো অতিরিক্ত কিছু করতাম না। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো চুরি করে বন্ধুরা সবাই মিলে অনেক বেশি মজা করতাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাইজান গল্পটা কিন্তু মন্দ নয়, খুব সুন্দর একটি গল্প আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। যে গল্প এর সাথে আমাদের মত অনেক মানুষ জড়িত। ছোটবেলায় এমন কাহিনী অনেকে করে থাকে, শীতের সময় শীতকে অতিক্রম করে অনেকেই খাজুরের রস চুরি করতে যায়। তবে নতুন এই গল্পটি পড়ে ভালো লাগলো।