গল্প:- ভালোবাসা অসহায় /প্রথম পর্ব
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, ভালোবাসা অসহায় গল্পটি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
https://www.pexels.com/photo/brown-sand-love-text-on-seashore-348520/
সেই ৯০ দশকের কথা ছেলেটি ট্রেনে করে বাসায় ফিরছে। ছেলেটির বয়স মাত্র ১৬। ট্রেনের জানালার পাশে বসা ছেলেটি চুল গুলো লম্বা লম্বা হালকা বাতাসে চুল গুলো এলোমেলো হয়ে কপালের উপর পড়ছে। ছেলেটিকে দেখতে সুন্দর লাগছে। চেহারা হালকা ফর্সা সুন্দর লম্বা মোটামুটি একটি টি শার্ট পড়ে আছে । ছেলেটির বাম হাতে একটি ঘড়ি পড়ে আছে। ছেলেটিকে দেখতে মনে হচ্ছে ছেলেটি কোন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি তার সামনের সিটে বসা। আমিও অবশ্যই তার থেকে দুই স্টেশন আগে ট্রেনে উঠেছি। এই স্টেশন থেকে হঠাৎ করে এসেই আমার সামনে সিটে বসলো। সিটে বসে থাকার পর থেকে যেন আমার দিকে একবার তাকালো না।
জানালার পাশে বসে প্রাকৃতিক নান্দনিক দৃশ্য উপভোগ করতেছে। আমি অনেকবার ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়ে আছি । আমি মনে মনে ভাবছি সে আমার দিকে তাকাবে নিশ্চয়। ছেলেটিকে দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভদ্র এবং নম্র। কারণ এখন ট্রেনে মেয়েরা বসলে ছেলেরা নানা ভাবে ডিস্টার্ব করে। কিন্তু এই ছেলেটি আমার সামনে বসে থাকার সত্বেও আমার দিকে তাকালো না। বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতেছে দুই অপলকে। হঠাৎ করে আমার ডাইরি থেকে কলম নিচে পড়ে গেলো। কলম উঠাতে যাবো এই মুহূর্তে ছেলেটি কলম টিকে আমাকে উঠিয়ে দিলো। আমি ছেলেটি মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অনেক ক্ষণ যাবৎ ট্রেনে বসে আছেন । শুধু বাইরে তাকিয়ে নিশ্চয়ই আপনি বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব বেশি ভালোবাসেন। ছেলেটি একটু মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে খুবই ভালো লাগে আমার। আমি তখন ছেলেটিকে বললাম, আপনি কি সামনে স্টেশনে নেমে যাবেন? তখন ছেলেটি বললো, না আমি আরো দুই স্টেশন পরে নামবো। আমি বললাম ও আচ্ছা আমি তাহলে আপনার পরের স্টেশনে নামবো। ছেলেটি আবার বাহিরে চেয়ে আছে। কিছুক্ষণ যাবার পর ট্রেনের মধ্যে চা বিক্রেতা আসলো। আমি নিজের জন্য একটা রং চা নিলাম। চা বিক্রেতা তাকে চা নেওয়ার জন্য বলেছে, প্রথমে সে না করে দিয়েছে পরবর্তীতে সেও একটা রং চা নিয়েছে।
তখন আমি বললাম রং চা খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নিশ্চয় আপনার রং চা বেশ পছন্দের। ছেলেটি বললো অধিক পছন্দ না আমি মাঝে মাঝে রং চা খেয়ে থাকি। আসলে চা বেশি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। তারপর আমি বললাম, আপনি অবশ্যই ঠিক বলেছেন। তবে আমাদের বাঙালি সমাজ চা অনেকে খুব বেশি খায়। চা খেতে খেতে ট্রেন আমার নামার স্টেশনে চলে আসলো। আমি তাকে বললাম, আপনি কি প্রায় সময় এই ট্রেনে যাতায়াত করেন এই সময়ে?
ছেলেটি মাথা নাড়িয়ে ইঙ্গিত করলো জি। তারপর আমি বললাম, ঠিক আছে ভালো থাকবেন আপনার সাথে হয়তো অন্য কোন সময় আবার দেখা হবে। ছেলেটি একটু হাত উঁচু করে বললো ধন্যবাদ আপনিও ভালো থাকবেন । আজ আর নয় । আগামী পর্বে পুরো গল্পটি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন গল্প উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। দুটো ছেলে ও মেয়ের মধ্যে ট্রেনের ভিতরে খুব সুন্দর কথোপকথন চলছে। তবে মেয়েটি ছেলেটিকে লক্ষ্য করলেও, ছেলেটি মেয়েটিকে লক্ষ্য করেনি, এটা সত্যি অদ্ভুত বিষয়। সত্যি সব ছেলেরা খারাপ নয়, এটাই তার প্রমাণ। দেখা যাক পরবর্তীতে তাদের মধ্যে কি সম্পর্ক গড়ে ওঠে? পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
এই ছেলেটার মতো আমারও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া ট্রেনে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। মেয়েটা মনে হচ্ছে ছেলেটাকে পছন্দ করে ফেলেছে। তাইতো বারবার নিজে থেকে কথা বলতে চাচ্ছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।