তেতুল, মুচি, পেঁপে, কামরাঙ্গা, কলা, বরই, দিয়ে টক-ঝাল-মিষ্টি বানানী তৈরি।/১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের টক-ঝাল-মিষ্টি রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন।
আসুন শুরু করি
- আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এর রেসিপি কে সাধারণত আঞ্চলিক ভাষায় বানানী বলে থাকে। এইটি গ্রাম বাংলার মহিলাদের কাছে অধিক জনপ্রিয় অত্যান্ত পছন্দনীয়।
এই বানানী নানাভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং অনেক ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার।
এই বানানী বিশেষ করে শীতকালে বেশি তৈরি করা হয়। কারণ শীতের মৌসুমে বিভিন্ন সবজি এবং ফলের সমাগম থাকে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বানানী রেসেপি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
আরেকটি বিষয় হলো যাদের জ্বর, সর্দি, কাশি এবং যেকোনো জিনিস খাইতে মন চায় না বা খাবারের স্বাদ পাওয়া যায় না। তাদের জন্য এই ধরনের বানানী খুব ভালো এই ধরনের বানানী খেলে মুখে রুচি ফিরে আসবে এবং খেতে খুব ভালো লাগবে।
বানানী তৈরি করতে যেহেতু অনেক ধরনের উপাদান প্রয়োজন হয়। তাই আমি এক এক করে বিভিন্ন ধরনের উপাদান জোগাড় করতে লাগি।
আমি প্রথমে কাঁঠালের মুচি পাড়ার জন্য গাছে উঠি। কাঁঠাল গাছটি ছিল বেশ বড় এবং মোটা। আমি গাছে উঠতে অনেক কষ্ট হয়েছে গাছে উঠে আমি দেখে দেখে অনেকগুলো মুচি পাড়ি।
তবে সমস্যা হইছে গাছ থেকে মুচি সময় গাছের সাদা আঠা আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে এগুলা উঠাতে অনেক সমস্যা হয়েছে।
তারপর আমি কলা গাছ থেকে চার পাঁচ টি কলা নিয়ে আসি এবং বরই গাছ থেকে কিছু বরই পাড়ি। তারপর আমি পেঁপে গাছ থেকে একটি ছোট কাঁচা পেঁপে নিয়ে আসি। আমাদের বাড়িতে কামরাঙ্গা গাছ নাই তাই পাশে বাড়ি থেকে তিনটি কামরাঙ্গা নিয়ে আসি। আমাদের বাসায় তিতুর রয়েছে তাইয়া তেতুলের জন্য অতিরিক্ত কষ্ট করতে হয়নি। আমার এই ফলগুলো জোগাড় করতে অনেক সময় লেগেছে।
তারপর আমি সবগুলো ফলকে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার নিলাম। এবং সুন্দর করে দুনিয়া পাতা সহ কুচি কুচি করে কেটে নিলাম।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
- তেঁতুল
- মুচি ( কাঁঠালের কচি ফল )
- দেশি কাঁচা কলা
- কাঁচা পেঁপে
- কামরাঙ্গা
- দেশি বরই
- ধনিয়া পাতা
- শুকনা মরিচ
- গুড়া মরিচ
- লবণ
- চিনি ইত্যাদি
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
আমার সমস্ত উপকরণ জোগাড় করা হয়ে গেছে। তাই এখন শুধু প্রস্তুত প্রণালীঃ কাজ শুরু করব।
একটি বাটি নিলাম তার মধ্যে প্রথমে পেঁপে মুচি দিলাম ।এবং পরিমাণ অনুযায়ী লবণ দিলাম তারপর এই গুলোকে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। কারন পেঁপে মুচি একটু শক্ত হয়ে থাকে তাই।
↘️ধাপ :- ২↙️
তারপর বাটিতে তেতুল, কামরাঙ্গা, কলা, বরই, ধনিয়া পাতা ইত্যাদি দিলাম।
তারপর পরিমান মত চিনি, শুকনা মরিচ এবং গুড়া মরিচ দিলাম। সমস্ত উপকরণ দেওয়ার পরে হাত দিয়ে খুব ভালো করে মাখিয়ে নিলাম । মাখার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে সমস্ত উপকরণ সমানভাবে মিক্স হয়।
↘️ধাপ :- ৩↙️
এখন তেতুল, লবণ ও ঝাল টেস্ট করে নিচ্ছি। আমার পছন্দ অনুযায়ী সব ঠিক আছে।
↘️ধাপ :- ৪↙️
রুচি অনুযায়ী এই গুলো কম হলে আবার দিতে পারবেন দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিবেন।
↘️সর্বশেষ ধাপ↙️ :-
আমার কাঙ্খিত বানানী তৈরি হয়ে গেছে যা এখন আপনাদের মাঝে দৃশ্যমান। খাবারের জন্য নাস্তার পেল্টে পরিবেশন করছি। আমি খেয়ে দেখছি অনেক সুস্বাদু এ মজা হইছে।
রেসেপি সহ আমার একটি ছবি
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | রেসেপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের রেসিপি আর তৈরি করব, ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আমি এইরকম রেসিপি কখনো খাই নাই। খুব ভালো লাগলো। নতুন রেসিপি দেখে।।খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ বর্ণনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দরভাবে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত রকমের টক ফল একসাথে দেখেই জিভে পানি চলে আসলো। টক দিয়ে মিষ্টি এনাম টি আজকে প্রথম শুনলাম। সত্যি ইউনিক একটা রেসিপি ভাইয়া। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এটি ভাইয়া। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটি দেখে এত সুন্দর ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ অনেকগুলো উপাদান এর সাহায্যে বের ভালো একটি চাকরি বানিয়েছে। দেখেই তো জিভে জল চলে আসলো। দারুন ছিল আপনার চাটনি টি এরকম এর আগে কখনো দেখিনি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি চাটনি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দরভাবে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তবে কমেন্ট একটু ভুল হইছে।
সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি শিখলাম আজ আপনার কাছ থেকে। এ ধরনের খাবার কখনো খাইনি।এমনকি আমাদের আশেপাশে তৈরি হয় বলেও শুনিনি। এতগুলো সুস্বাদু ফলের সমন্বয় রান্না নিশ্চয় ভালো হবে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বানানী রান্না করি নাই হাতে তৈরি করেছি। কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। টক মিষ্টি ঝাল স্বাদের রেসিপি আশা করি সকলের কাছেই ভালো লাগবে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এত সুন্দর করে মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য। ধন্যবাদ।
বাহ আজকে খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন দেখছি। টক ঝাল মিষ্টি খেতে বড় টেস্টি শীতের মুহূর্তে এই ধরনের খাবার খুবই ভালো লাগে। আপনি তেতুল ,কামরাঙ্গা, বড়ই ,পেঁপে দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে টক-ঝাল-মিষ্টি তৈরি করেছেন। দেখতে খুবই ভালো লাগছে খেতেও অনেক টেস্ট লাগবে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি দেখে কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া সাত সকাল বেলায় উঠে কি রেসিপি দেখালেন মুখে পানি চলে আসলো। আপনার এই বানানি দেখে মনে হচ্ছে যে শীতের দিনে রোদে বসে এরকম একটি টক ঝাল বনানী খেতে পারলে তো খুবই ভাল লাগত। তাছাড়া আপনি সব জিনিস একদম গাছ থেকে টাটকা পেরে বানিয়েছেন। তাতেই বোঝা যাচ্ছে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল।
সব ফল একদম টাটকা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে আমি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে একটি ভিন্নধর্মী খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তেতুল, মুচি, পেঁপে, কামরাঙ্গা, কলা, বরই, দিয়ে টক-ঝাল-মিষ্টি বানানী তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার ছবিগুলো দেখার পরে মনে হচ্ছে খাবারটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা ভিন্নধর্মী খাবার আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার পোস্টটি দেখে এত সুন্দরভাবে মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বাহ জিনিসটা তো দারুণ। এইটা আমি এইপ্রথম দেখলাম। বলা চলে বেশ ইউনিক ছিল। তেতুল বড়ই কলা আরও অনেক কিছু উপাদন ব্যবহার করেছেন। দেখেই তো আমার জিভে পানি চলে আসলো। বেশ লোভনীয় ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার রেসিপি টি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। সত্যি বলতে দেখার সাথে সাথে জিভে জল চলে আসছে। টক ঝাল মিষ্টি ওয়াও। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
সুন্দরভাবে মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।