🍷| প্রতিযোগিতা-১৫ || খুব সুস্বাদু এবং মজাদার দুধ, কাঁঠালের শরবত রেসিপি 🍷|| ১০% shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের দুধ, কাঁঠালের শরবত তৈরি
সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আমি সর্বপ্রথম ধন্যবাদ জানাই শ্রদ্ধেয়, @shuvo35 শুভ ভাইকে যিনি প্রতিযোগিতা জন্য এই বিষয়টি নির্ধারণ করেছেন এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
এই সুন্দর প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় শ্রদ্ধেয় দাদা @rme প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং তাকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। তার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি তার সাথে সাথে তাদের পরিবারের বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় ছোট দাদা, প্রিয় বৌদি, স্নেহের টিনটিন বাবু সহ সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের জন্য প্রার্থনা করছি তারা যেন সব সময় সুখে-শান্তিতে সমৃদ্ধির সাথে জীবন অতিবাহিত করতে পারে।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল এডমিন মডারেটরসহ সকল সদস্যদের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। যার যার অবস্থান থেকে সবাই যেন ভালো থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।
আসুন শুরু করি
আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। এদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রাকৃতিক আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হয়। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্ৰীষ্ম কাল আর গ্ৰীষ্ম কাল অর্থ হলো প্রচণ্ড গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো গ্ৰীষ্ম কালে সবচেয়ে বেশি হরেক রকমের ফল পাওয়া যায়। প্রচন্ড গরমে একটু ঠান্ডা পাণীয় খাওয়ার অনেক তৃষ্ণা । বাইরে গরমের মাঝে কর্ম ব্যস্ততা কাটিয়ে যখন বাসায় ফিরে এক গ্লাস ঠান্ডা জাতীয় জুস বা শরবত খাওয়া যায় তখন কি যে ভালো লাগে তা আর বলে বুঝানো সম্ভব হয় না। গরম কালে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিশেষ করে সকাল ৯ টার পর থেকে রোদের তীব্রতা বাড়তে আরম্ভ করে। তখন বাহিরে বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে কাজ করা বা, অবস্থান করাটা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। তখন তৃষ্ণার কারণে ঠান্ডা জাতীয় জুস বা শরবত খাওয়া তীব্র আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়। ঐ মুহূর্তে যদি এক গ্লাস শরবত খাওয়া যায় তখন পুরো শরীর শীতল হয়ে পড়ে। শরবত খাওয়া পর' কি যে শান্তিদায়ক প্রশান্তি লাগে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তাছাড়া এখন পবিত্র মাহে রমজান মাস চলতেছে। এই গরমের ভিতর সারাদিন রোজা রাখার পরে যদি এক গ্লাস ঠান্ডা পানিও কিংবা শরবত জাতীয় কিছু হয়ে থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই।দিনের ক্লান্তি এক নিমেষেই দূর হয়ে যায়। সাধারণত বলতে গেলে দুটি জিনিস ছাড়া ইফতারি করাই যায় না প্রথমত খেজুর আর দ্বিতীয় হলো শরবত। ইফতারিতে যদি অনেক রকমের আইটেম খাওয়া হয় শরবত ছাড়া তাহলে কেমন যেন শূন্যতা মনে হয়। আপনি যতই পানি খান শরবত ছাড়া তৃষ্ণা মিটবে না। ঠিক এই পরিস্থিতির মাঝে শ্রদ্ধেয় শুভ ভাই প্রতিযোগিতার সঠিক বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে। আমি বলবো শুভ ভাই সময় উপযোগী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরবত তৈরির প্রতিযোগিতা আয়োজন করে। তাই আমি অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছি।
অনেকেই টক-ঝাল-মিষ্টি শরবত তৈরি করেছে বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে। আসলে অনেকেই টক পছন্দ করে আবার কেউ ঝাল পছন্দ করে বা, কেউ টক। আবার কেউ তিনটি স্বাদ একসাথে গ্রহণ করতে বেশ পছন্দ করে। আবার দেখা যায় অনেকে এ ধরনের শরবত খেতে পারে না বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধ যারা রয়েছে তারা। আমি যে শরবত তৈরি করতে যাচ্ছি তা সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং সকলে বয়সে লোকজন খুবই অনায়াসে খেতে পারবে। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী। আপনার এতক্ষণে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন আমি দুধ, কাঁঠালের শরবতের কথা বলছি। কলা, কাঁঠাল, দুধ এই তিনটি শব্দ আমাদের কাছে বেশ পরিচিত। সাধারণত আমরা করা, কাঁঠাল, দুধ দিয়ে ভাত খাই। এইটা আমাদের কাছে বেশ প্রসিদ্ধ খাবার। বলতে গেলে এটা আমাদের ঐতিহ্য। আম কলা কাঁঠাল দুধ দিয়ে ভাত খায় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষ করে যারা বয়স্ক অসুস্থ বা, শিশু রয়েছে তাদের জন্য এই ধরনের খাবার বেশ উত্তম। দুধ, আম, কাঁঠাল দিয়ে যদি শরবত তৈরি করে খাওয়া হয় তবে কেমন হবে? ভীষণ মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। এই শরবত তৈরি করে ভালো করে সংরক্ষণ করলে শরবত হিসেবে বা ভাতের সাথে খাওয়া যাবে যে কোন সময়ে। যখন আম-কাঁঠালের মৌসুম থাকবে না। প্রচণ্ড গরমে আপনি যখন অতিষ্ঠ তখন এক গ্লাস দুধ, কাঁঠালের শরবত খেলে নিমিষে আপনার কান্তি দূর হবে শারীরিক দুর্বলতা কেটে আপনার মাঝে পুনরায় সজীবতা ফিরে আসবে এবং শারীরিকভাবে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবেন।
দুধকে বলা হয় মানবদেহের জন্য আদর্শ খাবার। আসলে দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না। দুধে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ফ্যাট, ল্যাকটোজ, ক্যালসিয়াম, খনিজ পদার্থসহ আরো অন্যান্য ভিটামিন রয়েছে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুধ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধ জটিল এবং কঠিন রোগ সমূহের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে মুখের ব্রণ এবং ত্বকের সমস্যা সমাধানে ক্যান্সার এবং হূদরোগ সহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে দুধের ভূমিকা অনস্বীকার্য । ক্যালসিয়ামের অভাব মেটাতে হাড় এবং দাঁতকে মজবুত রাখতে দুধের কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।
কলাতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন, শর্করা,ফ্রাট, আমিষ ইত্যাদি রয়েছে। কলার পুষ্টিগুণ অনেক। দেহের টিস্যু গঠন এবং ক্যালরি উৎপাদনে কলার ভূমিকা অন্যতম।কলা স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা সমাধানে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কলার গুরুত্ব অনেক। কলা দেহের হাড়কে শক্ত করে।
কাঁঠাল মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী। কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল যাতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ, শর্করা, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক সহ আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে। যা মানবদেহের জন্য একান্ত প্রয়োজন। বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কাঁঠাল এর ভূমিকা অনেক। বিশেষ করে কোলেস্ট্রল এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। আলসার এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি অভাবজনিত রোগ সমূহের বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বাদাম সম্পর্কে আমরা সবাই জানি মানবদেহের জন্য বাদাম কতটা উপকারী তা বলাই বাহুল্য। বাদামে প্রচুর পরিমাণ আমিষ এবং আঁশ রয়েছে। স্নেহ জাতীয় পদার্থের অন্যতম উৎস হল বাদাম। বাদামে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ফ্যাট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ই সহ আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে। বাদামের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বিভিন্ন ধরনের রোগের বিরুদ্ধে বাদাম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে। এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাছাড়া দেহের ওজন কমাতে হার্ট এবং দাঁতকে মজবুত রাখতে স্মৃতিশক্তি সক্ষমতা বাড়াতে বাদামের গুরুত্ব অনেক ।
আমরা সবাই মধু সম্পর্কে জানি মধুর গুরুত্ব এবং উপকারিতা অনেক। মধু দেহের শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তাছাড়া হাড় এবং দাঁতকে গঠন, রক্তশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য সহ আরো অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। মধুর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।
কিসমিসের পুষ্টিগুণ অনেক যা মানবদেহের জন্য একান্ত প্রয়োজন । কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি সহ আরো অন্যান্য উপাদান রয়েছে। যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
তাই আমি মনে করি এই সব উপাদান দিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে তৃষ্ণা যেমন মিটবে তার পাশাপাশি শারীরিক সুস্থতা অর্জন হবে। শারীরিক দুর্বলতা এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধানে এ ধরনের শরবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশাবাদী। আর এই ধরনের উপাদান সকল বয়সের লোকজন খুব অনায়াসে তৃপ্তির সাথে খেতে পারবে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এবং বয়স্ক লোকেরা খেতে পারবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
নাম | পরিমাণ |
---|---|
কাঁঠাল | ১৫ কোষ |
কলা | দুইটা |
কিসমিস | দশটা |
বাদাম | পনেরোটা |
দুধ | দুই গ্লাস |
মধু | দুই চামচ |
চিনি | এক চামচ |
লবণ | এক চিমটি |
পানি | পরিমাণ মতো |
↘️ধাপ :- ১↙️
আগে আমি আপনাদের বলে রাখি যে, আমি এই রেসিপিটি তৈরি করতে গিয়ে প্রথম পর্যায়ে অনেক হতাশ হয়েছি । কারণ আমি প্রায় কয়দিন যাবত বিভিন্ন বাজারে বাজারে গিয়ে পাকা কাঁঠালের সন্ধান চালিয়েছি। অনেক চেষ্টা করেও কোথায় পাকা কাঁঠাল পেলাম না। আমি আমাদের বাড়ি থেকে অনেক দূরে এক বাজারে যাওয়ার পর একটি দোকানে পাকা একটি বড় কাঁঠাল দেখলাম। পরে আমি কাঁঠালটি কেনার জন্য দোকানদারের সাথে কথা বললাম। দোকানদার অবশ্যই আমার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরেছে। তাই সে কাঁঠালের অনেক দাম (৪০০ টাকা) চাইলো।। তারপরও আমি কিনতে রাজি হয়ে গেলাম কিন্তু আমি বাজারে যেতে মানিব্যাগ নিতে ভুলে গিয়েছি । তবে আমার পকেট ৩০০ টাকার মতন ছিল।আর ১০০ টাকা আমার ছিলোনা। দোকানদার আমার অপরিচিত কারণে সে আমাকে বাকি দিতে রাজি হলো না। তাই আমি আবার বাড়িতে ফিরে আসলাম এবং টাকা নিয়ে বাজার দোকানে গিয়ে দেখি কাঁঠাল টি অন্য কার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর থেকে আমার মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। আর কোথায় পাকা কাঁঠাল পেলাম না। তাই উপায় না পেয়ে আমাদের পাশের বাড়ি কাকিমা থেকে একটি কাঁচা কাঁঠাল ৮০ টাকা দিয়ে কিনে আনলাম।
আসলে এই ধরনের শরবত পাকা ফল দিয়ে দিয়ে তৈরি করা হয়। পাকা ফল দিয়ে তৈরি করলে সবচেয়ে বেস্ট হয়। কিন্তু আমি উপায় না পেয়ে কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে তৈরি করতে বাধ্য হলাম।
- আমি শরবত তৈরি করার জন্য প্রথম একটি কাঁঠাল গাছ থেকে পেড়ে নিয়েছি।
↘️ধাপ :- ২↙️
- কাঁঠাল কেটে কোষগুলো কে আলাদা করে একটি প্লেট নিলাম।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- আমি কাঁঠালের কোষ গুলো থেকে কাঁঠালের বিচি আলাদা করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- তারপর কলার খোসা ফেলে দিয়ে কলা গুলো কে কেটে নিলাম।
- দুধ প্যাকেট থেকে একটি বাটিতে ঢেলে নিলাম। তারপর চিনি, লবণ, বাদাম, কিসমিস, মধু ইত্যাদি জোগাড় করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিয়েছি।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- এখন প্রস্তুত প্রণালীর কাজ আরাম্ভ করছি। তাই প্রথমে ব্যালেন্ডার মেশিন কাঁঠালের কোষ গুলো ছেড়ে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৭↙️
- তারপর আমি ব্যালেন্ডার মেশিনের করা স্বাদ অনুযায়ী চিনি এবং পরিমাণমতো লবণ দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
- এই পর্যায়ে আমি বাদাম এবং কিসমিস দিলাম।
↘️ধাপ :- ৯↙️
এই ধাপে আমি দুধ এবং মধু ব্যালেন্ডার মেশিন এর মধ্যে দিলাম। সবশেষে আমি পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিলাম।
↘️ধাপ :- ১০↙️
*এখন আমি সব উপাদান গুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ১১↙️ :-
- এই পর্যায়ে আমার বেলেন্ডার করা শেষ হয়েছে। বেলেন্ডার করার পর শরবত দেখতে এই রকম লাগছে ।
↘️ধাপ :- ১২↙️ :-
- বেলেন্ডার করা শেষ হলে শরবত একটি বাটিতে ঢেলে নিলাম।
↘️সর্বশেষ ধাপ↙️ :-
তারপর আমি পরিবেশন করার জন্য বাটি থেকে একটি গ্লাসে ঢেলে নিলাম। আমি শরবত খেয়ে দেখেছি অত্যান্ত মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আসলে নিজে তৈরি করেছি আবার নিজের এর স্বাদ সম্পর্কে বননা করছি তা কেমন দেখায়। আপনারা যদি পাশে থাকতেন তাহলে খেয়ে দেখতে পারতে। স্বাদ কেমন হয়েছে ? সত্যিকারে ফেভার খুবই অন্যরকম ছিল।
আপনারা এভাবে তৈরী করে খেয়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আশা করি আমার কাঙ্খিত শরবত তৈরি সম্পূর্ণ হয়েছে। এইভাবে আমি মজাদার দুধ, কাঁঠালের শরবত রেসিপি টি সম্পূর্ণ করি।
যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান।
শরবত এর কিছু আলোকচিত্র করে নিলাম।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
ওয়াও ভাইয়া কাঁঠালের জুস এই প্রথম দেখলাম। এর আগে কখনো এভাবে কাঁঠালের জুস তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি কাঁঠালের জুস দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য। হ্যাঁ নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে।
দুধ কাঠাল দিয়ে শরবত তৈরি করা যায় এটাই জানতাম না। আপনি আজ তা করে দেখিয়েছেন। নিশ্চয়ই অনেক মজা হয়েছে। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি শরবত বানিয়ে শেয়ার করার জন্য
আপু অবশ্যই অনেক মজা হয়েছে। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কাঁঠাল আমার খুব একটা পছন্দ না তবে দুধ আর কাঁঠালের জুস দেখে কিন্তু বেশ লোভনীয় মনে হয়েছে। সত্যি বলতে এবারে কাঁঠাল আর দুধের জুস তৈরি করে খাবো। দেখা যাক খেতে কতটা মজা লাগে।
অবশ্যই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। খেতে খুব ভালো লাগবে বাড়িতে তৈরি করে দেখেন। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাংআউট এর পর থেকে এই রেসিপি এর প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে।
কাঁঠাল দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কাঁঠালটা অনেক কচি।
কাঁঠালের শরবত সম্পর্কে আমার কোন আইডি ছিল না। বেশি ইউনিক একটি শরবতপর রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
শুভকামনা রইল
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আপনি আজকে চমৎকার ভাবে সুস্বাদু এবং মজাদার দুধ, কাঁঠালের শরবত রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। ইউনিক আইডিয়া ছিলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
এত সুন্দর প্রশংসা করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
দুধ কাঁঠালের শরবত আমি অনেকবারই খেয়েছি যা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।। আপনি অসাধারণ ভাবে দুধ কাঁঠালের শরবত রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ।।আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ ভাইয়া, একদম অন্যরকম আইডিয়া। যে আইডিয়া দিয়ে আপনি কাঁঠাল দিয়ে জুস তৈরি করে ফেললেন। একদম ইউনিক রেসিপি। আপনার বুদ্ধির তারিফ করতে হয়, নতুনত্ব আনার জন্য আপনি কাঁঠাল দিয়ে অত্যন্ত সুন্দর করে জুস তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি নতুন জুস আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এত সুন্দরভাবে প্রশংসা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
নতুন ধরনের একটি রেসিপি দেখলাম ভাই। আপনি খুব সুন্দর করে দুধ ও কাঁঠাল দিয়ে ইউনিক একটি শরবত রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পোস্টটি দেখে এত সুন্দরভাবে আপনার মনের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ রইল।
দুধ, কলা এবং কাঁঠালের সুন্দর একটি মিশ্রণ করে খুবই সুন্দর একটি শরবত তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। যদিও এর আগে আমি কোনদিন এই ধরনের শরবত খায় নি তারপরও আপনার তৈরি করা শরবত দেখে আমার অনেক লোভ হচ্ছিল।
আপনার দাওয়াত রইলো আমাদের বাড়িতে আসলে এই ধরনের শরবত তৈরি করে খাওয়াবো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি দুধ, কাঁঠালের শরবত রেসিপিটা অসাধারণ ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে আমার লোভ লেগে গেল। আপনি খুবই চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে এটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই ধরনের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর প্রশংসা করার জন্য।