ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি/ তৃতীয় পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।

প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের, ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি তৃতীয় পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

1695451618123.jpg

আমি আপনাদের মাঝে গত পর্বে ঢাকা যাওয়ার অনুভূতির দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছি। আজ তৃতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রথম দিন মামাদের বাসায় পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো । পরে তাদের সকলের সাথে কথা বলে আর রাতের ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সারাদিন জার্নি করার কারণে সকালবেলা ঘুম থেকে একটু দেরি করে উঠলাম
। ঘুম থেকে উঠে সকালবেলা নাস্তা করে বাসায় কিছু হাতে কাজ ছিল কাজগুলো শেষ করে চিন্তা করছি। বিকেল বেলায় দুপুরে খাওয়ার পর বিকেল বেলায় ঘুরতে বের হবো। বিকেলে সাড়ে তিনটার পরেই ঢাকা শহর ঘুরতে বের হলাম।

আমি প্রায় দুই বছর আগে ঢাকা গিয়েছিলাম । দুই বছর পর ঢাকাতে আসার কারণে দেখছি অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল হওয়াতে অনেক চেনা পথ অচেনা লাগছে। আসলে এই ইট পাথরের শহরে আমার কাছে ভালো লাগে না। যেদিকে তাকায় ছোট বড় ভবন দেখা যায়। তবে মাঝে মাঝে কিছু পার্ক দেখলে ভালো লাগে। যেখানে একটু বসে সজীব নিশ্বাস ত্যাগ করা যায়। ছোট ছেলে মেয়েরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। আমি আর আমার মামাতো ভাই দুজন মিলে ঘুরতে বের হলাম। প্রথমে ফার্মগেট এলাকায় অনেক ঘুরাঘুরি করলাম পরে শাহবাগ এলাকায় চলে আসলাম।

শাহবাগ আসার পরে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে গিয়েছিল । আসলে বাংলার সাহিত্যিক জগতের মধ্যে কবি, সাহিত্যিক, উপন্যাসিক যে কয়েকজন আমার সবচেয়ে প্রিয় তার মধ্যে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যতম । আমি মন থেকে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে খুব বেশি শ্রদ্ধা করি এবং ভালোবাসি। কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি কিছুক্ষণ ঘুরে দেখার পর চন্দ্রিমা উদ্যানে চলে গেলাম। অর্থাৎ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলাম। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত স্থান হলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। যেখানে রাজধানীর সকল বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরকম উন্মুক্ত স্থান ঢাকাতে আর কোথাও নেই।

ঢাকা শহরের মধ্যে যারা বসবাস করে তারা কমবেশি এ পার্কে ঘুরতে আসে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই চমৎকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এক পাশে রয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রমনা মন্দির। মহান স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক জাদুঘর। অন্যদিকে রয়েছে মুক্ত মঞ্চ, স্বাধীনতা স্তম্ভ, স্বাধীনতা স্তম্ভ চমৎকার লেক, জনতার দেয়াল, বা- টেরাকোটা। আরো অন্যান্য দর্শনীয় স্থাপনা রয়েছে। অনেকদিন পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়াতে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমি ঘুরে ঘুরে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা দেখছি। বড় বড় বিভিন্ন রকম গাছ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে।

IMG_20230923_124450.jpg

IMG20230908172742.jpg

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানর সাথে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর প্রাক বাহিনী ৯৩ হাজার সৈন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এই ময়দানে। যা বাঙালি জাতির কাছে খুবই গর্বের বিষয়ে।

IMG20230908172600.jpg

সব বয়সী লোক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে সময় কাটাচ্ছে। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগছে পার্কে এক পাশে বিভিন্ন ভাগে ভাগে বিভক্ত হয়ে। অনেক ক্রিকেট ফুটবল খেলছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে আর কোথাও এরকম উন্মুক্ত স্থান নেই খেলাধুলার করার জন্য। তাই বিকেল বেলায় সকলে জড়ো হয় এই জায়গায় খেলাধুলা করতে। সবাই যার যার মতোন করে খেলাধুলা করে থাকে এখানে। খেলাধুলা দৃশ্য গুলো আমার কাছে দেখে খুব ভালো লাগলো। আমি মুক্ত মঞ্চের উপর বসে বসে খেলাধুলার দৃশ্য দেখছি।

বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে ছোট বড় সবাই মিলে ক্রিকেট খেলছে। সন্ধ্যায় নেমে আসার কারণে আমি বাসায় ফিরে গেলাম। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেশ সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আজ আর নয় আবার আগামী পর্বে দেখা হবে আপনাদের সাথে।

IMG20230908172708.jpg

পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।

  • অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

ভাইয়া একমাস পর আসলেই শহরের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় আর আপনি সে জায়গায় দুই বছর পর এসেছেন। আমার কাছেও ঢাকা শহরে থাকতে ভালো লাগে না কিন্তু কি করবো বলেন জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। অনেক দিন পর আপনার পোস্টের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। আগে প্রায় সময় সেখানে ঘুরতে যাওয়া হতো কিন্তু এখন আর সেই সময় হয়না। ঢাকা শহরে ঘোরাঘুরির পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।

 11 months ago 

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কিছু ফটোগ্রাফি দেখে আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু।

 11 months ago 

চমৎকার অনুভূতি ছিল আপনার ঢাকা শহরে ঘুরতে যাওয়ার। যেহেতু আপনি দুই বছর পরে গেলেন অবশ্যই পরিবর্তন হওয়ার কথা। এখন যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তন এর কাজ চলতেছে। তাছাড়া আপনার পুরো লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। খুব সুন্দর বর্ণনা সহকারে আপনি বিস্তারিত শেয়ার করলেন। অনেক ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে বিস্তারিত বর্ণনা গুলো।

 11 months ago 

পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 11 months ago 

আপনা ফটোগ্রাফ এর মাধ্যমে আমি ঢাকার বেশ কিছু জায়গা দেখতে পেলাম। আপনি দীর্ঘদিন পর ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছেন আশা করে আপনার ভ্রমণ অনেক সুন্দর হয়েছে।

 11 months ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59934.86
ETH 2666.82
USDT 1.00
SBD 2.45