নাটক রিভিউ : " ঝামেলা আনলিমিটেড" ( ৪ থেকে ৬ পর্ব )
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, নাটক রিভিউ ঝামেলা আনলিমিটেড ৪ থেকে ৬ পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
নাটক সসম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাটকের নাম | "ঝামেলা আনলিমিটেড " |
---|---|
পর্ব | ১ থেকে ৬ |
রচনা | আহসান আলমগীর |
টাইটেল ও সম্পাদনা | মনির সরকার |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম , ফজলুর রহমান বাবু, আ.খ.ম হাসান , ফারুক আহমেদ, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সাদিয়া জাহান প্রভা, সোনিয়া হোসেন, কল্যাণ কুরাইশী, তারেক স্বপন, নূরে আলম নয়ন, আমানুর হক হেলার, আকাশ রঞ্জন, ইফফাত তৃষা, শৈলি, এবং মামুনুর রশীদ। |
গানের কথা | রেজা শানূ |
সুর এবং সংগীত | যে.কে মজলিস |
কন্ঠ | সমরজিৎ রায় |
চিত্রগ্রহণ | মশিউর রহমান, কাউসার রাজিব |
মূল কাহিনী
আপনাদের মাঝে আমি নাটকের প্রথম তিন পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ পরের তিন পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। নাটকের নাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে নাটকটি খুবই সুন্দর এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত হবে। নাটকে মোশারফ করিমকে জমজ দেখানো হয়েছে। নাটকের চতুর্থ পর্বে প্রথমে দেখানো হয়েছে মোশারফ করিমের সাথে তার চোর দলের প্রধান ফজলুর রহমান বাবু সাথে কথা কাটাকাটি হয়। বাবু মোশারফ করিম চোর বলাতে মোশারফ করিম ক্ষেপে গিয়েছে।
ফজলুর রহমান বাবু, মোশারফ করিম সহ তার দলের সকল সদস্যরা একটি মুদি দোকানে যায় কাস্টমার সেজে। তাদের সকলের মূল উদ্দেশ্য হলো দোকানের জিনিসপত্র চুরি করা। প্রথমে দোকানে মোশারফ করিম গেলো। তারপর দোকানদারকে কিছু জিনিসপত্র দিতে বললো। এরপর অন্য সদস্য কাস্টমার সেজে গেলো। সেইও দোকান থেকে জিনিসপত্র নিতে যাচ্ছে খুবই তাড়াহুড়া করে। এভাবে একে একে করে সবাই দোকানে আসলো। দোকানদার একজন হওয়াতে সবাইকে ম্যানেজ করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। দোকানে সবাই যখন জিনিসপত্র নিতেছে ঝামেলার সময় মোশারফ করিম দোকানদারকে বললো তাকে এক হাজার টাকা দিয়েছে। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মোশারফ করিম কোন এক হাজার টাকার নোট দেই নাই।
দোকানদারের সাথে যখন মোশারফ করিমের কথা কাটাকাটি হচ্ছে তখন একজন টাকা না দিয়ে দোকান থেকে কিছু জিনিস নিয়ে চলে যাচ্ছে। দোকানদার যখন ঐ ব্যক্তিকে দোকান থেকে বের হয়ে ধরতে গেলো তখন সবাই দোকানে জিনিসপত্র নিয়ে গেলো। এভাবে দোকান থেকে টাকা জিনিস চুরি করে নিয়ে গেল ফজলুর রহমান বাবু চোরের দল। আ.খ.ম হাসানের ৪০০০ টাকা চুরি হয়ে গেছে। টাকা ফিরে পেতে ব্যাকুল হয়ে গেছে। আ.খ.ম হাসানের চার হাজার টাকা নিয়েছে ফারুক আহমেদ। এই নিয়ে ঝগড়া আরম্ভ হলো বাসার মালিকের সামনে। হাসান চার হাজার টাকার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এজন্য হাসান ফারুক আহমেদকে নানা ভাবে দোষী সাব্যস্ত করছে।
মশারফ করিম যখন মুদি দোকান থেকে চুরি করে বাসায় যায় তখন তার জমজ ভাই তার সাথে আসে দেখা করার জন্য। তার জমজ ভাই তাকে বলে দোকান থেকে কেন চুরি করেছে? চুরির পথে না যেতে তার জমজ ভাই তাকে নানা ভাবে উপদেশ দেয় । কিন্তু মোশারফ করিম তার দল থেকে কোনভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আসতে পারবে না। মোশারফ করিম এখন গভীর চিন্তার মধ্যে আছে সেই কি চুরি করবে না ভালো পথে ফিরে আসবে। এই নিয়ে মোশারফ করিমের ভাইয়ের সাথে মোশারফ করিমের ঝামেলা আরম্ভ হলো। এরপরে নাটকে নাটকের দৃশ্যে দেখা যায় ওয়াহিদা মল্লিক জলি সামান্য কথা নিয়ে সাদিয়া জাহান প্রভার সাথে পছন্দ ঝগড়া আরম্ভ হয়। নাটক মাঝে দেখা যায় একটার পর একটা ঝামেলা লেগে আছে।
ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রেম করতেছে তার প্রেমিকের সাথে রাতে সেই বাসার বারান্দায় এসে মোবাইলে কথা বলতেছে। তার কথা বলা সাদিয়া জাহান প্রভা শুনতেছে এই নিয়ে আবার ঝামেলা শুরু হল।আ.খ.ম হাসান , ফারুক আহমেদ যে বাসায় থাকে সে বাসায় মোশারফ করিম এসেছে থাকার জন্য। সে বাসার গেটের উপর দিয়ে লাফ দিয়ে বাসার ভিতরে ঢুকেছে। তারপর বাসার মালিককে নানাভাবে বুঝিয়ে বাসায় থাকার ব্যবস্থা করেছে।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি খুবই সুন্দর একটি নাটক। এই নাটক থেকে বুঝা যায় চুরি করলেই কোন না কোন সময় ধরা পরার সম্ভাবনা থাকে। চুরি করা মহাপাপ চুরি করলে যে কোন সময় শাস্তি পেতে হবে। এ নাটকে আরেকটি বিষয় উপলব্ধি করা যায় মেয়েরা সামান্য বিষয় নিয়ে অনেক বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে। কথা যতো কম বলা যায় । তত ঝামেলা মুক্ত থাকা যায়। কথা বলাতেই সকল সমস্যার সৃষ্টি হয়। গ্রামের অনেক লোক শহরে এসে শহরের মানুষকে নানাভাবে জ্বালাতন করে থাকে। এই নাটকের দেখা যায় অনেকে মানিক সাহেবের বাসায় এসেছে। কিন্তু তারা যতোদিন থাকার কথা তার চেয়ে আরো অনেক বেশিদিন থাকছে। এতে করে গ্রামের মানুষের প্রতি তার মূল্যবোধ দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে একটা পর একটা ঝামেলা লেগে থাকে।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের ভিডিও লিংক
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
রেটিং পয়েন্ট দেখে মনে হচ্ছে নাটকটি সুন্দর আছে। এই নাটকটি আমার দেখা হয়নি । সময় পেলে অবশ্যই এটি দেখার চেষ্টা করব।কারন নাটকটির কাহিনি বেশ ভালো লাগলো,গ্রামের মানুষের এই অভ্যাসটা আছে।
নাটক দেখে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই নাটক কখনো দেখা হয়নি। কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত মতামত পড়ে বুঝতে পারলাম এর কাহিনী খুব সুন্দর।সময় পেলে অবশ্যই দেখবো। আমার কাছে এখন বাংলা নাটক দেখতে অনেক ভালো লাগে। খুবই শিক্ষনীয় একটি গল্প আর পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
নাটক রিভিউ দেখে সুন্দর মতামত করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুব সুন্দর করে নাটকের রিভিউ শেয়ার করলেন। নাটকটি যদিও আমার দেখা হয়নি।তবে সময় পেলে দেখব।ধন্যবাদ ভাইয়া খুব শিক্ষনীয় একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জামেলা আনলিমিটেড নাটকের চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ পর্ব পর্যন্ত রিভিউ পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পোস্ট করেছেন আপনি। আসলে চুরি করলে ধরা তো একদিন না একদিন পড়তেই হয়। আর এটা এই নাটকটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যা বুঝতে পারলাম দেখে। খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ রিভিউটা লিখেছেন। পরবর্তী পর্বগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
নাটকের পর্ব গুলো পর্যায় ক্রমে উপস্থাপন করবো। মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।