ছোট গল্প, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস / প্রথম পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের, ছোট গল্প, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রথম পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
রেল স্টেশনের বিষন্ন মনে মাথার এলোমেলো চুলে দাঁড়িয়ে আছে একজন যুবক। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হবে। পরনের জামা কাপড় মোটামুটি ভালো। রেল স্টেশন থেকে সুমন নেমে তার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতেছে। অনেকক্ষণ যাবার পরও সুমন তার বন্ধুকে দেখতে পেলো না তাই সে খুবই বিরক্ত করলো। স্টেশনের পাশে একটি ছোট চায়ের দোকান সুমন মনে মনে ভাবলো বন্ধু আসার পর্যন্ত ঐ দোকানে গিয়ে এক কাপ চা খাওয়া যাক। সে চায়ের দোকানে দিকে যাচ্ছে। তখন সে ঐ বিষন্ন মনের যুবককে দেখতে পেলো। সুমন তাকে কিছু না বলে তার সামনে দিয়ে চায়ের দোকানের দিকে গেলো এবং চা খেয়ে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসলো। তার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করতেছে। সুমন দেখতে পেল ওই যুবক একই স্থানে মূর্তির মতোন দাঁড়িয়ে আছে। সুমনের মনে মনে কৌতুহল জাগলো যুবককে দেখে সুমন হয়তো ভাবলো তার মানসিক সমস্যা রয়েছে।
কিন্তু তাকে দেখতে তো মানসিক রোগীর মতোন মনে হচ্ছে না। সুমন লক্ষ্য করতেছে ঐ লোক কি যেন চিন্তা করতেছে চোখ দিয়ে মাঝে মাঝে পানি পড়ছে। আর এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। সুমনের বন্ধু খুবই দ্রুত হেঁটে তার কাছে আসলো। তার বন্ধু প্রথমে দেরিতে আসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলো । তাদের মধ্যে মত বিনিময় হলো। সুমন ও তার বন্ধু হাত ব্যাগ নিয়ে স্টেশন ত্যাগ করতেছে। তার বন্ধুকে বলতেছে দেখ পেছনে তাকিয়ে আমি এই লোকটিকে অনেকক্ষণ যাবৎ দেখতেছি এ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। আর কি যেন চিন্তা করতেছে তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। তখন সুমনের বন্ধু সুমনকে জিজ্ঞেস করলো তুই ঐ লোকটাকে কিছু জিজ্ঞেস করছোত। সুমন বললো না। সুমনের বন্ধু তখন বললো যখন কিছু জিজ্ঞেস করস নাই তখন এই নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। স্টেশনে এরকম লোক প্রায় সময়ে দেখা যায়।
তখন সুমন বললো আমি জিজ্ঞেস করতে চেয়েছিলাম মনে মনে ভাবলাম আমি তো একা তুই আসলে জিজ্ঞেস করবো তাই আর জিজ্ঞেস করা হলো না। সুমনের বন্ধু বললো আমাদের দেরি হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি বাড়ি যেতে হবে। সুমন বললো চলো না আমরা গিয়ে জিজ্ঞেস করি লোকটির কি হয়েছে। তখন তার বন্ধু বললো আচ্ছা চল আসলে তাকে দেখতে তো মানসিক রোগীর মতোন মনে হচ্ছে না। তবে এভাবে কেন দাঁড়িয়ে আছে এতক্ষণ পর্যন্ত। তখন তারা দুজনে ওই লোকটি নিকট গেলো এবং লোকটি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলো। লোকটির কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে লোকটি সুস্থ এবং শিক্ষিত তবে বড় ধরনের বিপদের মধ্যে পড়েছে মনে হচ্ছে। তারা দুইজন বিভিন্নভাবে জিজ্ঞেস করতেছে তার কি হয়েছে কিন্তু লোকটি কোনভাবে বলছে না তার সমস্যার কথা। তখন তারা বুঝতে পারলো লোকটির নিশ্চয় অনেক বড় সমস্যা হয়েছে কোন কারণ হয়তো আমাদের কাছে তার সমস্যার কথা বলছে না।
তখন তারা লোকটিকে বললো ভাই আপনি আমাদের সাথে হোটেলে চলেন আমরা এখনো নাস্তা করি নাই। আপনাকে নিয়ে একসাথে নাস্তা করবো। প্রথমে সেই না বললেও পরে রেস্টুরেন্টে যেতে রাজি হলো। রেস্টুরেন্টে গিয়ে তারা হালকা নাস্তা করতেছে এবং তারা দুজন ঐ লোক থেকে কথা বের করার চেষ্টা করতেছে। এক পর্যায়ে লোকটি বললো তার কিছু কাগজপত্র স্টেশনে হারিয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ স্টেশনে তার হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র খুঁজেছে কিন্তু পাই নি। এই কারণে তার মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। কি বলেন আপনার কিসের কাজ পত্র স্টেশনে হারিয়েছেন তখন লোকটি চোখে জল নিয়ে বলতেছে আমি বিদেশে যাওয়ার কথা ছিলো আরো ১৩ দিন আগে। বিদেশে যাওয়ার জন্য আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সকলের সাথে বিদায় নিয়ে ঢাকায় এয়ারপোর্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্টেশন এসেছি।
আজ এই পর্যন্ত। আগামী পর্বে আপনাদের সাথে গল্পের বাকি অংশ উপস্থাপন করবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | ছোট গল্প |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের ছোট গল্প আরো উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
ইশ ভাইয়া এমন এক জায়গায় থামলেন কৌতুহল বেড়ে গেলো। কি জটিল একটা মুহুর্তে লোকটির কাগজপএ হারিয়ে গিয়েছে।লোকটি কি তাহলে আর বিদেশে যেতে পারবে না।আসলেই ভাগ্য
নির্মম পরিহাস।ধন্যবাদ
গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম যে লোকটির বিদেশ যাওয়া কেন ক্যানসেল হল আর এমন জায়গায় শেষ করলেন ভাইয়া। যাই হোক মানুষের বিপদে মানুষের এগিয়ে আসা উচিত। সুমনরা তাকে ফেলে রেখে চলে না গিয়ে তার বিপদে তার সঙ্গে কথা বলেছে দেখে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। দেখা যাক কি হয়েছিল লোকটির সঙ্গে। বেশ ভালো লিখেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
পুরো পোস্ট পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।