ফুটবল আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ডুবে গেলো।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন যে, অত্যান্ত ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলছি আজ আমাদের মাঝে থেকে ফুটবল আকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেলো। আমরা যারা ফুটবলকে ভালোবাসি ফুটবলের উন্মাদনা আমরা সব সময় ব্যস্ত থাকি ফুটবল খেলা সম্পর্কে আমরা অবগত তারা অবশ্যই ফুটবলের কিংবদন্তি পেলেকে চিনে থাকবে। আমি পেলেকে খুবই ভালোবাসি। কাতার ২০২২ বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমাদের কমিউনিটিতে যখন বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ডাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে তখন আমি পেলের চিত্র অংকন করেছি। আজ সকালে যখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমাদের মাঝে পেলে আর নেই তখন আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। তার এই পৃথিবীতে না থাকার খবরটি যখন আমি দেখতে পাই আমার কাছে কেমন লেগেছে তা বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে তিনি আমাদের মাঝে নেই এটা ভাবতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমরা জানি পেলে একজন ব্রাজিলীয়ান তারকা ছিলো। একাধারে তিনি তিনবার বিশ্বকাপ জয় করেছেন। পেলে এমন একজন ফুটবল খেলোয়াড় যিনি শতাব্দীর সেরা ফুটবল খেলোয়ার হিসেবে ফিফা কর্তৃক মনোনীত হয়েছে। তিনি ফিফা কর্তৃক গোল্ডেন ফুটবল পুরস্কার পেয়েছেন। ফুটবলের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পেলে সর্বাধিক স্বীকৃত। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জয় করেন। একুশ বছর ক্যারিয়ারে তিনি গোল করেন ১২৮১ টি ।ফুটবলের রাজা বলা হয়ে থাকে পেলেকে। পেলে সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবে না তিনি ফুটবল আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র।
পেলের পুরো নাম - এদসোঁ আরাঁচ দু নাসিমেঁতু। পেলে ২৩ অক্টোবর, ১৯৪০ সালে ব্রাজিলের এক শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দন্দিনহো । পেলের পরিবার খুবই দরিদ্র ছিলো। ছোটকাল থেকে পেলের ফুটবল খেলার প্রতি তীব্র আকাঙ্খা ছিলো। ছোটকাল থেকে পাড়ার ছেলেদের সাথে অনেক ভালো ফুটবল খেলতো পেলে। ১৯৫৭ সাল থেকে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফুটবল খেলা শুরু করেন । ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করেন। পেলে জিতেছিলেন তিনটি বিশ্বকাপ। ফুটবলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ এবং পায়ের নৈপূর্ণ দক্ষতা কারণে তার খেলা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়েছে । তিনি ফুটবল জাদুঘর তিনি একজন ফরোয়ার্ড খেলোয়ার ছিলেন । তিনি বিশ্বের এমন একজন খেলোয়াড় যার কথাতে দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যাকে পৃথিবীর লক্ষ কোটি ফুটবল প্রেমিক ভালোবাসে। পেলে ব্রাজিলের জার্সিতে মোট ৯২ টি ম্যাচ খেলেছে।
ফুটবল ক্যারিয়ারে তার অর্জন অনেক। তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি ছাড়াও অনেক ট্রফি অর্জন করেছেন পেলে। পেলের জীবনী পড়লে আমরা দেখতে পাই সেই তার পিতাকে বলেছিলো একদিন সেই বিশ্বকাপ অর্জন করবে । পরবর্তীতে সে পেলেই তিনটি বিশ্বকাপ জয় করেছে। আসলে তার স্বপ্ন ছিল ফুটবলকে রাজত্ব করবে। যদি আজ আমাদের মাঝে বেঁচে নেই তবুও সে একজন সফলভাবে ফুটবল শাসন করছে । পেলে একজন ফুটবল সম্রাট।
মানুষ মরণশীল তবুও কিছু কিছু মৃত্যু নেওয়া যায় না। মেনে নেওয়া খুবই কঠিন। পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে ৮২ বছর বয়সে ফুটবল কিংবদন্তি পেলে ওপারে পাড়ি জমিয়েছে। তার এভাবে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া আমরা কোনভাবে মেনে নিতে পারছি না। তার চলে যাওয়াতে ফুটবল বিশ্বের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে যার শূন্যতা পূরণ করা সম্ভব নয়। ফুটবল বিশ্ব এক উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারিয়েছে। যদিও তিনি এই পৃথিবীতে আর নেই তবুও, তিনি বেঁচে থাকবেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের হৃদয়ে। ভালোবাসি ফুটবলে
সম্রাট তোমাকে। বিদায় কিংবদন্তি বিদায়। নিশ্চয়ন ভালো থাকবেন ওপারে সৃষ্টিকর্তার কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
আসলে কিছু কিছু প্লেয়ার মরে গেলেও তাদের বসবাস সকল ফুটবল প্রেমীদের অন্তরে রয়ে যায়। তেমনি প্লে এর স্মৃতি থেকে যাবে সবার মাঝে। ধন্যবাদ নিজের অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
তিনি আমাদের স্মৃতিতে অম্লান থাকবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
জনপ্রিয় এই ফুটবল তারকার মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকাহত। আসলে ফুটবলের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হারিয়ে গেল। কয়েকদিন আগে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য এই জনপ্রিয় ফুটবল তারকার ছবি এঁকেছিলেন। যাইহোক এভাবেই হয়তো মানুষ হারিয়ে যায়। পুরো বিশ্ববাসীকে কাঁদিয়ে তিনি চলে গেলেন। সত্যিই সকলে অনেক কষ্ট পেয়েছে।
কমেন্ট করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
খুব একটা খেলা দেখা হয় না। তবে প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা ছাড়া দেখা হয় মাঝে মধ্যে। আর সেভাবে কোনো খেলোয়াড় কে চিনি না। তবে সকাল থেকে এই খেলোয়াড়ের ছবি ফেসবুকে বারবার আসছিল চোখের সামনে। খুবই খারাপ লাগছে। ওপারে উনি ভালো থাকুক এটাই চাওয়া।
পোস্টটি দেখে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
জনপ্রিয় ফুটবলার পেলের মৃত্যুতে আমরা সবাই মর্মাহত।আসলে ভাইয়া পৃথিবীর নিয়ম এটাই কেউ চিরদিন বেঁচে থাকতে পারেনা।তবে পেলে বেঁচে থাকবে আমাদের সবারই অন্তরে আজীবন। ওপারে ভালো থাকবে পেলে।
ওপারে ভালো থাকবে এইটা আমাদের প্রত্যাশা ধন্যবাদ আপনাকে।
এ ছবিগুলো use করা যাবেনা ব্রো। চেঞ্জ করতে হবে।
আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া, আশা করি ভালো আছেন। ভুল করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আশা করি সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ভুল সংশোধনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ফুটবলের রাজার মৃত্যুতে আমরা সবাই
শোকাহত। সত্যিই তিনি ফুটবলের অনেক বড় একটি নক্ষত্র। সে তার নিজের দেশ ব্রাজিলকে অনেক কিছু দিয়েছে। এবং পুরা ফুটবল জাতি তাদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছে। সকালবেলা তার মৃত্যু খবর দেখে খুব খারাপ লাগলো।
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই ফুটবল বিশ্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম পেলে। মে তার জীবন যুদ্ধে অনেক বেশি সফল সে তার নিজের দেশের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ ট্রফি অর্জন করে দেশকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মানুষ মরণশীল মানুষ মরবে এটাই স্বাভাবিক তার মৃত্যুকে মেনে নিতেই হবে। আসলে পেলের জীবন কাহিনী তেমনভাবে পড়া হয়নি তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছুটা জীবন কাহিনী পড়লাম খুবই ভালো লাগলো। আসলে ফুটবল বিশ্ব এরকম একটা পেলে কে হয়তোবা আর কখনো পাবে না থেকে যাবে শুধু তার স্মৃতি জড়ানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
এত সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।