গ্রাম বাংলার খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি কলার মোচা ভাজি।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, গ্রাম বাংলার খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু রেসিপি কলার মোচা ভাজি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
.jpg)
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
| নাম | পরিমাণ |
|---|---|
| কলার মোচা | একটি |
| পেঁয়াজ কুচি | দুইটি |
| রসুন বাটা | পরিমান মত |
| কাঁচামরিচ কুচি | পরিমান মত |
| শুকনা মরিচের গুঁড়া | পরিমান মত |
| হলুদ গুঁড়া | আধা চামচ |
| লবণ | পরিমান মতো |
| সোয়াবিন তেল | ১০০ গ্রাম |
| পানি | পরিমাণমতো ইত্যাদি । |
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
- আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। রান্নার প্রক্রিয়ার কাজ আরম্ভ করছি।
- প্রথমে আমি কলার মোচা থেকে খোসা আলাদা করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- এই পর্যায়ে একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিলাম। তারপর এক চামচ হলুদ দিয়ে কলার মোচা ঢেলে দিলাম ।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- কলার মোচা ভালো করে সিদ্ধ করে নিচ্ছি।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- কলার মোচা ভালো করে সিদ্ধ হওয়ার পর প্লাস্টিকের জালিতে কলার মোচা ঢেলে পানি সরিয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
- এখন আমি কলার মোচা শিল পাটায় বেটে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- এই পর্যায়ে আমি শুকনো মরিচ ভাজি করে গুঁড়া করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৭↙️
- এখন আমি কলার মোচা ভাজি করার প্রক্রিয়া আরম্ভ করছি।
প্রথমে একটি তেলের কড়াই চুলার উপরে বসায়। তেলের কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিলাম। তারপর তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি
রসুন বাটা এবং পরিমাণ মতো লবণ দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
পেঁয়াজ কুচি লাল বর্ণ হলে কলার মোচা ঢেলে কিছুক্ষণ যাবত নাড়িয়ে নিচ্ছি।
↘️ধাপ :- ৯↙️
- এই ধাপে আমি শুকনা মরিচের গুড়া দিয়ে নাড়িয়ে নিলাম।
↘️ সর্বশেষ ধাপ :- ↙️
- কিছুক্ষণ নাড়িয়ে নেওয়ার পর কলার মোচা ভাজি হয়ে গেছে। এখন আমার কাঙ্খিত কলার মোচা ভাজি করা শেষ হয়েছে। এই ভাবে আমি এই রেসিপি টি সম্পূর্ণ করি। যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান। রান্না শেষ করার পর এখন আমি খাবার পরিবেশনের জন্য সুন্দর বাটির মধ্যে তরকারি টি নিলাম।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
| শ্রেণী | রেসিপি |
|---|---|
| ক্যামেরা | realme C55 |
| পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
| লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন ধরনের রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1795810934331724279?t=Q159BTDMEWG388YgFKc5sQ&s=19
আপনার কলার মোচা ভর্তাটা দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে এবং আশা করি খেতেও অনেক মজা হয়েছিল। দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে । এবং আপনি প্রয়োজনীয় উপকরণ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। তার সাথে একের পর এক ধাপ গুলো আপনি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার ভাইয়া। রেসিপিটি দেখতে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। কলার মোচা ভাজি আমার অনেক পছন্দের। আপনার কলার মোচার ভাজি রেসিপি দেখে মনে খেতে ইচ্ছে করছিল। আপনার রেসিপির রন্দন প্রনালিটি প্রতিটি ধাপে সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করার রেসিপিটি সত্যি গ্রাম বাংলার কাছে অনেক জনপ্রিয়। এছাড়াও শহরের বেশ কয়েকজন খেতে খুবই ভালোবাসে। যদিও আমি এখনো খাইনি তবে দেখে খাওয়ার ইচ্ছা জাগছে। ধন্যবাদ ভাই ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কলার মোচা ভাজি করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই রেসিপিটা যে আমার কাছে কতটা ভালো লাগে তা আপনাকে আমি বলে বোঝাতে পারবো না। এই রেসিপিটা দেখেই যেন লোভ লেগে গেছে।
দারুন দারুন। আজকে আপনি আমাদের মাঝে একটা চমৎকার খাবারের রেসিপি নিয়ে এসেছেন। আসলে এটি শুধুমাত্র গ্রাম বাংলার নয় এটি এখন শহরের অন্যতম একটা প্রিয় খাবার। আসলে এই ধরনের খাবারে পুষ্টির গুনাগুন অনেক বেশি থাকে। আসলে আপনি এই কলার মোচার ভাজিটি তৈরীর প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং আমরা আপনার এই রেসিপিতে দেখে পরবর্তীতে এই কলার মোচা ভাজি বাড়িতে তৈরি করতে পারব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া সত্যি মজাদার এই রেসিপিটি।শুধু মজাদার নয় অনেক পুষ্টিকরও এই রেসিপিটি। আপনি চমৎকার সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
কলার মোচা ভাজি এর থেকে ভর্তা করলে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। কলাগাছ থেকে একাধিক খাবার পাওয়া যায়। কলার মোচা ভাজি রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। যদিও এই জিনিস শহরাঞ্চলে একেবারেই পাওয়া যায় না। খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন রেসিপি টা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।।
কলার মোচা ভাজি আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। গ্রামের বাড়িতে গেলে এই খাবারটি খাওয়া হয়। আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করেছেন আর আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে। আমার তো দেখে খেতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া। গ্রামের বাসায় গেলে এই খাবারটি খাওয়ার চেষ্টা করবো।