শারদীয় দুর্গা পূজায় কাটানোর অনুভূতি/ প্রথম পর্ব
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, শারদীয় দুর্গা পূজায় কাটানোর অনুভূতি এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
কয়েকদিন আগে হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। আমাদের বাংলাদেশের মানুষ খুবই সহনশীল। প্রত্যেক মানুষ অন্য অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রত্যেক মানুষের ধর্মের আচার অনুষ্ঠান আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু ধর্মের অনুষ্ঠানের উৎসব বা, আনন্দ সবাই উপভোগ করে থাকে। এইটাই বাংলার মানুষের সবচেয়ে বড় সংস্কৃতি। প্রত্যেক মানুষ অন্যের ধর্মের প্রতি সহনশীল এবং অন্যের ধর্মের উৎসব আনন্দের মুহূর্তগুলো সবাই ভাগাভাগি করে নেয়। আমাদের হিন্দু ধর্ম অবলম্বীদের অনেক ধরনের উৎসব রয়েছে। তার মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজা অন্যতম। এই উৎসব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়।
তাই আমাদেরও এইসব আচার অনুষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ হয়। যদি আমি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে তেমন বেশি অবগত নয়। আমাদের এলাকাতে হিন্দু পরিবার নেই তাই একেবারে কাছ থেকে তাদের উৎসব আনন্দ সম্পর্কে তেমন একটা জানি না। মাধ্যমিক স্কুল থেকে হিন্দু ধর্ম অবলম্বী বন্ধুদের সাথে পরিচয়। সে সুবাদে তাদের আচার অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানা হলো অনেক কিছু । হিন্দু বন্ধুদের বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে গিয়েছি। বিশেষ করে শারদীয় দুর্গোৎসব এলে তারা আমাদের নিমন্ত্রণ দিতো তাদের পূজা তে যেতে। । পূজার সময় বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ, পিঠা, প্রসাদ আমাদের জন্য নিয়ে আসতো। পূজার পাশে আবার মেলা হতো। তারা নিমন্ত্রণ দিলে তাদের পূজা তে যেতে বেশ আগ্রহী হতাম।
সেই মুহূর্তগুলো এখনো হৃদয়ের মাঝে বারবার জাগ্রত হয়। অনেক কিছুই আমাদের পরিবর্তন হয়েছে এখন। বন্ধুরা এখন সবাই তো কর্মব্যস্ত দূর দুরান্তে রয়েছে। শারদীয় দুর্গোৎসব আসলে তাদের কথা খুব মনে পড়ে এখনো। একসাথে এখন আর সবাই মিলে পূজাতে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে পারি নাই। ইচ্ছে থাকলেও বন্ধুদের সাথে পূজার মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারি নাই। আসলে বলা যায় যে সময়ের কাছে অনেক কিছুই হেরে যায়। তবে এখনো অনেক বন্ধু তাদের বাড়িতে দাওয়াত দেয়। কিন্তু ব্যস্ততা কারণে যাওয়া হয় না তেমন একটা। বন্ধুদের সাথে কাটানো উৎসবের মুহূর্ত গুলো খুব মিস করি এখন।
এবারে শারদীয় দুর্গোৎসবে অনেক বন্ধুদের সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। তবে শারদীয় দুর্গোৎসবে মাত্র দুই জন বন্ধু গ্ৰামে রয়েছে। আর সবাই কর্মব্যস্ততায় মধ্যে দিন কাটছে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন শহরে। যে দুজন রয়েছে তারা দুর্গোৎসব অনুষ্ঠান হওয়ার আগে আমাকে দাওয়াত দিয়েছে উৎসবে আসার জন্য। আমি উৎসবের দ্বিতীয় দিন গিয়েছি। প্রথম দিন ব্যস্ত থাকার কারণে যেতে পারি নি। পূজাতে গিয়ে প্রথমে তাদের সাথে দেখা করে খুব ভালো লাগলো। অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হলো। আমি সন্ধ্যার মুহূর্তে গিয়ে পৌঁছি। আমাদের উপজেলাতে একটি মাত্র পূজা মণ্ডল রয়েছে।
এখানে বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে বড় পরিসরে পূজা উদযাপন হয়ে থাকে। পুরো উপজেলা মানুষ এখানে আছে পূজা করতে। আবার অন্যের ধর্মের মানুষ আসে দর্শনার্থী হিসেবে পূজা দেখতে। প্রতি বছর এই জায়গায় বেশ উৎসবের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন হয়ে থাকে। আমি যখন পূজাতে গিয়েছি তখন তাদের কীর্তন চলছে। বন্ধুরা আমাকে কিছু ফল সন্দেশ এবং প্রসাদ দিলো। দুজন বন্ধুর মধ্যে একজন পূজার দায়িত্ব রয়েছে। আমি যখন গিয়েছি তোমার পূজাতে মানুষ খুব কম ছিলো । সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে মানুষের সমাগম বাড়তে আরম্ভ করছে।
সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন আলোকসজ্জার মাধ্যমে মূল পর্ব আরম্ভ হলো। তারা ঢাক-ঢোল, শঙ্খ-ঘন্টা বাদ্যের সম্মিলিত ঐকতান, ধূপ-ধুনোর সুগন্ধী ধোঁয়া, ফুল-মালা,কর্পূরের মিলিত সুবাসে মধ্য দিয়ে পূজা আরম্ভ করে দিলো। আমিও চেয়ারে বসে বেশ সুন্দর ভাবে ভাবে পূজা উপভোগ করছি। আজ আর নয় । আগামী পর্বে শারদীয় দুর্গা পূজায় কাটানোর পুরো অনুভূতি শেয়ার করবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/MdAgim17/status/1847291142033035570?t=iPz9kJiKfTi3wAweyMuNZg&s=19
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই অনুভূতিমূলক একটি পোস্ট দেখে। যেখানে আপনি পূজার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এবং সেখানে দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আমার খুব ইচ্ছে ছিল এবার পূজার অনুষ্ঠান গুলো দেখতে যাওয়ার এবং মেলাগুলো ভ্রমন করার। কিন্তু সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যাই হোক আপনি ঘোরাঘুরি করেছেন এবং দারুন কিছু ফটো ধারণ করেছেন। দেখে বেশ ভালো লাগলো
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
পূজার অনুষ্ঠানের সময় কাটিয়েছেন দেখলাম। আমার অবশ্য দেখতে যাওয়া হয়নি তার পরেও আপনাদের মাধ্যমে অনেক কিছু দেখাও জানার সুযোগ পেয়েছি। আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন পূজার অনুষ্ঠান সম্পর্কে। আর এরই মধ্য দিয়ে বেশ কিছু দেখাও জানার সুযোগ পেয়ে গেলাম।
বেশ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
Thank you very much.
আপনার অনুভূতিকে আমি অন্তর থেকে সম্মান জানাই। উৎসব মানেই মিলনক্ষেত্র। বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে আনন্দ হইহুল্লোড় করার একটি সুযোগ। যে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহুদিন যাদের সাথে দেখা হয় না তাদের সাথে দেখা হয়ে যায়। তবে একটা কথা ঠিকই বলেছেন বর্তমানে কর্ম ব্যস্ততা এতই বেশি সবটাই কেমন যেন স্মৃতি।আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখলাম বাংলাদেশে কেমন পুজো হয়। আলো ঝলমলে পরিবেশের মধ্যে দেব দেবীদের মূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
জি আপু , বিভিন্ন হরেক রকমের আলোকসজ্জার পরিবেশের মধ্যে দেব দেবীদের মূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।