প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীতে আমার অনুভূতি জানাতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
https://pixabay.com/photos/fantasy-light-mood-heaven-lovely-2861107/
আসুন শুরু করি
আমরা সকলেই অবগত আছি যে, আজ বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী। আজকের এই দিনে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে আমাদের সকলের প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেছেন। জন্মবার্ষিকী প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। প্রিয়া কবি জন্মদিনের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাই। আসলে প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হচ্ছে একটি চেতনার নাম একটি বিদ্রোহীর নাম একটি মানবতার নাম একটি সাম্যের নাম। শ্রদ্ধেয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে লেখার মতোন যোগ্যতা আমার নেই। তবুও কবির জন্ম বার্ষিকীতে কবির প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় মনে অনুভূতি গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।
কবির পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতার জাহেদা খাতুন। কবির নাম দুখু মিয়া আমরা সকলেই জানি। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। কাজী নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবি বা, সাম্যের কবি হিসেবে সকল নিকটে ব্যাপক পরিচিত। প্রিয় কবির বিদ্রোহী কবিতার জন্য পৃথিবীর সকল মানুষের নিকট বেশ প্রশংসিত এবং সমাদৃত। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলা সাহিত্যে এমন কোন শাখা প্রশাখা নেই যেখানে প্রিয় কবি বিচরণ করেন নি। তিনি একাধারে ঔপন্যাসিক ,কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার,প্রাবন্ধিক, গল্পকার,সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার ছিলেন। আসলে আমি খুবই বিস্মিত হই কিভাবে কুড়ের ঘরে বসবাস করে অত্যন্ত দরিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে তিনি সাহিত্যের এত শাখা-প্রশাখা বিচরণ করেছেন।
আসলে আমি যখন প্রিয় কবির জীবনী পড়ি তখন সত্যিই খুবই আশ্চর্য হয়ে যায় । দারিদ্রতার সাথে সংগ্রাম করে এত এত অল্প বিদ্যা গ্রহণ করে কোন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ে কুড়ের ঘরে বসে কিভাবে কবি বিদ্রোহী কবিতা রচনা করেছেন? কিভাবে সাম্য মানবতার গান গেয়েছেন? কিভাবে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন বেগবান করেছেন? যার কারণে কবিকে ব্রিটিশদের কারাগারে যেতে হয়েছে বারবার। আসলে তিনি শুধু একজন কবি নন মুসলিম হিসেবে তিনি একজন সত্যিকার সাধক । গজরের মাধ্যমে কবি তার সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) এবং নবীর প্রতি বিশ্বাস এবং প্রেমের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। তিনি দারিদ্রতার মাঝে সংগ্রাম করেছেন তবুও ব্রিটিশদের টাকার কাছে বিক্রি হন নি।
বর্তমানে আমরা অনেক কবি, সাংবাদিক, গীতিকার উপন্যাসিকদের দেখতে পায় যারা সামান্য পদ পদবী নিজের নামের জন্য রাজনৈতিক দলের হয়ে অন্যায়কে সত্য বলে কবিতার ছন্দে উপন্যাসের প্রতিটি লাইনে সংবাদিকতার কলমের উপস্থাপন করে থাকে। শ্রদ্ধেয় নজরুল এমন একজন কবি তার এমন কোন লেখা নেই যে কোন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য। তিনি সব সময় সাম্যের গান গেয়েছেন মানুষ হিসেবে মৌলিক অধিকার গুলো ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন বারবার। অগ্নি জোড়া বিদ্রোহী কবিতা লিখেছেন, মেহনতি মানুষের হৃদয়ের অনুভূতিকে কবিতার ছন্দে উপস্থাপন করেছেন, গ্রাম বাংলার সাধারণ হতদরিদ্র মানুষের জীবনী গল্পের চরিত্রে উপস্থাপন করেছেন। তার প্রতিটি নাটক, গল্প,উপন্যাস কবিতা ছিল সত্যি খুব অসাধারণ। গ্রামের সাধারণ নিরীহ অবহেলিত জ্বলুক শোষণের শিকার মানুষের জীবনযাত্রাকে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
নজরুল এমন একজন কবি যিনি মানবতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। মানুষ কোন ধর্মের কোন বর্ণের কোন গোত্রের কখনো বিবেচনা করেন নি মানুষ হিসেবে শ্রেষ্ঠ এটাই তিনি প্রমাণ করেছেন তার কবিতার ছন্দে বারবার। তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ বিশ্ব দরবারে। তার লেখনীর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে নিয়ে গেছে উচ্চ মর্যাদায়। তার অসামান্য অগ্নিবীণ কবিতা বাংলা ভাষার জন্য খুবই অসাধারণ। কবিতার প্রতিটি শব্দ অনেক অর্থই বহন করে।
বল বীর বল উন্নত মম শির!
শির নেহারি’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
বল বীর বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
বাংলা সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তার পদচারণায় ছিলো মুখর। বাংলা সাহিত্যকে তিনি করেছেন সমৃদ্ধ। তবে আজ অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় নজরুল কোন বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন নি । সাহিত্য অবদানের জন্য আজ আমরা দেখতে পাই সামান্য কয়েকটি কবিতা গল্প রচনা করে অনেক সম্মানে ভূষিত হয়ে যায়। নজরুল কোন সম্মানে ভূষিত না হলেও তিনি থাকবেন সত্য মানবতার মনুষত্ববো বিবেকবান সকল মানুষের হৃদয়ের মাঝে। অন্যায়ের কাছে যারা মাথা নত করে না সত্যকে যারা লালন করে তাদের হৃদয়ে থাকবে নজরুল।
নজরুল তুমি আমার চেতনায়
তুমি আমার হৃদয়ের মনি কোঠায়
তুমি উজ্জ্বল নক্ষত্র হৃদয়ের আকাশে
তুমি অম্লান তুমি অমলিন তুমি সত্যের অগ্নিশিখা।
তুমি আমার সাহিত্য বিচরণের প্রেরণা
তোমার প্রতি রইল হৃদয়ের মুঠো মুঠো ভালোবাসা
তোমাকে জানাই হে প্রিয় কবি
সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
আমার পক্ষ থেকেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্য রইল অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া কাজী নজরুল ইসলামের মতো কবি কখনো কারো পক্ষে নিয়ে বা কাউকে খুশি করে কোন কিছুই তিনি করে যাননি বরং তিনি সকলের জন্য কিছু না কিছু তার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এরকম কবি পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার আমরা অনেক ভাগ্যবান তাই আমরা এরকম একজন মহান কবিকে আমাদের জাতীয় কবি হিসেবে পেয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া জাতীয় কবির এই জন্মবার্ষিকীতে আপনি আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1661804924878082048?s=20
প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রশংসা করতে গেলেও মনে হয় কম হয়ে যাবে। তিনি জাতি, ধর্ম ,বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য মানবতার ছিলেন। আমরা বড়ই সৌভাগ্যবান তার মত একজন কবি পেয়ে। তার প্রতিটি উপন্যাস, কবিতা, গান, কিংবা গজল যাই বলি না কেন এক কথায় অসাধারণ। তাই আপনার সাথে সাথে আমিও বলছি,প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম, বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
এত সুন্দর মন্তব্য করে প্রিয় কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই।
আপনার প্রতিও নজরুল জয়ন্তী এর অনেক শুভেচ্ছা রইল। কাজী নজরুল ইসলাম শুধু একজন কবি নয় উনি ছিলেন সংগ্রামী একজন মানুষ। নজরুলের অনেক কবিতা আমার ভালো লাগে। তবে নজরুল তেমন কোন পুরষ্কার বা উপাধি পাননি এটা ভেবে খারাপ লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাই
প্রথমেই আপনাকে জানাই নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। প্রথমেই কাজী নজরুল ইসলামের সম্পর্কে যেই কথাগুলো লিখেছেন এগুলো অনেক আগে বইতে পড়েছিলাম এখন অনেকটাই ভুলে গিয়েছি। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আবার মনে পড়ল। আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন অল্প শিক্ষায় কুড়েঘরে এত কষ্টের মধ্যে থেক ও তিনি যেভাবে তার কবিতা সাহিত্য ও সাম্যের গানের জন্য সবার মধ্যে উঠে এসেছেন সত্যি অকল্পনীয়। এখনকার কবিরা বিভিন্ন অন্যায়ের মাধ্যমে বিভিন্ন পদবী পেয়ে থাকে। কিন্তু তখন কাজী নজরুল ইসলামের লেখা তার কবিতা তার সাম্যের গান গুলোই তাকে পদবী দিতে বাধ্য করেছে।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ।
নজরুল চিরকালের একজন দুঃখী কবি এবং লেখক। সারাজীবন দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছেন। এসবের মধ্যেই উপহার দিয়েছেন অসামন্য সব কবিতা গান। তার বিদ্রোহী কবিতা এখনো শুনলে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়। তার কারার ঐ লৌহকপাট গানটা শুনলে যুদ্ধের প্রতিবাদের চেতনা জেগে উঠে। জাতীয় কবি কে নিয়ে সুন্দর লিখেছেন ভাই।।
এত সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।