খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত /প্রথম পর্ব
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত কাটানোর অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
বিয়েতে যাওয়ার আনন্দ এবং অনুভূতি দুটি খুব অন্যরকম বিয়েতে কাটানো মুহূর্ত গুলো খুবই চমৎকার হয়ে থাকে। কারণ বিয়েতে গেলে আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হয় বন্ধু বান্ধবের সাথে সময় কাটানো যায়। সকলে মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করা যায় তার সাথে সাথে পছন্দের খাওয়া দাওয়া তো হয়েছে। আসলে আমি বা, আপনি যদি ইচ্ছে করি বিয়ে ছাড়া এমনি যে কোন অনুষ্ঠানে তিন দিনের জন্য সকল আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব একসাথে দাওয়াত দেওয়া সম্ভব হবে না। আর দাওয়াত দিলেও সকলে আসবে না। কিন্তু বিয়েতে ব্যস্ততা থাকলেও সবাই আসে।
বিয়েতে দুই বা, তিন দিন বর বা, কনের বাড়িতে অবস্থান করতে পারলে আনন্দটা খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। সাধারণত বিয়েতে তিন দিনের জন্য দাওয়াত দেওয়া হয় প্রথম দিন গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান, দ্বিতীয় দিন কনের বাড়িতে অনুষ্ঠান আর তৃতীয় দিন বরের বাড়িতে অনুষ্ঠান। অর্থাৎ বিয়েতে গেলে এ তিন দিন অনায়াসে সকলের সাথে খুবই সুন্দর মুহূর্ত পার করা যায়। তাই আমি শত ব্যস্ততার মাঝে যে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে চেষ্টা করে থাকি। ছোটকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে বা, আমার পরিবারকে বিয়ে দাওয়াত দিয়েছে আমি যাই নি এমন ঘটনা কখনো ঘটে নি।
বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা শুনলে আমার মনের মাঝে এক রকম আনন্দ কাজ করে। আসলে বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া চেয়ে সকল সাথে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার অনুভূতি গুলো খুব অসাধারণ। বিশেষ করে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমরা যেই ফটোগ্রাফি করে থাকি মাঝে মধ্যে আমরা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে থাকি। তখন খুবই ভালো লাগে আমাদের কাছে বিয়ের কাটানো স্মৃতি গুলো বারবার মনে পড়ে।
আমার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে এক সপ্তাহ আগে আমাদের পরিবার সবাইকে দাওয়াত দিয়েছে। আম্মাকে বলেছে গায়ে হলুদের আগের দিন যেতে। খালাতো ভাইয়ের নাম হোসেন। কয়েক বছর প্রবাসে ছিল। প্রবাস থেকে এসে বিয়ে করতেছে। আমার সাথে খালাতো ভাইয়ের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমার খালাতো ভাই চারজন। যার বিয়ে হচ্ছে সেই সবার ছোট। পরিবারের সবার ছোট ছেলে বিয়ে বলে কথা সকল কিছুতে একটু অন্যরকম আয়োজন করার প্রচেষ্টা সবার মাঝে। তাই সুন্দর ভাবে বিয়ে আয়োজন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হলো। আমি গায়ে হলুদের দিন বিকেল বেলা খালাদের বাড়িতে গিয়ে উঠলাম।
আমাকে দেখে আমার খালাতো ভাই কয়েকটি দায়িত্ব অর্পণ করে দিলেন। তার মধ্যে অন্যতম স্টোজ সাজানো, এবং গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য টেবিল সাজানো অর্থাৎ টেবিলের উপর বিভিন্ন ফলের ডিজাইন, কেক এবং বিভিন্ন রকম ফুল দিয়ে সাজানো দায়িত্ব আমাকে করতে হবে। আমি তার একমাত্র খালাতো ভাই তাই দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে দায়িত্ব পালন না করে উপায় নেই। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে লাল, নীল সবুজ বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জা বিয়ের আনন্দ আরো কিছুটা বাড়িয়ে দিলো। বিভিন্ন রকম আলোকসজ্জা দেখে ছোট ছেলে মেয়েরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলো।
আজ আর নয় । আগামী পর্বে আবার আপনার সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
জি ভাই বিয়ে বাড়ি মানেই হলো আনন্দ অনুভুতির ছোয়া ৷ যদি হয় আবার খালাতো ভাই ৷
আপনি দেখি খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্তের প্রথম পর্বে সব ফলের কাটা ডিজাইন করেছেন ৷ অনেক সুন্দর লাগছিল দেখতে ৷ এরপর নিশ্চয়ই বিয়ের অনেক কিছু দেখবো ৷
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, বিয়ে ছাড়া কিংবা কোন ওকেশন ছাড়া সব ধরনের আত্মীয়-স্বজনকে একসাথে মিলানো কখনো সম্ভব হয় না। আপনার খালাতো ভাই আপনাকে কতগুলো দায়িত্ব অর্পণ করে দিয়েছেন আপনি খুব সুন্দর ভাবে পালন করেছেন এবং সাজানো গোছানো সবকিছুই কিন্তু অনেক সুন্দর লেগেছে ।ভালো লাগলো আপনার বিয়ের বাড়িতে কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার কারণে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি দেখে এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1662904056883605504?s=20
ভাইয়া আপনি তো দেখছি খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে যে দায়িত্ব দিয়েছিল,তা খুব সুন্দরভাবে পালন করেছেন। আসলে বিয়ে বাড়ির আনন্দ টা অন্যরকম। আপনার প্রত্যেকটা ফলের সাজানো টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে উপস্থাপন করার জন্য।
চমৎকার মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একমাত্র বিয়ে বা কোন অকেশনেই আমরা সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারি। আপনি তো দেখছি খালাতো ভাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে বেশ সুন্দর করে সময় কাটিয়েছেন। আবার বিয়ের অনেক দায়িত্বও আপনি পেয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ঠিক বলছেন আসলে আমার কাছে অন্য জায়গার চেয়ে বিয়েতে যাইতে অনেক বেশি ইচ্ছা করে কারণ বিয়েতে গেলে অনেক আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা হয়। তাছাড়া বিয়ের মধ্যে বেশ সুন্দর আয়োজন করা হয় দেখলে বেশ ভালই লাগে। এর মধ্যেও আরেকটা অন্যতম কাজ হচ্ছে বেশ মজার মজার খাওয়া-দাওয়া করা হা হা হা। অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন আপনি খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে যেয়ে।
এত দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বিয়ে এবং কোনো উপলক্ষ্য ছাড়া আসলেই সব আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে উঠেনা।আপনি আপনার খালাতো ভাইয়ার বিয়েতে বেশ মজাই করেছেন বুঝতে পারলাম।আর বিয়েতে তো এমনিতেই অনেক মজা হয়।ফ্রুট ডেকোরেশন গুলো চমৎকার ছিল জাস্ট।অনেক ভালো লেগেছে আমার।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এত চমৎকার মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।