নাটক রিভিউ : " ঝামেলা আনলিমিটেড" ( ১০ থেকে ১২ পর্ব )
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, নাটক রিভিউ ঝামেলা আনলিমিটেড ১০ থেকে ১২ পর্ব নিয়ে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
নাটক সসম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাটকের নাম | "ঝামেলা আনলিমিটেড " |
---|---|
পর্ব | ১ থেকে ৬ |
রচনা | আহসান আলমগীর |
চিত্রনাট্য পরিচালনা | শামীম জামান |
নির্বাহী প্রযোজক | মোঃ রফিকুল ইসলাম |
টাইটেল ও সম্পাদনা | মনির সরকার |
অভিনয়ে | মোশারফ করিম ছদ্মনাম (সোবাহান) , ফজলুর রহমান বাবু (বাতেন), আ.খ.ম হাসান (সবুজ) , ফারুক আহমেদ (মিজান), ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সাদিয়া জাহান প্রভা (গোধূলি), সোনিয়া হোসেন, কল্যাণ কুরাইশী, তারেক স্বপন (কপিল), নূরে আলম নয়ন, আমানুর হক হেলার (সেলিম), আকাশ রঞ্জন, ইফফাত তৃষা, শৈলি, এবং মামুনুর রশীদ। |
মূল কাহিনী
গত পর্বে আমি নাটকটির সপ্তম থেকে নবম পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। আজ দশম থেকে দ্বাদশ পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। নাটকটির যেহেতু অনেক পর্ব রয়েছে তাই নাটকটি ধারাবাহিক ভাবে দেখতে থাকলে নাটকের দৃশ্যপট বুঝা যায়। হঠাৎ করে একটি পর্ব দেখলে নাটকের দৃশ্যপট তেমন একটা দেখা বুঝা যায় না। নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশারফ করিম ও ফজলুর রহমান বাবু । দশম পর্বের শুরুতে দেখা যায় ফজলুর রহমান বাবু ছদ্মনাম (বাতেন) মোশারফ করিমকে ছদ্মনাম (সোবাহান) খোঁজার জন্য তার বাসায় এসেছে। বাসায় এসে সেই বাসার মধ্যে থাকা অন্যান্য লোকদের সাথে তর্কে জড়িয়েছে। সোবাহান কে খোঁজা নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক করার পর কপিল বাতেন কে বাসা থেকে বের করে দেয়। বাতেন হচ্ছে সোবহানের ডাকাত দলের সরদার।
বাতেন যখন সোবাহান কে খুঁজতে বাসায় এসেছে সোবাহান তখন গোধূলির ঘরের মধ্যে লুকিয়েছে। বাতেন বাসা থেকে যাওয়ার পর সে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। সোবাহান লুকিয়েছে দেখে গোধূলি তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা মশকরা করছে । তাকে নিয়ে নানা ধরনের কথা বলতে লাগলো। সে একজন পুরুষ মানুষ কেন মহিলাদের ঘরের মধ্যে লুকিয়েছে? তার কি সাহস নাই বাইরে গিয়ে যে লোকটি খুঁজতে এসেছে তার সাথে মোকাবেলা করার। কি কারনে লোকটি তাকে খুঁজতে এলো? সে কেন বাসার মধ্যে এতক্ষণ লুকিয়ে আছে। এই সব বিষয় সোবাহান কে বলতে লাগলো গোধূলি। গোধূলি অনেক কথায় উত্তর দিয়ে অবশেষে মোশারফ করিম ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
আ খ ম হাসান ছদ্মনাম সবুজ তার ছাত্রীকে পড়ানোর জন্য বাসায় গিয়েছে। ছাত্রীকে যখন বিজ্ঞান বিষয়ে পড়া বুঝিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করে ছাত্রীর কাছ থেকে উত্তর জানতে চাইছে। তখন সে উত্তর না দিয়ে শিক্ষককে উল্টাপাল্টা ধরনের প্রশ্ন করতে লাগলো। ছাত্রী বলতেছে তার মধ্যে কি মায়া মমতা নেই? তার মধ্যে কি ভালোবাসা জাগ্রত হয় না? ছাত্রী শিক্ষককে বলছে তার ফেসবুক আইডি আছে কিনা? এতে করে গেল শিক্ষক বেশ রেগে গেলেন। শিক্ষক এবং ছাত্রীর মাধ্যমে ঝামেলা সৃষ্টি হলো। এক পর্যায়ে ছাত্রী রাগ করে পড়ার টেবিল থেকে উঠে চলে গেলো। তারপরে দৃশ্যে বাতেনের চোরের দলের এক মহিলা সদস্যের সাথে সোবহানের দেখা হয়।
সুবহানকে বাতেনের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য একজন মেয়ে লোক এসেছে। মেয়েটি চেষ্টা করছে বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে বাতেনের কাছে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু সোবাহান মেয়েটির উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তার কোন কথা শুনলো না। মেয়েটিকে তার সামনে থেকে চলে যেতে বলে। নাটকের এই পর্যায়ে গোধূলির ভাই গোধূলির কাছে ফোন করলো। গোধূলি মনে করেছিল তার মা ফোন করেছে তাই সে ফোন রিসিভ করে জিজ্ঞেস করছে মা তুমি কেন এত রাতে ফোন করেছো। পরে গোধূলি ভাই বললো আমি তোর মা নয় ভাই একটা বিশেষ সংবাদ দেওয়ার জন্য তোর কাছে ফোন করেছি মা তোর বিয়ে ঠিক করেছে। বিয়ের কথা শুনে গোধূলি খুব চিন্তায় পড়ে গেল। গোধূলি তার ভাইকে বললো যে ভাবে হোক তুই আর মাকে আমার কাছে ফোন করতে দিবি না।
আমার বয়ফ্রেন্ড আছে তুই তার সাথে কথা বলিস বিশ্বাস না হলে। আপু তোর জন্য কিছু টাকা মোবাইল বিকাশ করে দেব। যেভাবে হোক তুই আমাকে বাঁচা। পরবর্তীতে গোধূলি সবুজের কাছে গেলো প্রেমপত্র নিয়ে। সমস্ত প্রেমপত্র দেখে অস্থির হয়ে গেল সেই বাপরে তাকে সত্যিকারে প্রেমপত্র দিচ্ছে কিন্তু গোধূলি তার সাথে প্রেমের অভিনয় করার জন্য বলতেছে। গোধূলি সবুজকে বলতেছে যেভাবে হোক তার ভাইয়ের সাথে যেন ফোনে কথা বলে সেই যেন বলে আমি তার বয়ফ্রেন্ড। নাটক এই দৃশ্যটি খুবই সুন্দর। সবুজ বলছি কোন ভাবে তার ভাইকে এই কথা বলতে পারবে না। গোধূলি অনেক কষ্ট করে সবুজকে ম্যানেজ করে তার ভাইয়ের সাথে কথা বলার জন্য।
নাটক শেষ অংশে দেখা যায় মিজান সকাল বেলায় নাস্তা টেবিলের উপরে রেখে সে হাত ধুতে বাথরুমে যাওয়ার মধ্যে কে যেন তার নাস্তা নিয়ে চলে গেছে। মিজান এসে নাস্তা না দেখে অনেক খোঁজাখুঁজি করতে লাগলো পরে দেখা যায় মোশারফ করিম ছদ্মনাম (সোবাহান) নাস্তা খাচ্ছে। মিজান ভাবলো তার নাস্তা চুরি করে এনে সে খাচ্ছে। এই নিয়ে মিজান এবং সবাহানের মধ্যে বেশ ঝামেলা সৃষ্টি হলো। সুবাহান অনেক বুঝিয়ে বলার পর মিজান বিশ্বাস করেছে তার নাস্তা সোবাহান চুরি করে নাই । পরবর্তীতে মিজান সবুজের কাছে গিয়ে দেখে সবুজও নাস্তা খাচ্ছে।
সে ভাবলো সবুজ তার নাস্তা চুরি করে এনে খাচ্ছে। নাস্তা খাওয়া নিয়ে সবুজের মাঝেও বেশি ঝামেলা সৃষ্টি হলো মিজান তার নাস্তা চুরি হওয়ার বিষয় নিয়ে সকলের সাথে বেশ ঝামেলা করছে। এই নিয়ে তাদের সকলের মাঝে বেশ ঝগড়া আরম্ভ হলো।
ব্যক্তিগত মতামত
আসলে এই নাটকের প্রতিটি পর্ব বেশ সুন্দর। নাটকের মাঝে বাস্তব কিছু বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মানুষ যে পর্যায়ে থাকুক তার সমস্যা থাকবে। শিক্ষক তার শিক্ষা ক্ষেত্রে ঝামেলা তে পড়বে। দোকানদার তার দোকানদারি করতে গিয়ে ঝামেলার শিকার হবে । একজন পরিবারের প্রধান সে পরিবার সামলাতে গিয়ে বেশ ঝামেলার সম্মুখীন হতে হবে। অর্থাৎ যে কোন মানুষ ঝামেলা ছাড়া নেই। প্রত্যেক মানুষ তার কর্মস্থলে ঝামেলা নিয়ে আসে। মানুষের জীবনে ঝামেলা থাকবে এইটাই স্বাভাবিক। ঝামেলা মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে তা সমাধান করতে হবে হতাশ হলে চলবে না।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের ভিডিও লিংক
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/MdAgim17/status/1681684753672736771?s=20
এতো দেখি ঝামেলা ওয়ালা জীবন। খুঁজে খুঁজে এমন একটি নাটকের রিভিউ করলেন। মোশারফ করিমের নাটক মানেই মজার নাটক। নাটকটি যদিও দেখা হয় নাই। তবুও আপনার রিভিউ দেখে ভাবছি একবার দেখে নিবো।
ধারাবাহিকভাবে পর্ব গুলো দেখলে খুব ভালো লাগবে আপু। এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার রিভিউ পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে।আপনি খুব সুন্দর করে নাটকটির রিভিউ সাজিয়েছেন।এটা দেখে যে কোনো নাটক দেখার আগ্রহ এমনিতেই অনেকটা বেড়ে যাবে সবার।আমারও আগ্রহ বেড়ে গেল নাটকটি দেখার।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।