মৃৎ শিল্পালয়ে প্রতিমা দেখতে যাওয়ার অনুভূতি।

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।

প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, মৃৎ শিল্পালয়ে প্রতিমা দেখতে যাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

ব্যস্ততার কারণে কোথায় ঘুরতে যাওয়া হয় না। পরিবারে একটার পর একটা কাজ লেগে থাকে। শীতকালে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ সম্পন্ন করা খুবই কষ্টকর। কেমনে যেই সময় চলে যায় তা বুঝতে পারি না। কুয়াশা ভেজা সকাল পেরিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন হিম শীতল সন্ধ্যা ফিরে আসে। তারপর আবার নীরব অন্ধকারে রাত পেরিয়ে যায়। তবুও হাতের কাজ শেষ হয় না। প্রতিদিন মনে মনে ভাবি আজকে হয়তো কাজ শেষ করতে পারলে কালকে ফ্রি থাকবো। কিন্তু ভাগ্যের নিয়তি ব্যস্ততা যেই শেষ হয় না। যাইহোক জীবনের ব্যস্ততা থাকবে এটাই প্রকৃতির বাস্তবতা।

তবে জীবনকে সময় দিতে হবে জীবনের জন্য কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করতে হবে নিজের জন্য। হাজার ব্যস্ততার মাঝেও কিছু সময় হলেও জীবনকে উপভোগ করার জন্য নিজের জন্য একান্ত সময় ব্যয় করা উত্তম। তাই পড়ন্ত বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে বেরিয়ে গেলাম গ্রাম দেখতে। যেহেতু শীতেল বিকেল খুব দ্রুত সময় ফুরিয়ে যাবে। তাই পায়ের হাটা খুব দ্রুতগতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কোথায় দাঁড়ায়নি শুধু গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখে যাচ্ছি । আঁকাবাঁকা গ্রাম বাংলা মেঠো পথের প্রাকৃতিক দৃশ্য সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মাঠের পর মাঠ বিভিন্ন রকম শীতকালীন ফসলের দৃশ্য অনেক দারুণ।

হাঁটতে হাঁটতে আমাদের গ্রাম পেরিয়ে অন্য গ্রামে প্রবেশ করলাম। আমাদের গ্রামে হিন্দু বা, সনাতন ধর্ম অবলম্বীদের বসবাসের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু পাশের গ্রামে অনেক বেশি। তাই সেখানে প্রতিমা তৈরীর একটি মৃৎ শিল্পালয় রয়েছে। মাঝে মাঝে সেখানে ঘুরতে যাই তবে আজ কয়েক মাস হয়ে গেলো ঘুরতে যাওয়া হলো না। হাঁটতে হাঁটতে সেখানে পৌঁছে গেলাম। মৃৎ শিল্পালয়ে গিয়ে বিভিন্ন রকম প্রতিমার মূর্তি দেখতে পেলাম। মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমার মূর্তি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। যদিও প্রতিমার মূর্তি গুলো এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে রং করা হয় নি।

মাটি দিয়ে খুব সুন্দর করে প্রতিমার মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। মাটির সাহায্যে বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে হাতের নিপুন ছোঁয়া প্রতিমার মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। কাদামাটি দিয়ে বিভিন্ন রকম ডিজাইন তৈরি করছে। সত্যি কাদামাটির ডিজাইন খুবই অসাধারণ। মৃৎ শিল্পের মাধ্যমে তৈরি করা টালি, ক্ষুদ্র মূর্তি, ভাস্কর্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। কাদামাটি দিয়ে ধীরে ধীরে দক্ষতার সহকারে বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে শোভাবর্ধক মূর্তি ভাস্কর্য তৈরি করা হয়। মূর্তি গুলোর মাঝে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে।

অনেক ধরনের প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। যদিও আমি প্রতিমা গুলো নাম জানি না । তবে আমাদের সনাতন ধর্ম অবলম্বী ভাই বোনেরা দেখে অবশ্যই চিনে থাকবে কোন মূর্তির কি নাম? শিব, গণেশ, রাধা কৃষ্ণ, দুর্গা সহ অনেক রকমের মূর্তি দেখতে পেলাম । সেখানে পাই ১৮ থেকে ১৫ টি মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। মূর্তি গুলো যদি রং করে বিভিন্ন ভাবে সাজানো হয় তাহলে দেখতে সত্যি বেশ দারুন দেখাবে। মৃৎ শিল্পালয়ে ঘুরে ঘুরে দেখলাম । মৃৎ শিল্পালয়ে প্রতিমা দেখতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে কাটিয়েছি। মৃৎ শিল্পালয়ে বিভিন্ন রকম প্রতিমা দেখে খুব ভালো লাগলো।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।

অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।

আমার পরিচিতি

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।