খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত /দ্বিতীয় পর্ব
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে খালাতো ভাইয়ের বিয়েতে কাটানো কিছু মুহূর্ত প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ দ্বিতীয় পর্ব উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। বিয়েতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ করে ছোট ছেলে মেয়েরা। ছোট ছেলে মেয়েরা খাওয়া দাওয়া চেয়ে হৈ হুল্লোড় দৌড়াদৌড়ি সাজ পোশাকের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করে থাকে। গায়ে হলুদে রাত্রি বেলায় সবার জন্য চিকেন বিরিয়ানির সাথে ড়িমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলাম। কারণ আমার হাতে অনেক কাজ রয়েছে। গায়ে হলুদের স্টেজ এর পুরো দায়িত্ব আমার হাতে। পরবর্তীতে সবার সাথে আবার খেলাম। রাত নটার দিকে ভাইয়া কে গোসল করার জন্য বাইরে নেওয়া হয়েছে।
সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি অনুযায়ী তার আপু, ভাবি এবং বাড়ির মহিলারা তাকে গোসল করালো। যেহেতু ভাইকে গোসল করানোর দায়িত্ব মহিলাদের তাই আমি সেখানে যায় নি। আমি শুধু দুই কলসি পানি নিয়ে দিয়েছিলাম । আসলে গোসল করানো সময় সবাই খুব আনন্দ উপভোগ করেছে গ্রাম বাংলার রীতি অনেকক্ষণ সময় নিয়ে ভাইকে গোসল দিলো। গোসল করানোর সময় ভাবিরা অনেক রকমের গান গেয়েছে। গোসল করার সময় সবাইকে আচার, চকলেট সেন্টার ফুট বিস্কুট ইত্যাদি দেওয়া হলো। সাধারণত গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে বরের বাড়ির কিছু লোকজন কনের বাড়িতে এবং কনের বাড়ির কিছু লোক জন বরের বাড়িতে আসে।
কিন্তু ঐদিন রাত্রে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার কারণে কনের বাড়ি কোন লোকজন আমাদের বাড়িতে আসে নি। যদি আসতো তাহলে। আরো অনেক আনন্দ উপভোগ করা যেত সবার সাথে। বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটু সমস্যা হয়েছে ভাইয়াকে স্টেজে নিতে পায় ১১ টা বেজে গিয়েছে। আসলে গায়ে হলুদের মূল সৌন্দর্য এবং আনন্দ হচ্ছে স্টেজ শো। পরিশেষে আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা সফল হলো। স্টেজের সকল কাজকর্ম শেষ করে ভাইয়া কে স্টেজে নিয়ে আসলাম। স্টেজে কে আকর্ষণীয় এবং সৌন্দর্যমন্ডিত করার জন্য বাহারি আলোকসজ্জা পাশাপাশি বিভিন্ন রকম ফুল এবং ফুড কাটিং ডিজাইন এর ব্যবস্থা করলাম।
গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের জন্য কেক আমি নিজেই পছন্দ করলাম কেকের দাম নিয়েছিল ১৬৫০ টাকা। আসলে কেকের ডিজাইন টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আসলে কেক খাওয়া চেয়ে কেকের ডিজাইনটা সবাই বেশি উপভোগ করে থাকে। ভাইয়ার পিতা মাতার অর্থাৎ আমার খালা খালু কেক কাটা মধ্য দিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের মূল পর্ব আরম্ভ করছি। খালা খালু কেক কাটার পরে অনুষ্ঠান জমজমাট হয়ে উঠেছে। সবাই ফটোগ্রাফি করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আসলে ভাইয়াকে সবাই কেক খাওয়াচ্ছে এবং ভাইও সবাইকে কেক খাওয়াচ্ছে এরকম আনন্দ সত্যি খুব দুর্দান্ত। কেক খাওয়ানো সাথে সাথে ফটোগ্রাফি তো আছে।
আমরা আলাদা ফটোগ্রাফার নিয়ে গিয়েছিলাম অনুষ্ঠান কাভার করার জন্য। তারপরও সবাই যার যার মতোন করে বিভিন্নভাবে ফটোগ্রাফি করে নিচ্ছে। আসলে এই ফটোগ্রাফি গুলো জীবনের ডাইরিতে স্মৃতি পাতায় রয়ে যাবে। যখনি মনে পরড়ে তখনই ফটোগ্রাফি দেখে মুহূর্ত গুলো কথা স্মরণ করবে। খাওয়া-দাওয়া ফটোগ্রাফি সহ সবাই খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করতেছে
আজ এই পর্যন্ত আগামী পর্বে আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে। অনুষ্ঠানের পরবর্তী মুহূর্ত গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/MdAgim17/status/1663905794926997512?s=20
দারুন একটি মুহূর্ত আজ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বিয়ের বাড়িতে আনন্দঘন মুহূর্ত মানে নিজেরও অন্যরকম ভালোলাগা। আর সে ভালোলাগাটা আজ আপনি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এত অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ।