মাল্টিপ্লাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের মাল্টিপ্লাগ তৈরি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ ছাড়া আমাদের জীবনের একটি মুহূর্ত চলতে পারে না। দৈনিক জীবনের যাবতীয় কাজকর্ম প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। কর্মক্ষেত্রের সকল যন্ত্রপাতি বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল। তবে কিছু কিছু যন্ত্রপাতি মবিল বা তেলের সাহায্যে ব্যবহার করা হয়। বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের সঙ্গে প্রত্যেক ভাবে জড়িয়ে রয়েছে মোবাইল, ল্যাপটপ আরো অন্যান্য ইলেকট্রিক যন্ত্রপাতি। আর এসব সচল রাখার জন্য সঠিক পদ্ধতিতে চার্জিং এর প্রয়োজন হয়। চার্জ না থাকলে কোন ইলেকট্রিক ডিভাইস সচল থাকে না। এজন্য প্রয়োজন টু পিন বা, থ্রি পিন সকেট। আমাদের সকলের বাসায় একটি বা দুটি টু পিন বা, থ্রি পিন সকেট থাকে। তবে সমস্যা হল দেখা যায় আমাদের টেবিল বা বিছানা যে পাশে রয়েছে সে পাশে কোন টু পিন বা, থ্রি পিন সকেট নেই। থাকলেও একসাথে একাধিক ডিভাইস সম্ভব নয় না এই কারণে মাল্টিপ্লাগে প্রয়োজন দেখা দেয়। নিজের ইচ্ছে মতো জায়গায় একাধিক ডিভাইস চার্জ দেওয়ার জন্য মাল্টিপ্লাগের কোন বিকল্প নেই। বাজারে মাল্টিপ্লাগের অনেক দাম । এজন্য নিজে তৈরি করা মাল্টিপ্লাগ অনেক উত্তম বাজারে থেকে। নিজে তৈরি করা মাল্টিপ্লাগ অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এবং অধিক টেকসই হয় ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ:-
১ - টু নাইন তার (সবুজ এবং লাল তিন গজ)
২ - পি ভি সি বোর্ড
৩ - টু পিন সকেট তিনটি
৪ - টু পিন প্লাগ ও ইন্ডিকেটর একটি
ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি
৫ - ইলেকট্রিক টেস্টার
৬ - প্লাস এবং নোস প্লাস
৭ - স্টার
৮ - ক্যাবেল কাটার
৯ - মাইনাস টেস্টার ইত্যাদি।
আমি যেভাবে তৈরি করেছি তার বিবরণ :-
↘️ধাপ :- ১↙️
মাল্টিপ্লাগ তৈরি করার জন্য আমি যাবতীয় উপকরণ জোগাড় করে নিলাম।
- প্রথমে আমি চার গ্যান পিভিসি বোর্ড নিলাম। বোর্ডটি স্টারের সাহায্যে স্ক্রু খুলে উপরের অংশটি পৃথক করে নিলাম। তারপর পিভিসি বোর্ডটির এক পাশে মাইনাস টেস্টার ও কেবল কাঁটার দিয়ে ছিদ্র করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- এখন আমি ছিদ্র দিয়ে তার দুটি বক্সের ভিতরে প্রবেশ করিলাম। তার দুটি যাতে বাইরে বের না হয় সেজন্য একটি গিট দিয়ে দিলাম। তারপর ইন্ডিকেটর নিলাম।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- এখন আমি ইন্ডিকেটর প্রথম গাটে বসালাম।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- পর্যায়ক্রমে আমি টু পিন সকেট গুলো বোর্ডের মধ্যে বসিয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
*এই ধাপে আমি ইন্ডিকেটর এবং সকেটের পরিমান নিয়ে তারের উপরের অংশটি ক্যাবেল কাটার দিয়ে কেটে বা, ছিলে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- একই ভাবে আমি দ্বিতীয় তার টি উপরে অংশ কেটে নিলাম। এবং টু পিন সকেট এর স্ক্রুপ টেস্টার দিয়ে খুলে নিচ্ছি।
↘️ধাপ :- ৭↙️
লাল তারটিকে পেইজ( +) বলা হয়ে থাকে। এখন আমি টু পিন সকেটের সবগুলো উপরের অংশে তারটি ঢুকিয়ে দিলাম।
সবুজ তারটিকে নিউটন (-) বলা হয়। এখন আমি টু পিন সকেটের সবগুলো নিচের অংশে তারটি ঢুকিয়ে দিলাম। এবং স্ক্রুপ গুলো লাগিয়ে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
এই পর্যায়ে আমি বোর্ডের মধ্যে উপর অংশটি লাগিয়ে নিলাম
↘️সর্বশেষ ধাপ :↙️
পরিশেষে আমি টু পিন প্লাগটি লাগিয়ে নিলাম।
আশা করি আমার কাঙ্খিত মাল্টিপ্লাগ তৈরি সম্পূর্ণ হয়েছে। আরো কোন কাজ বাকি নেই। এইভাবে আমি মাল্টিপ্লাগ টি তৈরি সম্পূর্ণ করি। আমি মাল্টিপ্লাগটিতে মোবাইল, লাইট এবং ছোট চার্জার ফ্যান চার্জ দিলাম।
যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পোস্ট বিবরণ :-
শ্রেণী | ডাই |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের ডাই পোস্ট আর উপস্থাপন করবো।, ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
এই ধরনের টেকনিক্যালি কোন আইডিয়া আমার নেই তাই কোথায় ভুল ছিল সেটা আমি বুঝতে পারছি না ভাইয়া। তবে আমার মনে হয় বাজারে বেশি টাকা দিয়ে না কিনে খুবই অল্প উপকরণ কম দামে কিনে বাসায় মাল্টিপ্লাগ বানিয়ে খুবই ভালো কাজ করেছেন। অনেক প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যারা ই ধরনের কাজ জানেন তারা খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বিদ্যুৎ ছাড়া আসলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চলা মুশকিল এবং রিসেন্টলি এটা বেশি টের পেয়েছি দিনে ৫-৬ বার বিদ্যুৎ যাওয়ার ফলে। মাল্টিপ্লাগ খুব উপকারী একটি জিনিস। যেকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস চার্জ বা বিদ্যুতের দ্বারা চালনা করার জন্য মাল্টিপ্লাগের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে বাজারে মাল্টিপ্লাগ এর দাম কিছুটা বেশি। সেই মাল্টিপ্লাগ যদি বাসায় বানানো যায় তাহলে খরচও অনেক কমে যায় যা আপনার শেয়ার করা বিলের মাধ্যমে বোঝা যায় আবার খুব শক্তিশালী হয়। আপনি মাল্টিপ্লাগ বানানোর পদ্ধতি বিভিন্ন ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যদিও সবাই এভাবে বানাতে পারবে না। তবে যারা কিছুটা হলেও ইলেকট্রিক কাজ পারে তারা চেষ্টা করলে বানাতে পারবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাই নিজের হাতে তৈরি করা জিনিস ব্যবহারে অন্যরকম একটা অনুভূতি আসে। আপনার মত ঠিক আমার ব্যবহারই জিনিসপত্রগুলো নিজের হাতে তৈরি করা। ইলেকট্রিক্যাল সকল জিনিস আমি নিজের হাতে তৈরি করে সেগুলো ব্যবহার করে থাকি। আর আপনি একটি বোর্ড তৈরি করার পাশাপাশি অনেক সুন্দর ভাবে ধাপগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমি টু পিন থ্রি পিন এই বিষয়গুলো একদম বুঝি না। তবে আপনার পোস্টটি পড়ে এতোটুকু বুঝতে পেরেছি যে, আপনি একজন দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
আমি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার না। মোটামুটি কাজ বুঝি আরকি। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আপনার আইডিয়ার প্রশংসা করতে হয়। আপনি তো দেখছি খুব সুন্দরভাবে পুরাতন জিনিসকে নতুন ভাবে তৈরি করে নিয়েছেন। আপনার এই আইডিয়া আমার কাছে অনেক লেগেছে। নিজের হাতে মাল্টিপ্লাগ তৈরি করেছেন। মাল্টিপ্লাগ বানানোর পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।