তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার চতুর্থ পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের, তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার চতুর্থ পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
source
Device :- Redmi note 7
গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় গৃহস্থ সামগ্রী এবং বাচ্চাদের নানা রকমের খেলনা সম্পর্কে আলোকপাত করছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আরো কিছু বিষয় নিয়ে এসেছি । মেয়ে লোক দেখতে এমনিতেই সুন্দর। সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে এক ধরনের লাবণ্যময় চেহারা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সাদা কিনবে কালো রং যেমনি হোক না কেন মেয়েদের চেহারা দেখতে প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর লাগে। তার পরেও মেয়েরা নানা রকমের সাজ-সজ্জা করে থাকে। মেয়েরা সাধারণত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সাজ সজ্জা করে থাকতে পছন্দ করে। আসলে মেয়েদের যে কত রকমের কসমেটিক আইটেম রয়েছে তা বলাই মুশকিল। মেয়েরা সবসময় নিজেকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নানা রকম সাজে সেজে থাকে। তাইতো শপিং মহল থেকে শুরু করে ফুটপাত সহ সব জায়গায় মেয়েদের ব্যবহৃত পণ্য সামগ্রী দোকান সবচেয়ে বেশি ।
আমি পূর্বে বলেছি, আমাদের ফেনী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা হলো তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলা। মেলার মধ্যে তিন ভাগের ২ ভাগ হচ্ছে মেয়েদের ব্যবহারিত পণ্য সামগ্রী দোকান আর মাত্র একবার হলো অন্যান্য সকল আইটেমের দোকান।
আমি প্রথমে আপনাদের মেয়েদের কানের দুলের দোকানে নিয়ে যাচ্ছি। মেলার জায়গা অনেক বড় হওয়াতে সকল জিনিসের দোকান গুলো সুন্দর ভাবে প্রতিস্থাপন করতে পেরেছে। অর্থাৎ মেলাতে এক সিরিয়ারে কয়েকটি কানের দুলের দোকান বসেছে। আবার দেখা যায় পরের সিরিয়ালে শুধু হাতের চুড়ি দোকান বসেছে। এভাবে প্রতিটি জিনিসের জন্য দোকান আলাদা আলাদা বসেছে। মেলাতে কত রকমের যে কান দুল দেখেছি তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। নানা রকমের নানান ডিজাইনের কানের দুল সাজিয়ে রেখেছে দোকানদারেরা। ঝুমকা কানের দুল গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। কানের দুল গুলো কিছু পুঁথি দিয়ে তৈরি কিছু ঝিনুক, পাথর এবং রুপা সহ নানা রকম কানের দুলের সমাহার ।
- মেয়েরা হাতে চুড়ি দিলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। মেয়েদের নিত্য প্রয়োজনীয় অলংকারের মধ্যে চুড়ি অন্যতম। সাধারণত আমাদের বাঙালি সমাজে মেয়েদের বিয়ের পর হাতে চুড়ি বেশি ব্যবহার করে থাকে। মেলাতে হরেক রকমের চুড়ি উঠেছে । শুধু চুড়ির দোকান চার থেকে পাঁচটি হবে। চুড়ির দোকান গুলোতে ক্রেতা সমাগম বেশি ছিলো। আমি দুই জোড়া চুড়ি আমার ভাগ্নির জন্য ক্রয় করেছি ১৭০ টাকা দিয়ে। রং বেরঙের বাহারি চুড়ি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে রেশমি এবং প্লাস্টিকের চুড়ি দেখতে বেশ অসাধারণ লাগছে। চুড়ির ডিজাইন গুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন।
মেলায় পুঁতির গলার মালা গুলো সবাই নজর কাটলো। সবাই কোন না কোন মালা কিনতেছে নিজের জন্য বা, প্রিয় জনের জন্য। অবশ্যই আমি মালা কিনি নি। মালার বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের সৌন্দর্য খুবই অসাধারণ। বিভিন্ন ডিজাইনের মালার চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের মনে।
মেলাতে সবচেয়ে বেশি যে দোকান গুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি তার মধ্যে মেকআপের দোকান অন্যতম। আসলে মেকআপ সম্পর্কে আমার তেমন কিছু বলার নেই। আমরা সবাই কম বেশি মেকআপ সম্পর্কে জেনে থাকি। বিশেষ করে মেয়েরা সবাই মেকআপের উপর ডিগ্রী অর্জন করেছে।
মেকআপ নিয়ে নারীদের আগ্রহের যেন কোন কমতি নেই। কে কত বেশি মেকআপ ব্যবহার করবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে প্রতিনিয়ত। মেয়েদের মুখের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলতে মেকআপের উপর অধিকাংশ নির্ভর করে থাকে। দোকান গুলোতে কত রকমের যে মেকআপ বক্স সাজিয়ে রেখেছে তার কোন হিসেব নেই। আমার এক পরিচিত আপু গিয়ে সে একটি মেকআপ বক্স কিনেছে ১২০০ টাকা দিয়ে। আসলে মেকাপের দাম শুনে আমি আবাক। এতো দাম আগে জানতাম না।
আজ আর নয়, আগামী পর্বে আবার দেখা হবে। অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি বিভিন্ন বিষয় আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
আপনি তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার ৪র্ত-পর্ব শেয়ার করেছেন। আমার দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।আপনি ঠিক বলছেন মেয়েদের অলংকারের মধ্যে চুড়ি হচ্ছে অন্যতম।মেয়েরা যত সাজুগুজু করুক না কেন চুড়ি না পড়লে কিন্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্টের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানতে পারলাম।
এত চমৎকার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার আপনি দেখছি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। এ কথা সত্যি বলেছেন মেয়েদের ব্যবহৃত পণ্য সামগ্রী দোকান সবচেয়ে বেশি ।চুড়ি আসলে মেয়েদের সৌন্দর্য বাড়ায়।মেকাপের দাম এখন জানেন না, ভবিষ্যতে জানবেন। ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইলো।