আমার বাংলা ব্লগকের শততম হ্যাংআউটে:- আমার অনুভূতি
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, আমার বাংলা ব্লগকের শততম হ্যাংআউটে আমার অনুভূতি বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
https://pixabay.com/es/photos/globos-coraz%c3%b3n-cielo-decoraci%c3%b3n-1786430/
আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, শততম হ্যাংআউট পার করেছি। আমাদের জন্য শততম হ্যাংআউট অনেক স্পেশাল ছিলো। আসলে দেখতে দেখতে শততম হ্যাংআউট পার হয়ে গেলো। শততম হ্যাংআউটের জন্য এতদিন পর্যন্ত অধিক আগ্রহে অপেক্ষা করেছিলাম। গতকাল আমরা সে মাহেন্দ্রক্ষণ মুহূর্ত উপভোগ করেছি। শততম হ্যাংআউট এর মুহূর্ত গুলো ছিল সত্যি খুব দুর্দান্ত হয়েছে। আমার জীবনে স্মৃতির পাতায় এই রাতটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আসলে কিছু অনুভূতি মুখে প্রকাশ করা যায় না। অনুভূতি গুলো বলার আগে চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। ঠিক তেমনি লেখার মাঝেও মনের সবটুকু আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তবুও কিছু অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার বাংলা ব্লগ প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় দাদার প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ সালাম এবং বিনম্র শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধেয় দাদার পরিবারের সকল সদস্যদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা এবং কৃতজ্ঞতা। আমার বাংলা ব্লকের সম্মানিত এডমিন এবং মডারেটর প্যানেলের সকল সদস্যদের প্রতি রইলো আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আমার সহ যোদ্ধাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই যাদের দক্ষতা এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে কমিউনিটিকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে।
যতদূর মনে পড়ে আমি যখন প্রথম হ্যাংআউট শুনছি তখন ৩৫ কিংবা, ৩৬ তম হ্যাংআউট চলছে। তখন এডমিন মডারেটর প্যানেলের সকলে কথা বলতো। সবাই কথা খুবই মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করতাম। বিশেষ করে দাদার কথা গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। প্রথম প্রথম কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে না লেখার কারণে কারণে প্রথম কিছু হ্যাংআউটে বিজয় হতে পারে নি। তখন ভাবতাম আমার সহকর্মী বা, সহযোদ্ধারা কিভাবে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দিত? পরবর্তীতে জানতে পারি তারা ভয়েস টাইপিং করতো না হয় গুগল থেকে কপি করতো ।
পরবর্তীতে অনেকবার কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয় হয়েছি। দাদার কুইজ গুলো খুবই অসাধারণ । দাদা কুইজের মাধ্যমে অনেক বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া যায়। বিশেষ করে দাদা কুইজের মাধ্যমে অনেক তথ্য আমাদের প্রদান করে থাকে। হ্যাং আউট মানেই হলো কাজ সম্পর্কে অবগতি হওয়া এবং বিনোদনে উপভোগ করা। তাই বলা যায় যে, হ্যাংআউট মানেই হলো কাজ সম্পর্কে অবগত হওয়ার এবং বিনোদনের মাধ্যমে কিছু রোমাঞ্চকর মুহূর্ত অতিবাহিত করা। তাই আমি প্রথম হ্যাংআউট থেকে আজ অব্দি শততম হ্যাংআউট পর্যন্ত প্রতিটি হ্যাংআউট শোনার চেষ্টা করেছি।
বৃহস্পতিবার মানে আমাদের কাছে অন্যরকম ভালো লাগার অনুভূতি। সারাদিন মনের মাঝে একটি ভাবনা ঘুরপাক খায় কখন যে হ্যাংআউট শুনবো। হ্যাংআউট আমাদের জীবনের একটি অংশ। হ্যাংআউটের মাধ্যমে আমাদের ভাই বোনের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি এবং ভাই বোনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছি। আসলে দাদা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। দাদার সুচিন্তিত বুদ্ধিমত্তার কারণে আমরা একে অন্যের মাঝে মাঝে সুন্দর কমিউনিকেশন করতে পারছি। হ্যাংআউট মানেই হলো ভালো লাগার অনুভূতি। হ্যাংআউটের মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছি । শততম হ্যাংআউটে প্রতিটি মুহূর্ত খুবই অসাধারণ রোমাঞ্চকর সময় পার করেছি।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন অনুভূতি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
দাদা যেন বট বৃক্ষের মতো নিজেকে আমাদের এই কমিউনিটির উপর ছায়া দিয়ে রেখেছে আর তারই জন্য এই সুন্দর আয়োজন। ১০০ তম হ্যাংআউট অতিক্রম করে এলাম খুবই ভালো লেগেছে আমার, আর তারই বিশেষ ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি আমার অনেক ভালো লাগলো।
গতবছর আগস্ট মাসের ৪ তারিখ অথবা ৫ তারিখ থেকে আমার এই কমিউনিটিতে জার্নি।তারপরে প্রত্যেকটা হ্যাংআউটে অ্যাটেন্ড করেছি। তবে বিগত এক দেড় মাস যাবত কাজের তাড়নায় হ্যাংআউট এ যেতে পারি না। আর গেলেও বেশিক্ষণ থাকতে পারিনা। তবে একশতম হ্যাংআউটে এক রকম গায়ের জোড়েই থেকে গেছি। অনুষ্ঠানটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করেছি। বিশেষ করে শেষের এয়ার ড্রপগুলো বেশ উপভোগ্য ছিল। মনে হচ্ছিল যেন ছোটবেলায় ফিরে গেছি। আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে আমার নিজের উপভোগের কথা মনে পড়ে গেল।
এত দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ১০০ তম হ্যাংআউট এর আপনার অনুভূতি। আপনি যে আমার বাংলা ব্লগে জয়েন করেছিলেন ৩৫ কিংবা ৩৬ তম হ্যাংআউট থেকে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমি মনে করি যতদিন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি থাকবে ততদিন আমরা এই কমিউনিটির সাথেই থাকব ইনশাল্লাহ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1659731785562075136?s=20
সবাই দেখছি আমার বাংলা ব্লগের শততম হ্যাং আউট নিয়ে তাদের নিজ নিজ অনুভুতি গুলো লেখনির যাদুতে আমাদের সাথে শেয়ার করছে। আপনিও কিন্তু তার ব্যতিক্রম করেন নি। বেশ সুন্দর আর সাবলীল ভাষায় আমাদের মাঝে আপনার মনের অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।