নিরাপদ খাদ্য সবার অধিকার "আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস" /১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের বিশ্ব খাদ্য দিবসের কিছু কথা বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
বিশ্ব খাদ্য দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন ।
সুস্থ জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্য।
আপনারা সকলে অবগত আছেন যে আজ ১৬ই অক্টোবর ২০২২ বিশ্ব খাদ্য দিবস। এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন। আমাদের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য একান্ত প্রয়োজন। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের ন্যূনতম নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। বর্তমান পরিস্থিতিতে দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠী নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। দেশের অধিকাংশ লোকজন দারিদ্রতার কারণে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। পুষ্টি সমৃদ্ধ গুণগত মানসম্পন্ন সঠিকভাবে সংরক্ষিত ভালো খাদ্য গ্রহণ করতে পারলে দেহ ও মন সুস্থ থাকবে।যা ফলে দৈহিক কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গ্রাম অঞ্চলে অধিকাংশ লোকজন খাদ্য সংরক্ষণ এবং পুষ্টির গুণাগুণ মান সম্পর্কে অবগত নয়।
বাংলাদেশ পৃথিবীর জনবহুল দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই দেশে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খাদ্য উৎপাদন হয় না । পরে অধিকাংশ সময় ধরে খাদ্যের চাহিদার ঘাটতি থাকে। যার পরে নিম্ন আয়ের লোকজন বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাদ্য গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে দুর্যোগ কালীন সময়ে এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের তীব্র ভাবে নিরাপদ খাদ্যে সংকট দেখা দেয়। এই ধরনের সংকট মোকাবেলা সরকারের পাশাপাশি জনসাধারণের অনেক করণীয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রাকৃতিকভাবে সঠিক নিয়ম রাসায়নিক মুক্ত খাদ্য উৎপাদন করা এবং দারিদ্র সীমার নিচে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যাতে খাদ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখা। সকল পর্যায়ের মানুষের খাদ্যের অধিকার নিশ্চিত করা। কৃষি উৎপাদনে সাথে জড়িত সকল প্রকার কাঁচামাল এবং ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উপর বিশেষ ভর্তুকি প্রদান করা। দেশের সকল মানুষকে খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে, খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি এবং মানবদেহের পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা। সরকারের পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্য গুণগত মান সম্পর্কে এবং খাদ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি জানাতে পারলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নিরাপদ খাদ্য ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে। বিশেষ করে পাইকারি এবং খুচরা পর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের সহনীয় পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করতে পারলে সকল মানুষের পক্ষে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা সহজতর হবে।
আজ বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং নিরাপদ খাদ্য সংস্থার পক্ষ হতে র্যালি এবং আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। এই দিবস উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা অনেক প্রকল্প এবং কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যা বাস্তবায়ন হলে প্রান্তিক শ্রমজীবী এবং জনসাধারণ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে সক্ষম হবে। উন্নত জীবনযাপনের জন্য নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করা মানব দেহের জন্য একান্ত প্রয়োজন। বর্তমানে দেশের দ্রব্যমূলের কারণে জনসাধারণ অনেক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। যার পরে দৈহিক অপুষ্টি জনিত বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকে। মানবদেহেকে সচল এবং রোগমুক্ত রাখতে ভালো এবং নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের কোন বিকল্প নেই। সুস্থ দেহের জন্য সকল প্রকার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
নিরাপদ খাদ্য গ্রহণের জন্য আমাদেরকে ভালো মানে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে এবং যথাযথ নিয়মের খাদ্য সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের দেশে অধিকাংশ সময় দেখা যায় অতি মুনাফার আশায় অসৎ ব্যবসায়ীরা খাদ্যের মধ্যে ফরমালিন এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ মিশে থাকে । যা মানব দেহের জন্য অনেক ক্ষতিকর। বিশেষ করে মাছ এবং ফলমূলের মধ্যে ফরমালিন বেশি দিয়ে থাকে। এবং বিভিন্ন পাউডার জাতীয় দুধ এবং অন্যান্য শিশু খাদ্যে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ বেশি পরিমাণ ব্যবহার করে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদেরকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। যে কোন ধরনের খাদ্য ক্রয় করার সময় আমাদেরকে ফরমালিন এবং বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই আমাদের দেশে যাতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারে। দেশের সকল পর্যায়ের মানুষ যাতে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে। খাদ্য উৎপাদন এবং খাদ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে পুষ্টিগুণ যথাযথভাবে বজায় রেখে খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। শারীরিক সুস্থতার জন্য নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ কোন বিকল্প নেই। নির্ভেজাল খাদ্য উৎপাদন এবং দৈহিক সুস্থতার জন্য নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সবার জন্য কাম্য।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আপনাদের মাঝে আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
আমার পুরো পোস্টটি পড়ে সুন্দরভাবে আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
নিরাপদ খাদক গ্রহণ আমাদের সকলের জন্যই অনেক বেশি জরুরী। তবে বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র থাকার কারণে যারা দরিদ্র আছে তারা হয়তো নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে পারে না। কারণ নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করার সামর্থ্য তাদের থাকলেও অর্থ করি হয়তোবা তেমন নেই। তাই আমি মনে করি খাদ্য ফরমালিন যুক্ত না করলেই সেটা নিরাপদ বলে গণ্য হবে। বর্তমান সময়ে সমস্ত রকম ফলফলাদিতে প্রচুর ফরমালিন যুক্ত করা হয় যার কারণে অনেক সময় মানুষ অসুস্থ হতে হতে একটা সময় মৃত্যুর প্রান্তে পৌঁছে যায়।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আপনার এই সচেতনামূলক পোস্ট দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আজকে আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, কেননা সুস্থ থাকতে হলে নিরাপদ খাদ্যের কোন বিকল্প নাই। কিন্তু দুঃখের সহিত বলতে হচ্ছে যে আমাদের দেশের অনেক অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে, অখাদ্য কে ই এখন খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হচ্ছে আমাদেরকে। না আছে খাবারের মধ্যে সেই টেস্ট, না আছে গুণগতমানের পুষ্টি। তাইতো দিন দিন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং অল্প কিছুতেই চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। অনেক সুন্দর করে পোস্টটি গুছিয়ে লিখে আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দরভাবে আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে খুব সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন। আপনার উদ্দিপকটা পড়ে অনেক ভাল লাগলো। লাষ্টের কথা গুলো নিয়ে আমি আপনার সাথে এক মত পোষন করছি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য খাদ্য দ্রব্য ফল মূলের মাঝে যে পরিমান রাসায়নিক পদার্থ ,ফরমালিন দেয় যা খেয়ে আমরা শক্তি তো পায় না বরং আরে অসুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া মূল্যবান একটি আলোচনা করেছেন।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে মনে অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্ব খাদ্য দিবস নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। কিন্তু বর্তমানে আমরা যা খাই তার সবকিছুই ভেজাল যুক্ত। তাহলে খাদ্য দিবস পালান করার প্রয়োজন নেই। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে মাঝেই করার জন্য।
সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।