তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার তৃতীয় পর্ব।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের, তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলার তৃতীয় পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
source
Device :- Redmi note 7
গত পর্বে আমি আপনাদের মাঝে রুম ডেকোরেশন করার বিভিন্ন সৌন্দর্যমন্ডিত জিনিসপত্রের এবং ঘড়ির দোকান সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। আজ আমি আরো কিছু ভিন্ন ধরনের দোকান সম্পর্কে অবগত করতে যাচ্ছি। আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি আজ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জাম বহুল ব্যবহৃত নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রিক পণ্য দোকানে। মেলাতে কয়েকটি ইলেকট্রিক পণ্যের দোকান উঠেছে। বর্তমানে আধুনিক সময়ে আমরা হাতে দিয়ে কোন কিছু করতে চাই না। হাত দিয়ে যে কোনো কাজ করতে অনেক সময় প্রয়োজন হয় এবং কষ্ট সাপেক্ষের। ছোটকালে দেখেছি আমাদের মা বোনেরা রসুন, আদা, জিরা ইত্যাদি মসলা জাতীয় আইটেম হাত দিয়ে পিষে নিতো। কাপড় আয়রন করার জন্য কাঁচের বোতলে গরম পানি রেখে কাপড় আয়রন করতো। মাটির চুলায় পানি গরম করতো। বর্তমান আধুনিক সময়ে কত রকমের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তৈরি হয়েছে কাজকে অতি সহজতর করতে।
দোকানগুলোতে বিভিন্ন মডেলের পানির ফিল্টার, আয়রন মেশিন, পানি গরম করার হিটার, খাবার গরম করার জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন, খাদ্যকে গরম রাখতে বিভিন্ন ধরনের টি ফট দেখতে পেলাম। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যালেন্ডার, জুস মেশিন, খাবার রান্না করার জন্য রাইস কুকার, ফ্রাইং, চায়ের ফ্লাক্স ইত্যাদি নৃত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহৃত জিনিসপত্র উঠেছে। আমার সোনালী কালারের একটি চায়ের ফ্লাক্স খুব পছন্দ হয়েছে। ফ্লাক্সের দাম চেয়েছে আমার কাছে ১৬০০ টাকা।
মেলার মধ্যে সবচেয়ে ভীড় বেশি ছিলো শিশুদের খেলনা দোকান গুলোতে। ভীড় দেখে আমিও গিয়েছিলাম গিয়ে দেখি শিশুরা তাদের পছন্দের খেলনা দেখতেছে আর তাদের মা-বাপ, ভাই-বোনেরা খেলনা কেনার জন্য দোকানদারদের সাথে অধিক আগ্রহে কথোপকথন চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে শিশুরা যদি খেলনা দেখে তাদের হাঁসি আনন্দ অনেক গুনে বেড়ে যায়। দোকান গুলোতে যে কতো রকমের খেলনা উঠেছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আপনারা আলোকচিত্র গুলো দেখে বুঝতে পারছেন। সবাই চেষ্টা করতেছে তাদের আদরের ছোট ছেলে মেয়ে বা, ভাই-বোনদের জন্য কোন না কোন খেলনা কিনে নিয়ে যেতে বাসায়। শিশুরা কোনটা রেখে কোনটা কিনবে এই নিয়ে তুমুর কান্ড । ছোট বাচ্চারা একবার বলতেছে এটা কিনবো আরেক বার বলতেছে ওটা কিনবো। আসলে এসব দৃশ্য দেখে খুবই ভালো লাগলো।
তাঁত বস্ত্র এবং কুঠির শিল্প মেলা আমাদের ফেনী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় মেলা। তাই মেলাতে সকল কিছুর আলাদা আলাদা দোকান বসেছে। বাসার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানগুলো ছিল উপচে পড়া ভীড় । বাসার থালা-বাসন পাতিল সহ একবারে সকল জিনিস দোকান গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মহিলারা তাদের পছন্দের অনুযায়ী পণ্য দেখে শুনে কিনতেছে। মোটা মুটি দাম হাতে নাগার মধ্যে রয়েছে।
আজ আর নয়, আগামী পর্বে আবার দেখা হবে। অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি আরো বিভিন্ন বিষয় আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনার তাঁত বস্ত্র ও কুটির শিল্প মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো । মেলা তে তো দেখছি নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কিছুই উঠেছে । দামগুলো যেহেতু বললেন হাতের নাগালের মধ্যে তাহলে তো সবাই বেশ ভালই ক্রয় করতে পারছে । এ ধরনের মেলায় গেলে বেশ ভালো হয় , অনেক কিছু কেনা যায় ।ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে । ধন্যবাদ ।
পোস্টটি দেখে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
খুব সুন্দর সুন্দর খেললা, গৃহস্থালীর জিনিস মেলাতে বিক্রি হচ্ছে। মেলা মানেই আনন্দ, কেনাকাটা। এমন জিনিস আছে যেগুলো শুধু মেলাতেই পাওয়া যায়। তাই যে কোনো মেলাতে গেলে সেগুলো সহজেই পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে তাঁত শিল্প আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে এবং এই তাঁত শিল্পকে টিকিয়ে রাখতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মাস খানিক আগে এখন আমাদের নীলফামারীতে এই মেলাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতঃপর হয়তো আপনাদের এলাকায় গিয়েছে। অনেক বড় এবং বিভিন্ন ধরনের নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় এই মেলায়। অনেক চমৎকার ভাবে সবকিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।।
পোস্টটি দেখে সুন্দর ভাবে আপনার মনের অনুভূতি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মেলায় দেখছি প্রচুর জিনিস উঠেছে।সত্যিই দিন বদলের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু উন্নত হয়ে গেছে।আধুনিক যুগে প্রচুর ইলেকট্রনিক্স আসবাবপত্র কমদামে পাওয়া যায়।তাছাড়া শিশুদের বিনোদনের জিনিস মেলাতে বেশি পাওয়া যায় ফলে বেশি ভিড়।ছবিগুলো সুন্দর ছিল,ভালো লাগলো দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।