পূজায় কাটানো মনের অনুভূতি /১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের পূজায় কাটানো মনের অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
source
Device :- Redmi note 7
দেখতে দেখতে আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়ে নিলো শারদীয় দুর্গাপূজা। আসলে শারদীয় দুর্গাপূজা বিদায় নিলেও আমাদের মাঝে এখনো আনন্দের অনুভূতি রয়ে গেলো। শারদীয় দুর্গা পূজার জন্য সবাই খুব প্রতিক্ষা ছিলো। দুর্গাপূজা আমাদের মাঝে আসলো তবে খুব দ্রুত আনন্দের মুহূর্তগুলো মনে হয় যেন ফুরিয়ে গেলো। এবার দুর্গা পূজার অনেক আনন্দ হয়েছে। প্রাইমারি স্কুল আমার কোন হিন্দু বা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বন্ধু ছিলো না। তবে হাই স্কুলে চার থেকে পাঁচজন বন্ধু ছিলো। তাদের সাথে শারদীয় দুর্গাপূজা সহ অন্যান্য ধর্মীয় উৎসবে অনেক আনন্দ করতাম। তাদের সকলের সাথে আমার খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। তাদের যেকোনো উৎসবে আমাকে নিমন্ত্রণ করতো ।
বিশেষ করে শারদীয় দুর্গাপূজাতে অনেক আনন্দ করতাম। কর্ম ব্যস্ততার কারণে পাঁচ জন বন্ধু মধ্যে ৪ জন বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। তাদেরকে এবার খুব মিস করেছি। আর মাত্র একজন বন্ধু গ্রামে রয়েছে। তার সাথে এবারের দুর্গাপূজায় খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে শারদীয়া দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় উৎসব। তারা এই উৎসবকে খুবই জাঁকজমক পূর্ণ সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে চেষ্টা করে। এই উৎসবটি শুধু সনাতন ধর্ম অবলম্বীদের উৎসব হলেও এইটি একটি সামাজিক উৎসব বটেও ।সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ এই পূজা দেখতে যায়।
আমাদের পুরো উপজেলা তে একটিমাত্র পূজা মন্ডর রয়েছে। এবারও সেখানে খুব জমকালো ও সুন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আমি সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী এই তিন দিনই পূজা মন্ডলে গিয়েছি। প্রথম দিন আমার বন্ধুর সাথে দেখা না হলেও দ্বিতীয় দিন তার সাথে দেখা হল। তার সাথে অষ্টমীতে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। খাওয়া দাওয়া সহ গল্প করা তাদের ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছি। তার সাথে ঘুরে ঘুরে পূজা মন্ডপ দেখেছি। তাদের পরিবারের বিভিন্ন লোকজনের সাথে দেখা হয়েছে। সব মিলিয়ে অষ্টমীতে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। পূজার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ছোট মেয়েদের দৃষ্টিনন্দর নিত্যন দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে পূজা মন্ডল অবস্থিত । তাই দিনে একবারই যেতাম সন্ধ্যা বেলায়। নবমী তে আমি সন্ধ্যার মুহূর্তে গিয়েছে পূজা মন্ডলে। সেখানে কয়েকজন পরিচিত লোক ছিলো। তাদের সাথে কথা বলে বেশ ভালো লাগলো। পূজায় অনেক শিল্পী আগমন ঘটেছে । তাদের কন্ঠে সংস্কৃতি গান শুনে ভালো লেগেছে। পুরো পূজার পেন্ডেল ঘুরে ঘুরে দেখেছি। পূজা মন্ডলে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো প্রতিমা বা, ঠাকুরের মূর্তি দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। চোখ জুড়ানো নান্দনিক কারু শিল্প রংবেরঙের রং তুলিতে মূর্তিগুলো দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগছে।
সবাই প্রতিমার ফোটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত । আমি মোবাইলে কিছু প্রতিমার ফটোগ্রাফি করেছি। বিভিন্ন আলোক সজ্জার কারণে পূজা মন্ডলের মূর্তিগুলো দেখতে ভালো লাগছে। সবাই খুব উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা করতে পূজা মন্ডপে এসেছে। সবার গায়ে নতুন জামা মুখে হাসি ছোট ছেলে মেয়েরা দুষ্টামি করছে আর বড়রা ঠাকুরের প্রার্থনায় মগ্ন । পূজা মন্ডলে খুবই চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। যখন মাইকে গীতা বা, মন্ত্র পাঠ করা হয় তখন সবাই খুবই নিরিবিরি ভাবে গীতা পাঠ শুনুন শুনেছে।
প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল খুবই সুন্দর। আসলে আমি প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানে খুব মজা করেছি। পূজা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা লোকেরা সবার মাঝে অনেক ধরনের প্রসাদ দিলো। বিশেষ করে নানা রকমের সন্দেশ, অনেক ধরনের নারিকেলের পিঠা , বিভিন্ন ধরনের ফল, মিষ্টি তাছাড়া নাম না জানা অনেক রকম খাবার দেওয়া হলো। সন্দেশ আমার খুব পছন্দের আমি কয়েকটি সন্দেশ খেয়েছি। আসলে পূজায় কাটানো মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর ভাবে কেটেছে আমার। বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত লোকদের সাথে খুবই চমৎকার এবং সুন্দর পরিবেশের মাধ্যমে সময়গুলো পার করতে পেরেছি। আগামী বছর হয়তো সবার সাথে আবার পূজা মন্ডপে এমন সুন্দর পরিবেশে দেখা হবে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
সত্যিকার অর্থেই ভাইয়া সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইদের দুর্গাপূজা বাঙালি সংস্কৃতির সাথে চমৎকার ভাবে মিশে আছে। আমাদের বাড়ির অদূরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কয়েকটি পূজা মণ্ডপ রয়েছে, সেখানে প্রতি বছর দুর্গাপূজার সময় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে বিশেষ করে দশমীর দিনে নানান ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। ছোটবেলায় প্রতিবছর এই সময়টার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম, কিন্তু এখন কর্মব্যস্ত জীবনে প্রবেশের দরুন সেই সময় হয়ে ওঠে না। ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বী বন্ধুদের সাথে দুর্গাপূজায় কাটানো চমৎকার কিছু মুহূর্ত মনে পড়ে গেল।
পুরো পোস্টটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বাহ,আপনি পূজায় দারুণ সময় উপভোগ করেছেন দেখে ভালো লাগলো।আসলে যেকোনো পূজা বা উৎসব মানেই আনন্দের।আমার ও খুবই ভালো লাগে পূজার প্রসাদ খেতে।মায়ের প্রতিমা অনেক সুন্দর ছিল, ধন্যবাদ ভাইয়া।
পোস্টটি দেখে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।