খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হাঁসের মাংস রেসিপি।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হাঁসের মাংস রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি। গ্রামাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি শীতকালে হাঁসের মাংস রান্না করা হয়ে থাকে। শীতের সময় ২২ পদের মসলা দিয়ে হাঁসের মাংস খাওয়া হয়। গ্রামাঞ্চলে একটি প্রবাদ বিদ্যমান রয়েছে। শীতকালে হাঁসের মাংস খেলে নাকি? বয়স্ক লোকদের শরীরের মাজা অর্থাৎ কোমল হাঁটু সহ অন্যান্য অঙ্গের ব্যথা কিছুটা কম হয়ে থাকে। হাঁসের মাংস সবাই বেশ পছন্দ করে থাকে। আমি ২২ পদের মসলা দিয়ে হাঁসের মাংস রান্না করার চেষ্টা করেছি।
আসুন শুরু করি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :-
নাম | পরিমাণ |
---|---|
হাঁসের মাংস | দেড় কেজি |
পেঁয়াজ কুচি | তিনটি |
রসুন বাটা | পরিমান মতো |
আদা বাটা | পরিমান মতো |
হলুদের গুঁড়া | এক চামচ |
মরিচের গুঁড়া | পরিমান মতো |
জিরা বাটা | পরিমান মতো |
২২ পদের মিক্স মসলা | পরিমান মতো |
তেজপাতা, দারুচিনি | পরিমান মতো |
এলাচি, লং, জায়ফল | পরিমান মত |
তেল | ১০০ গ্রাম ইত্যাদি । |
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
- আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। রান্নার প্রক্রিয়ার আরম্ভ করছি।
- প্রথমে আমি হাঁসের মাংস কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- এই পর্যায়ে আমি একটি তেলের কড়াই চুলার উপরে বসায়। তেলের কড়াই এর মধ্যে পরিণত মতো তেল ঢেলে দিলাম । তারপর পেঁয়াজ কুচি এবং সামান্য লবণ দিলাম। পেঁয়াজ কুচি লাল বর্ণ হওয়া পর্যন্ত নাড়িয়ে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৩↙️
- এই ধাপে পেঁয়াজ কুচি লাল বর্ণ হয়ে গেলে হাঁসের মাংস ঢেলে দিলাম। আমি মাংস গুলো ভাজি করে নিচ্ছি।
- মাংসগুলো ভাজি হয়ে আসলে আমি হলুদের গুঁড়া দিলাম তারপর ভালো করে ভাজি করে নিয়েছি।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- এখন আমি মাংসের মধ্যে পরিমান মতোন লবণ, মরিচের গুঁড়া, হলুদের গুঁড়া, রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরার বাটা, ২২ পদের মিক্স মসলা দিলাম ।
- তারপর এলাচি, লং, দারুচিনি, তেজপাতা, জায়ফল দিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
- মসলা জাতীয় সকল উপাদান মাংসের মধ্যে দেওয়ার পরে মাংসের সাথে মসলা ভালো করে মিক্স করে নিলাম। তারপর আরো কিছুক্ষণ মাংস ভাজি করে নিলাম।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- এই পর্যায়ে আমি পরিমাণ মতো পানি দিয়ে মাংস ভালো করে কষিয়ে নিচ্ছি । মাংস কষিয়ে নেওয়া হয়েছে।
↘️ধাপ :- ৭↙️
- মাংস কষিয়ে নেওয়া পর মাংসের মধ্যে আমি পরিমাণ অনুযায়ী পানি ঢেলে দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
- মাংস রান্না হচ্ছে । আমি ঢাকনা দিয়ে পাতিল ঢেকে দিলাম।
- কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা উঠিয়ে আমি মাংস নাড়িয়ে দিচ্ছি। মাংস রান্না হচ্ছে।
↘️সর্বশেষ ধাপ :-↙️
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর মাংসগুলো রান্না হয়ে গেছে। মাংসের ঝোল নিয়ম মতো রেখেছি।
আমার কাঙ্খিত দেশি হাঁসের মাংস রেসিপি তৈরি করা শেষ হয়েছে। এই ভাবে আমি এই রেসিপিটি টি সম্পূর্ণ করি। যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান। আমি রেসিপি কিছু আলোকচিত্র করে নিলাম।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
শীতের মধ্যে হাঁসের মাংস খাবার মজাটাই আলাদা। যদি একটু বেশি পরিমাণে মরিচ দিয়ে এই হাঁসের মাংস রান্না করা যায় তাহলে সেটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন লোভনীয় একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই, হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া অনেক সময় গ্রামের মানুষের কথাগুলো সত্যি হয়ে থাকে তার জন্য হয়তো তারা বলে হাঁসের মাংস খেলে বয়স্ক মানুষের কোমর ও মাজার হাড় শক্ত হয়। যাই হোক আপনার কাছ থেকে আজ হাঁসের মাংসের নতুন ভাবে রেসিপি শিখতে পারলাম। ২২ পদের মশলা দিয়ে কখনো এভাবে হাঁসের মাংস রান্না করা হয়নি। শীতের সময় হাঁসের মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বুঝতে পেরেছি খেতে খুবই মজার হয়েছিল। আপনার উপস্থাপনা খুব লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
এই শীতের ভিতরে হাঁসের মাংস খেতে খুবই ভালো লাগে । আপনি খুবই মজাদার হাঁসের মাংস রেসিপি শেয়ার করেছেন আমারতো দেখেই খেতে মন চাইছে হাঁসের মাংস খেতে ভালোই লাগে ।তারপর আপনি খুব সুন্দর করে রান্না করেছেন মাংসের কালার টা অনেক সুন্দর এসেছে ।
রেসিপি পোস্ট দেখে এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সবাই তো দেখছি বেশ মজার করে হাঁসের মাংস খাচ্ছেন শীতকালে। আপনারা খাচ্ছেন আবার আমাদের সাথে শেয়ার করতেছেন লোভ লাগাই দিচ্ছেন। আপনি বেশ মজার করে হাঁসের মাংসের রেসিপি শেয়ার করলেন। সত্যি দেখেই লোভ সামলানো যাচ্ছে না এমন অবস্থা। অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি দেখে।
এত সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
দারুন একটি রেসিপি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়াএ করেছেন ভাই।আমার কাছে খুবই ভাল লেগছে।শীতকালে হাসের মাংশ দারুন একটি খাবার ধন্যবাদ আপনাকে।শুভ কামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য শেয়ার করার জন্য
বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আসলে হাঁসের মাংস আমার অনেক পছন্দের ৷ তবে হাঁসের মাংস একটু ঠিকঠাক ভাবে রান্না করতে হয় ৷ তাহলে খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয় ৷ আপনি তো দেখছি অনেক সুন্দর এবং যত্ন সহকারে হাঁসের মাংস রেসিপি তৈরি করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখতে ভীষণ সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে ৷ মন হয় খেতেও ভীষণ মজাদার হয়েছে ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর এবং মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
এত অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এই শীতে হাঁসের মাংস খেতে ভীষণ মজার হয়।আপনি হাঁসের মাংস বেশকিছু উপকরন দিয়ে রান্না করলেন।খেতে ভীষণ মজার হয়েছিল আশাকরি। আপনি রেসিপিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মজার এই হাঁসের মাংস রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হাঁসের মাংস খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।আর আপনি তো দেখছি খুব সুন্দর করে এই হাঁসের মাংসের রেসিপি তৈরি করেছেন।মূলত শীতের সময়ে গরম গরম পরোটার সাথে হাসের মাংস খেতে খুব মজা লাগে।দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
শীতের সময়ে গরম গরম পরোটার সাথে হাসের মাংস খেতে খুব মজা লাগে ঠিক বলেছেন আপু। আসলে হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। শীতের সময় হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাটাই আলাদা। গরম গরম ভাতের সাথে বা রুটির সাথে খেতেও ভালো লাগে। দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, এত অসাধারণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য
শীতের সময় হাঁসের মাংস খাওয়ার মজাই আলাদা। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে হাঁসের মাংস রেসিপি করেছেন। হাঁসের মাংস যদি একটু ঝাল বাড়িয়ে দিয়ে খেতে অনেক মজা লাগে। হাঁসের মাংসের সাথে ভাত এবং রুটি খেতে অনেক মজা লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। রেসিপিটির কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই, হাঁসের মাংস খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।