টাকা কাছে হেরে গেলো ভালোবাসা ।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের, টাকা কাছে হেরে গেলো ভালোবাসা । টাকার জন্য আজ প্রিয় কবুতরের জোড়া বিক্রি করে ফেললাম এই বিষয়ে আপনাদের বলতে যাচ্ছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
পরিস্থিতি যখন ঘোলাটে হয় তখন পরিস্থিতি সামার দেওয়ার জন্য নিজের প্রিয় অনেক কিছুই বিসর্জন দিতে হয়। আসলে আজ কয়েক সপ্তাহ যাবত ফ্যামিলির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার মধ্যে আম্মু খুবই অসুস্থ। আর এদিকে দ্রব্যমূল্যের যেভাবে ঊর্ধ্বগতি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে প্রতি নিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। টাকার খুবই প্রয়োজন তাই নিজের খুব পছন্দের এক জোড়া সিরাজি কবুতর বিক্রি করে দিলাম গত বৃহস্পতিবারে । আমাদের দাগনভূঞা বাজারের কবুতর হাটে নিয়ে কবুতর জোড়া টি বিক্রি করে দিলাম। এই কবুতর জোড়াটি আমি পাঁচ মাস আগে কিনেছিলাম। কবুতরের জোড়া টি জাতে হলো সিরাজি।
আমি পাঁচ মাস আগে ১৮৫০ টাকা দিয়ে এই জোড়া কবুতর কিনে নিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে । সাদা এবং কপি কালারের রং আমার খুব পছন্দের। তাই আমি সাদা রংয়ের এই কবুতরের জোড়া টি ক্রয় করেছিলাম। গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে কবুতর সবচেয়ে প্রিয় আমার। অনেকে কবুতর শখ করে লালন পালন করে থাকে। বলতে গেলে কবুতর আমার খুব শখের। ছোটবেলা থেকে কবুতর লালন পালন করে থাকে আমি। আমার প্রায় নয় জোড়া কবুতর রয়েছে । কবুতর পালন করা যেহেতু আমার খুব শখের তাই কবুতরের খাত থেকে আমার লাভ বা, লোকসান হচ্ছে কিনা ? এসব হিসাব কখনো করি নি। আমার কাছে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে।
তার মধ্যে বাংলা, সিরাজি, গিরিবাজ, ময়ূরপঙ্খী এবং প্রিন্স জাতের কবুতর। আসলে কবুতর লালন পালন করা আমার কাছে নেশার মতোন হয়ে গেলো। কবুতরের ডাক আমার খুবই ভালো লাগে বিভিন্ন রঙের কবুতর দেখে ভালো লাগে আমার কাছে। আমি কবুতর লালন পালন করে থাকি তবে আমি কখনো কবুতরের মাংস খাই না। আসলে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠলে কবুতর দেখাশোনা না করলে আমার কাছে কেমন যেন শূন্যতা মনে হয়। ঘুম থেকে উঠে কবুতর গুলো বাসা থেকে ছেড়ে দিই। তারপর কবুতরের খাদ্যের ব্যবস্থা করে থাকি গম, ধান, ভুট্টা ভাঙ্গা ইত্যাদি দিয়ে থাকি। আসলে কবুতর সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। কবুতর যখন খাবার খায় এবং এদিক থেকেও ঐদিক উড়াউড়ি করে আমার কাছে তখন খুবই ভালো লাগে।
আমার প্রিয় কিছু জিনিসের মধ্যে কবুতর অন্যতম । কবুতরকে অনেকে পায়রা বলে থাকে। কবুতর খুবই শান্ত প্রকৃতির প্রাণী। মানবদেহের জন্য কবুতরের মাংস খুবই উপকারী । কবুতরের মাংসের মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কবুতরের মাংস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে । কবুতরের মাংসের মসলা সবার নিকট বেশ জনপ্রিয়। প্রাচীন যুগে মানুষ কবুতরের মাধ্যমে বার্তা বা, সংবাদ পাঠিয়ে থাকতো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। কবুতর প্রতি মাসে একবার ডিম দেয়। ডিম ফুটে খুব সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা বের হয়। কবুতরের বাচ্চা এক মাস হলে খাবারের উপযুক্ত হয়।
আমি সাদা রঙ্গের সিরাজী কবুতরের জোড়া বাজারে গিয়ে এক দোকানদারের নিকট বিক্রি করে দিলাম ২০০০ টাকা। ২০০০ টাকা বিক্রি করাতে যদিও আমার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে আর্থিক সংকটের সময় এই দুই হাজার টাকা আমার কাছে অনেক কিছু। দোকানদার আমার খুব পরিচিত। তাই দোকানদার কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার জন্য জোর করে নি।
ঐ দোকান যেহেতু পাখি এবং কবুতরের দোকান তাই নানা রকম পাখি এবং কবুতর রয়েছে। বিশেষ করে পাখি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। তাই আমি পাখি এবং কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। হরেক রকম পাখি দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো , ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/MdAgim17/status/1665765789520240641?s=20
অনেক সময় বিপদে পড়ে অনেক মূল্যবান জিনিস হাতছাড়া করতে হয় কিন্তু করার কোন উপায় থাকে না। কি আর করার বর্তমান পরিস্থিতি তো খুবই খারাপ দ্রব্যমূল্যের অনেক দাম বেশি। আপনি মায়ের অসুস্থতার জন্য আপনার শখের কবুতর গুলো বিক্রি করে দিলেন বেশ খারাপ লাগলো। তবে মায়ের অসুস্থতার জন্য বিক্রি করে দিলেন বেশ ভালোই হলো। যদি সম্ভব হয় আপনি এমন কবুতর আরো নিতে পারবেন।
আসলে দুঃসময়ে নিজের অনেক প্রিয় জিনিসই বিসর্জন দিতে হয় । সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, আপনার আর্থিক সংকটের মুহূর্তে আপনার আদরের পোষা পাখি গুলো বিক্রয় করে দেওয়াটা নিঃসন্দেহে একটি বেদনাদায়ক মুহূর্ত। শান্তির প্রতীক কবুতর সহ বিভিন্ন পাখির ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আসলে ভাই মন খারাপ লাগছে কবুতর গুলো বিক্রি করে কিন্তু কিছু করার নাই টাকা যে খুবই প্রয়োজন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক সময় অনেক ধরনের বিপদের কারণে মূল্যবান জিনিসগুলো বিক্রি করে ফেলতে হয়। আপনার মায়ের অসুস্থতার কারণে আপনি আপনার পছন্দের সিরাজি কবুতর বিক্রি করে ফেলেছেন। আসলে কবুতর আমার হাজব্যান্ড ও পালন করে। ঠিক বলেছেন কবুতর খুব শান্ত পানী। আসলে পশু পাখি পালন করলে যখন মায়া বসে যায় তখন বিক্রি করতে অনেক কষ্ট হয়। আপনার বিপদগুলো কেটে আপনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে ফিরে আসুন এই কামনা করি।
পোস্টটি দেখে এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া অনেক সময় পরিস্থিতির কারণে অনেক প্রিয় জিনিস বিক্রি করতে হয়। আপনার পরিবারের আপনার মা অসুস্থতার কারণে আপনি আপনার পছন্দের কবুতর বিক্রি করে ফেলেছেন। তবে আপনি ঠিক বলেছেন কবুতর খুব শান্ত প্রাণী। আমি নিজেও শখ করে কিছু কবুতর পালন করি। সকাল বিকাল এগুলো দেখাশোনা করি। সত্যি বলতে পছন্দের জিনিসগুলো বিক্রি করলে মন অনেক খারাপ হয়ে যায়।
কবুতর লালন পালন করতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। কিন্তু দুঃসময়ে প্রিয় কবুতর গুলো বিক্রি করাতে খারাপ লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে দোয়া করব আপনার পরিবারের জন্য, যেন আপনার পরিবার পরিজন আপনজন মা-বাবা সবাই যেন ভালো থাকেন রোগমুক্ত থাকেন সুস্থ থাকেন। ভালোলাগা ভালোবাসার এই পশুপাখি গুলো যা পালন করতেন আজকে হয়তো বিক্রয় করতে হয়েছে আগামীতে আবারো অনেক পালন করতে পারবেন সেই জন্য ধৈর্য ধরুন। তবে ভালোলাগা এবং ভালোবাসার জিনিসগুলো বিক্রি করে দিতে খুবই কষ্ট লাগে। প্রিয় কবুতরগুলো বিক্রয় করে ফেলেছেন যথেষ্ট কষ্ট নিয়ে মনে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এই পোস্ট। তবু দোয়া করব যেন ধৈর্য ধারণ করতে পারেন এবং পুনরায় আল্লাহ যেন আপনার পরিবারে এমন কবুতর আরো অনেক বৃদ্ধি করিয়ে দেয়।
আসলে ভাই মন থেকে দোয়া করবে যেন পরিবারের সবাই ভালো থাকে। এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।