মৃৎশিল্প বা, মাটির জিনিসপত্রের দোকানে কিছুক্ষণ
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের, মৃৎশিল্প বা, মাটির জিনিসপত্রের দোকানে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করার সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আজ বিকেলে বাসার জন্য কিছু মুদি জিনিসপত্র কিনতে বাজারে গেলাম। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করে আসার সময় দেখলাম আমাদের বাজারের জিরো পয়েন্টে অস্থায়ী ভাবে মৃৎশিল্পের বা, মাটির জিনিসপত্রের দোকান বসেছে। দোকানের সামনে অনেক মানুষের ভীড় দেখে আমিও এগিয়ে গেলাম। অনেকেই মাটির তৈরির বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখতেছে এবং পছন্দ অনুযায়ী ক্রয় করতেছে। আসলে এখন আর আমাদের বাজারে এই ধরনের মৃৎশিল্পের দোকান নেই। তাই মৃৎ শিল্পের দোকানটি দেখে মাটির তৈরি জিনিসপত্র কেনার জন্য ক্রেতা সাধারণ ভীড় করছে। মাটির তৈরি বিভিন্ন বৈচিত্রময় জিনিসপত্র দেখে আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে।
ছোটকালে দেখেছি আমাদের বাজারে মাটি তৈরি জিনিসপত্রের তিন থেকে চারটি দোকান ছিলো। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় দোকানগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষ করে মাটির তৈরীর হাড়ি পাতিল, কলস, থালা, বাটি, মাটির তৈরি ব্যাংক, ফুলের টব বিশেষ করে পিঠা তৈরি করার জন্য সাজ এবং নানা ধরনের খেলনার দোকান ছিলো। বর্তমান সময়ে প্লাস্টিকের নানা ধরনের জিনিসপত্র বের হওয়ার কারণে দিন দিন মৃৎশিল্প গুরুত্ব কমে গেছে। মৃৎশিল্প আমাদের বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য। এক সময় মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যাপক ব্যবহার ও চাহিদা ছিলো। কিন্তু বর্তমান সময়ে মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে।
মাটি দিয়ে খুব সুন্দর কারে কারু কাজের মাধ্যমে জিনিসপত্র গুলোর দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য ফুটে তোলা হয়। হাতের তৈরি মৃৎ শিল্পের এখন অনেক বাড়িতে মাটির কলস এবং মাটির ব্যাংক দেখতে পাওয়া যায়। এঁটেল মাটি দিয়ে খুব সুন্দরভাবে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় এবং জিনিসপত্র এবং খেলনা তৈরি করা হয়ে থাকে। মাটি দিয়ে বানানোর পর জিনিসপত্র গুলো কে আগুনে পোড়ানোর পর বিভিন্ন রং দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
মৃৎশিল্প বা মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখতে কার না ভালো লাগে।বাজার করতে গিয়ে আপনি কিছু মূল্যবান সময় ব্যয় করে মাটির তৈরি জিনিসপত্র দেখতে গিয়েছেন ।ছোটবেলায় আমরা অনেক মাটির তৈরি জিনিসপত্র বানিয়ে খেলা করতাম ।কিন্তু এখনকার বাচ্চাদের এসব আগ্রহ তেমন একটা দেখা যায় না।
এত সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
মাটির তৈরি বাহারি ডিজাইনের এই দ্রব্য সামগ্রী গুলো দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। আমার আবার এই ধরনের বাহারি ডিজাইন দেখে খুবই অবাক লাগে। মাটির তৈরি জিনিসের যে এত সুন্দর কারুকাজ থাকে তা দেখে অবাক না হয়ে পারা যায় না। এজন্য মৃৎ শিল্পের কারিগরদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দেয়া উচিত। ভাই, মৃৎশিল্প বা মাটির জিনিসপত্রের দোকানে আপনার কাটানো সময়টুকু সুন্দর বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, এত দুর্দান্ত ভাবে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।