DIY-এসো নিজে করি:৷ টক-ঝাল-মিষ্টি সুস্বাদু বরই আচারের রেসিপি /১০% প্রিয় 💞 @shy-fox
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভাল আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।
আজ আমি আপনাদের টক ঝাল মিষ্টি বরই আচারের রেসিপি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ :
* বরই
- সরিষার তেল
- চিনি
- লবণ
- ভিনেগার
- পাঁচফোড়ন
- রসুন বাটা
- শুকনা মরিচের গুঁড়া
- ধনিয়া গুঁড়া
- তেজপাতা
- এলাচি
- দারচিনি
- পানি ইত্যাদি।
↘️ প্রস্তুত প্রণালীঃ ↙️
↘️ধাপ :- ১↙️
- আমি প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড় করি। আমি প্রথমে বরই গুলো কে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে একটি ভলে বা ভাটিতে রাখলাম।
↘️ধাপ :- ২↙️
- এখন আমি পাঁচফোড়ন গুলোকে চুলার উপরে একটি পাতিলের মধ্যে দিয়ে মচমচে করে বা,টালি নিয়েছি
তারপর পাঁচফোড়ন গুলোকে পিষে গুঁড়া করে নিলাম।
- তারপর আমি শুকনা মরিচ গুলোকে পাত্রের মধ্যে তেল দিয়ে ভেজে নিয়েছি। পরবর্তীতে হাত দিয়ে ভালো করে মরিচ গুলোকে মাখিয়ে গুঁড়া করে নিলাম
↘️ধাপ :- ৩↙️
- এখন রান্নার মূল পর্বের কাজ আরম্ভ হচ্ছে। আমি একটি পাতিল চুলার উপরে বসায়। পাতিলের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিলাম।
↘️ধাপ :- ৪↙️
- তারপর পাতিলের মধ্যে চিনি এবং পরিমাণমতো লবণ দিলাম।
↘️ধাপ :- ৫↙️
- এখন আমি পাতিল ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।
- বরই গুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছি।
↘️ধাপ :- ৬↙️
- বরই গুলো ভাল করে সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং সামান্য পানি রয়েছে।
↘️ধাপ :- ৭↙️
- এখন আমি পাতিলের মধ্যে আচারের মসলা জাতীয় উপাদান সমূহ পরিমাণ অনুযায়ী পাঁচফোড়ন গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া, তেজপাতা, দারচিনি, পরিমাণমতো রসুন বাটা দিলাম।
↘️ধাপ :- ৮↙️
- এখন আমি আরও উপাদান পরিমাণমতো ভিনেগার, সরিষার তেল ৫০০ গ্ৰাম, এলাচি দিলাম।
↘️ধাপ :- ৯↙️
- সবগুলো উপাদান দেওয়ার পর খুন্তি দিয়ে ভালো করে নাড়িয়ে নিলাম। যাতে সকল উপাদান সমানভাবে বরই এর সাথে মিক্স হয়। তারপর পাতিলের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে নিলাম।
↘️ধাপ :- ১০↙️
- এখন আমি কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা উঠিয়ে নাড়িয়ে নিচ্ছি।
↘️সর্বশেষ ধাপ↙️ :-
- কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আচারের পানি একেবারে শুকিয়ে গেছে। আমি এক চামচ আচার খেয়ে স্বাদ দেখছি কেমন হয়েছে। লবণ চিনি বা ঝাল ঠিকমতো হয়েছে কিনা? ইনশাআল্লাহ সবগুলো ঠিকমতো হয়েছে। আচার খেয়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তারপর আমি আচারের পাতিল চুলার উপর থেকে নিচে নামিয়ে রাখলাম।
- আমার কাঙ্খিত টক-ঝাল-মিষ্টি সুস্বাদু বরই আচার তৈরি হয়ে গেছে। এখন খাবার পরিবেশনের জন্য একটি নাস্তা প্লেটে আচার নিলাম।যা এখন আপনাদের কাছে দৃশ্যমান।
রেসিপি সহ আমার একটি ছবি
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi note 7 |
পোস্ট তৈরি | @ah-agim |
লোকেশন | ফেনী, বাংলাদেশ |
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের রেসিপি আরো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে - আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলা এর প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানীত এডমিন মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে।বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
ভাইয়া আপনার টকঝাল বরইয়ের আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো। বরইয়ের আচার খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি এবারও বরইয়ের আচার দিয়েছি। এই গরমের মধ্যে মাঝে মাঝে একটু আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার আচার দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আচার তৈরির প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
টক-ঝাল-মিষ্টি সুস্বাদু বড়ইয়ের আচার দারুন ছিল এবং এগুলো খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ধন্যবাদ।
ওয়াও ভাইয়া দেখে তো জিভে জল চলে এলো। আপনি টক ঝাল মিষ্টি সুস্বাদু বড়ই এর আচার তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। বড়ই এর আচার তৈরি প্রতিটা ধাপে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
ভাই আপনি খুব মজাদার একটা রেসিপির পোস্ট শেয়ার করেছেন। তবে আচার তৈরির পদ্ধতি বা রেসিপি দিলেই ঠিক ছিলো DIY পোস্ট এর ভিতর মনে হয় না রেসিপি পরে। আমার ও ভুল হতে পারে।
আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া, দিলেন তো লোভ ধরিয়ে, টক ঝাল মিষ্টি বরই এর আচার দেখে কি জীভ কে সামলানো যায়। এতো সুস্বাদু একটি আচারের রেসিপি যা দেখে ভীষণ খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। আমার কাছে টক-ঝাল-মিষ্টি বরইয়ের আচার খেতে খুবই ভালো লাগে। টক-ঝাল-মিষ্টি সুস্বাদু বড়ই আচারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বড়ইয়ের আচার আমার অনেক প্রিয় ভাইয়া, আপনার বড়ই আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো, আপনার আচার তৈরি অনেক সুন্দর হয়েছে, প্রতিটি ধাপের অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
এত সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ছোটবেলা থেকেই আচার অনেক পছন্দ এবং আপনারর তৈরি আচার দেখে জিভে জল চলে আসলো।
সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি আচার খেতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে খিচুড়ি কিংবা ডাল ভাতের সাথে। আপনার আচারের চেহারা দেখেই জিভে জল চলে এলো। একটু পেলে মন্দ হতো না। হা হা হা...
আমি যদি পাখি হতাম উড়ে গিয়ে অবশ্যই আপনাকে দিয়ে আসতাম । তা আর হলো না বাস্তবতার কাছে হেরে গেলাম। পোষ্টটি সম্পর্কে সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আচার খেতে কে না পছন্দ করে।আমি তো অনেক পছন্দ করি।আজকে আপনার তৈরি রেসিপি বরই এর আচার মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। কালারটা ও অনেক দুর্দান্ত এসেছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মতামত প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জিভে জল আনা একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। টক-ঝাল-মিষ্টি নামটা শুনেই জিভে পানি চলে আসলো। যদিও কখনো বাড়িতে এভাবে বড়ই রান্না করি নি। তবে বাইরে অনেক কিনে খেয়েছি। এভাবে রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এত সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।