চিকিৎসা নিতে গিয়ে আরো অসুস্থ হয়ে পড়তাম।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।
প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
আজ কয়েক দিন বেশ অস্বস্তিতে আছি শরীরটা তেমন ভালো নেই । সাধারণত আমি ঘন ঘন অসুস্থ হই না। যখন অসুস্থ হয় তখন বেশ গুরুত্ব ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। আজ কয়েকদিন যাবত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শরীর ফুলে ওঠে ভীষণ চুলকানি আরম্ভ হয়। আবার শরীর ফুলা ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে মিশে যায়। যতই দিন যাচ্ছে তত শরীরের চুলকানি বেড়ে যাচ্ছে । তাই ভাবলাম ভালো একজন এনার্জি, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবো। আমাদের জেলা শহরে খোঁজ নিয়ে দেখলাম প্রাইভেট হাসপাতালে একজন ভালো এনার্জি চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ভিজিট নেই ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা। আসলে বলা যায় যে যারা মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত তাদের এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকা খুবই কঠিন।
কারণ দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতিতে সবাই এখন দিশেহারা। আয়ের সাথে ব্যয়ের কোন প্রকার মিল পাওয়া যায় না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তারপর যদি পরিবারের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তো তার ভোগান্তির এবং দুশ্চিন্তার কোন শেষ নেই। আমার অবস্থা একই রকম হয়েছে। পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগাড় করতে দিশেহারা হতে হচ্ছে। তার উপর অসুস্থ হয়ে পড়লাম। সাধারণত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দিতে হলে তাহলে বাইরে কোন প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে পারতাম। কিন্তু ভিজিট ৮০০ টাকা হওয়ার কারণে বাইরে ডাক্তার দেখানো সম্ভব নয়।
তাই আমি সরকারি হসপিটালে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাবো ভাবছি। যেমন ভাবনা তেমনি সকালেই বাড়ি থেকে রওয়ানা হলাম হাসপাতালের দিকে। হাসপাতালে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দশ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করলাম বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখানোর জন্য। টিকিট সংগ্রহ করতে প্রায় আধা ঘন্টা উপরে সময় লেগে গেছে। পুরো হাসপাতালে রোগী ভর্তি। আমার মনে হয় পুরো উপজেলার সকল মানুষই অসুস্থ হয়ে হাসাতালে এসেছে । অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করার পর এখন ডাক্তার দেখাতে গেলাম হাসপাতালে দ্বিতীয় তলায়। আমি দ্বিতীয় তালায় গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম নারী পুরুষের বিশাল লাইন।
কি আর করার সবার পেছনে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। মনে মনে ভাবছি ভাগ্যটা আজ আমার বড্ড খারাপ। প্রচণ্ড গরম আর মানুষের গাদাগাদিতে খুবই বিরক্ত লাগছে আমার কাছে। একজন রোগী দেখতে ডাক্তার অনেক সময় নিচ্ছে। এতে করে যতো সময় যাচ্ছে ততোই মানুষের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ এবং শিশুরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়ানোর পর অবশেষে ডাক্তার দেখায় পেলাম। ডাক্তারকে আমার সমস্যার কথা বুঝিয়ে বললাম ডাক্তার আমার কথা শুনে ওষুধের প্রেসক্রিপশন লিখে দিলো। বাহির থেকে ওষুধ কিনে আনার জন্য।
ফার্মেসিতে গেলাম প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে ওষুধ নেওয়া জন্য । ডাক্তার ১৫ দিনের ওষুধ দিয়েছে। ১৫ দিন পর আবার দেখা করতে বলছে। তিন রকমের ওষুধের দাম ৪৮৫ টাকা। অনেকক্ষণ লাইনে গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে আমার কাছে খুবই খারাপ লাগছিলো। আসলে মানুষের গালাগালি ভিড়ের মধ্যে থাকে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পড়ি। বাড়িতে আসার পর থেকে খুব বেশি অসুস্থতা অনুভব করছি। ডাক্তার যে ওষুধগুলো দিয়েছে তা খাওয়ার পর যদি সুস্থ হয় তাহলে তো ভালো। আর না হয় আবার যেতে হবে হাসপাতালে ভোগান্তি শিকার হতে। আজ আর নয় আবার দেখা হবে আপনাদের সাথে অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করব , ইনশাআল্লাহ।
- অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/MdAgim17/status/1705452693496721498?t=JX64FrsQCd06zruxddH44w&s=19
অসুস্থতা আজকাল একটা বিড়ম্বনা। ডাক্তারের কাছে গেলও ১০০০ থেকে ১৫০০ দিতে হয়। তারপর তো আছে ওষুধ। সরকার হাসপাতালের কথা কি বলবো মানুষের জন্য তো পা রাখা দায়। তবু যে আপনি ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন এই অনেক। দোয়া করি এই ওষুধে যেন আপনার সমস্যা কেটে যায়।
দোয়া করবেন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারি, ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসলে প্রাইভেট ডাক্তারদের দেখাতে গেলেই বেশ বড়সড়ো এমাউন্টের ভিজিট দিতে হয়। আর এর কারনে সাধারণ মানুষ ছুটে চলে সরকারি হসপিটালের দিকে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পায় বিশাল নাইন। আর লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক কষ্ট মষ্ট করে আপনি ডাক্তার দেখিয়ে আনতে পেরেছেন যেন ভালো লাগলো। দোয়া করি যেন এই ওষুধগুলোর মাধ্যমে আপনি সুস্থ হয়ে যান। যেন এই বিষয় নিয়ে আবার পরবর্তীতে ডাক্তারের কাছে না যাওয়া লাগে।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আজকাল অসুস্থ হলেও ভোগান্তির শেষ নেই।প্রাইভেট ডাক্তারের খরচ অনেক।আর তাই সরকারি হাসপাতালে ছোটা।তাতে ও আবার লম্বা লাইন।এই গরমে এই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে সুস্থ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে যায়। আর অসুস্থ মানুষের কি হাল হয় তা নাই বা বললাম।অনেক কষ্ট করার পর ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন। দোয়া করি এই মেডিসিনে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।আর যেনো ডাক্তারের কাছে না যেতে হয়।
দোয়া করবেন আপু যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যেকোনো সমস্যায় প্রাইভেট হসপিটালে গেলেই অযথা কয়েকটা টেস্ট করতে বলে। ডাক্তারের ফি এবং টেস্ট ফি সহ ৫/৬ হাজার টাকা নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। তারপর তো ঔষধের খরচ রয়েছে। যাইহোক সরকারি হাসপাতালে গিয়ে লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। আশা করি ঔষধ খেয়ে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর অনুমতি শেয়ার করার জন্য।