Lifestyle || আমার জন্মদিন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো ও সুস্থ আছি।
আজ ২৮ জানুয়ারি আমার শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আমার পরিবার ও বান্ধবীদের সাথে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রতিবারের মতো এবারের জন্মদিনটিও আমার বেশ ভালো ভাবেই কেটেছে। জন্মদিন নিয়ে আমার সেই ভাবে কোন পরিকল্পনা থাকে না। রাত বারোটা থেকেই সবাই জন্মদিনের শুভেচ্ছার মাধ্যমে আমার এই বিশেষ দিন টা শুরু করে দেয়। এরপর কলেজে যাবার পর সব বন্ধু বান্ধবীরা নানা রকম উপহার দিয়ে আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। এরপর কলেজের ক্যান্টিন থেকে ছোট ছোট কয়েকটি কাপ কেক কিনে আমাকে দিয়ে কেক কাটিয়ে নেয় এবং সে কেকগুলো আমরা সবাই একসাথে মিলেমিশে ভাগ করে খেয়েছি। এই ছোট ছোট খুশী গুলোই আমার মনে হয় জন্মদিনের সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত। কলেজ শেষে আমি সবাইকে চা খাওয়ার ট্রিট দিয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের কলেজে ফোন নেওয়া নিষেধ সেইজন্য এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমি ছবি তুলে রেখে দিতে পারি নি। এই জন্মদিন টি ছিল কলেজ জীবন এর শেষ জন্ম দিন।হয়তো আবারো জন্মদিন আসবে কিন্তু এই মানুষ গুলো আমার জীবনে নাও থাকতে পারে।চাইলেও হয়তো এক সাথে হয়ে সবাই মিলে দেখা করা হয়ে উঠেনা।কিন্তু আজ কের দিন আমি বেশ মজা করেছি।
এর পর বাসাতে এসে দেখি আম্মু আমার জন্য কেক বানিয়ে রেখেছিল। কেক আমার অনেক বেশি পছন্দের একটি খাবার। আর সেটা যদি হয় চকলেট কেক তাহলে তো কথাই নেই। এর পর ছোট ভাই বোন ও আমার ফুপিরা মিলে সবাই কেকটি কেটে একসাথে খেলাম। সেই সাথে অনেক গল্প করছিলাম।
আমার জন্মদিন উপলক্ষে আম্মু নানারকম খাবারের আয়োজন করেছিল। আত্মীয়-স্বজনরা মিলে সবাই মিলে একসাথে খাবার খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও সবাই মিলে গল্প গুজবে মেতে উঠলাম। আর এভাবেই আমি আমার আজকের জন্মদিনটি উপভোগ করলাম।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজ এখানেই শেষ করছি এরপর আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব। আপনারা সবাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
শুভ জন্মদিন উপমা! আজকের এই বিশেষ দিনে অনেক অনেক শুভকামনা রইলো তোমার জন্য। জন্মদিন টা যে কোন মানুষের জ৯ন্যই স্পেশাল একটা দিন। আজকের দিনটা যেমন ভালো কেটেছে, তেমনি ভালো কাটুক সামনের দিনগুলোও। আগামীর জন্য শুভকামনা রইলো। শুভ জন্মদিন আবারো!
আর কী সুন্দর সুন্দর চুড়ি উপহার পেয়েছো! 😍😍
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আমাকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।❤️🥰
আপনার জন্মদিন উপলক্ষে খুব সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে বাসাতে। আর সে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই পোস্টে। আপনি বাসায় ফিরে দেখছেন আপনার জন্য আপনার আম্মা কেক তৈরি করে রেখেছে। আসলে জন্মদিনটা মানুষের আনন্দের একটা দিন। আর আনন্দঘন মুহূর্তটা আপনি আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দিনটি আপনার জীবনে বারবার ফিরে আসুক সেই কামনাই করছি। তবে এবারের জন্মদিনটা আপনার কলেজ জীবনের শেষ জন্মদিন ছিল। ঠিক বলেছেন আপু হয়তো এই মানুষগুলো জীবনে আর নাও থাকতে পারে। বাসায় দেখি আপনার মা আপনার জন্য অনেক কিছুর আয়োজন করেছেন। যাই হোক আশা করছি আজকের দিনটা বেশ ভালো কেটেছে আপনার।
জ্বী আপু অনেক ভালো কেটেছে দিনটি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার জন্মদিনে প্রথমেই শুভকামনা জানাচ্ছি। আপনার পরিবার এবং বান্ধবীদের সাথে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
স্কুল কলেজ জীবনের জন্মদিন গুলো একেবারেই ভিন্ন রকম ছিল। তখন আয়োজন খুব অল্প হলেও তার মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ কাজ করতো। আপনার বান্ধবীরা বেশ চমৎকার ভাবে আপনার জন্মদিনের উদযাপন করেছে। আপনার আম্মু দেখছি বাসায় মজাদার কিছু খাবার রান্না করেছেন। সব খাবার নিশ্চয়ই আপনার পছন্দের। যাই হোক সবশেষে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।