লাইফ স্টাইল || বৃষ্টির অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আপনারা প্রায় সকলেই জানেন আমাদের দেশের তাপ দাহের বৃদ্ধির কারণে জনগণ গরমে অস্থির। অবশেষে গতকাল আমাদের বগুড়ায় বৃষ্টি হওয়ায় আজকের আবহাওয়াটা বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল। আজ আমি আপনাদের সাথে কালকে বৃষ্টির ভেতরে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি
কালকের আবহাওয়া টা বেশ গরম ছিল কিন্তু আকাশটাও বেশ মেঘলা ছিল। আবহাওয়া দেখেই মনে হচ্ছিল যে একটা বড় ঝড় হবে হয়তো। ঠিক বিকাল বেলায় আকাশটা অন্ধকার হয়ে আসছিল। সূর্যটাও সেই অন্ধকার মেঘের ভেতরে ডুবে যাচ্ছিল। এরপর বেশ ঠান্ডা বাতাস চারদিকে বয়ে যাচ্ছিল। আমিও আর ঘরে না থেকে দৌড়ে চলে গেলাম ছাদে। ছাদে যেতে যেতেই দেখি প্রচুর পরিমাণে বাতাস উঠে গিয়েছে সেই সাথে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে ।বৃষ্টি থেকে বাতাসের পরিমাণটাই বেশি ছিল । আমি ছাদে ওঠার পর দেখতে পেলাম আশেপাশের অনেক মানুষ ছাদে উঠে এসেছে। আমরা সবাই মিলে পরিবেশটা বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করছিলাম। এত গরমের পর এত বাতাস পেয়ে সত্যি মনটা খুশিতে মেতে উঠছিল। ছাদের গাছগুলো বাতাসের কারণে নাড়াচড়া করছিল। আমি তো ভাবলাম এই বুঝি গাছগুলো ভেঙে পড়ে। আমি কিছু লাঠির সাহায্যে গাছগুলোকে ভালো করে বেধে দিলাম যেন গাছগুলো ভেঙ্গে না যায়।
এরপর শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। বৃষ্টির সময় গাছগুলোকে দেখতে এত সুন্দর লাগতেছিল। গাছগুলোকে একদম সতেজ মনে হচ্ছিল। যদিও গাছগুলোতে প্রতিদিনই পানি দিতাম তারপরও বৃষ্টির পানি পেয়ে যেন গাছগুলো জীবন ফিরে পেল। এরপর বারান্দায় এসে বৃষ্টি দেখছিলাম আর সময়টাকে উপভোগ করছিলাম। বিকালের দিকে বৃষ্টি হওয়ায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যারা বাইরে খেলতে গিয়েছিল তারাও দেখছিলাম ভিজে ভিজে বাড়ি ফিরছে। যখন বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তখন দেখলাম রাস্তার সব মানুষগুলো দৌড় দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার জন্য নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছিল। সত্যি বলতে এই সব কিছু মিলে বৃষ্টির দিন টা বেশ সুন্দরভাবে আমি উপভোগ করেছি।প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টিটা শেষ হলেও বেশ ঠান্ডা বাতাস বইছিল বলে আবহাওয়াটাও ঠান্ডা ঠান্ডা ছিল।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আপু আপনার পোস্টে দেখে খুবই ভালো লাগলো যে আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছে। কি আর বলবো আপু বৃষ্টির জন্য আমরা খুবই কষ্ট করছি। আবার মনে হয় এখন যে আবহাওয়া একটু বৃষ্টি হলেই হয়তো সব ঠিকঠাক হয়ে যেত যেমনটা গরম আছে তেমনটা হয়তো থাকতো না এতে সবাই একটু শান্তি পেত। যাক আপনাদের ওইখানে মেঘ হওয়ার পরপর বৃষ্টি হয়েছিল এবং এতে গাছপালাগুলো খুব ভালো দেখতে লেগেছিল। আসলে আপু বৃষ্টি হলে যেন গাছপালা গুলো তাদের সজীবতা ফিরে পায় দেখতে সত্যিই ভালো লাগে।
একটু অপেক্ষা করুন বৃষ্টি আপনিও পেয়ে যাবেন। বৃষ্টির পর গাছপালা গুলোকে দেখে মনে হয় যেন সত্যি ওরা প্রাণ ফিরে পেল।
বৃষ্টির শীতলতায় প্রকৃতি শীতল হয়েছে। বৃষ্টির সময় সবাই আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছোটাছুটি করে। এই বিষয়টা সত্যি ভালো লাগে। তবে এটা ঠিক আপু প্রকৃতি কিন্তু বেশ শীতল হয়েছে। যাই হোক আপনার অনুভূতি জেনে ভালো লাগলো আপু।
বৃষ্টির চেয়েও বাতাস আমার কাছে খুব ভালো লাগে। মনে হয় প্রকৃতির সাথে সাথে আমিও ছুটে বেড়াই। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
অবশেষে আপনারা বৃষ্টি পেয়েছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো আপু। এই গরমের মধ্যে বৃষ্টি আমাদের স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য আমরা এখন পর্যন্ত স্বস্তির বৃষ্টি দেখা পায়নি।
অবশ্যই পেয়ে যাবেন আপু শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা। আজ আমি পেয়েছি হয়তো কাল আপনি পাবেন। ধন্যবাদ আপু।
বেশ কিছু দিন খারাপ আবহাওয়ার পর বৃষ্টি যেন অনেকটা স্বস্তি এনে দেয় সবার কাছে। কাল আপনাদের ওখানে বৃষ্টি হয়েছে জেনে বেশ ভাল লাগল। যদিও আমাদের এখানে সকাল থেকে মেঘলা ছিল। ওয়েদারটা বেশ ভালই ছিল ।তবে এখন টিপ টিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে।এই বৃষ্টি তে যেন সব গাছ পালা সজীব হয়ে উঠবে। আপনার বৃষ্টির দিনের অনুভূতি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
বৃষ্টি এবং বাতাস একসাথে দেখতে পেয়ে নিজেকে আর ঘরের ভেতর রাখতে পারলাম না। তাইতো ছুটে চলে গেলাম সুন্দর মুহূর্তটা উপভোগ করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশবাসী বড় তাপদাহ দেখলো। এতে করে জনজীবনের অবস্থা একদমই খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এখন আবার ঝড় বৃষ্টির কবলে এই বাংলাদেশে। সব মিলিয়ে এসবের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। অনেক চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন আপু, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সত্যিই আপু এ সব কিছুর জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনি তো দেখি ঘরের বারান্দায় এসে বৃষ্টি উপভোগ করেছেন। আমি ঘরের ছাদের উপর গিয়ে বৃষ্টির উপভোগ করেছি। গাছপালাগুলো আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। যেন গাছপালাগুলো শান্তি পেয়েছে। গাছপালার দিকে তাকালে মনে হচ্ছে যেন তারা হাসতেছে খুশিতে 😀। এটি ঠিক আজকের পরিবেশটা অনেক বেশি ঠান্ডা। এমনিতেই বৃষ্টির জন্য সবাই ছাতক পাখির মত অপেক্ষা করতেছিল। অতঃপর বৃষ্টির দেখা মিলল। আমি নিজেও অনেক বেশি উপভোগ করেছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া মানুষের পাশাপাশি গাছপালাও মনে হচ্ছে শান্তির বৃষ্টি খুঁজে পেয়েছে।
খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে এই সুন্দর পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ আসলে এরকম মুহূর্তগুলো উপভোগ করার মজাই আলাদা। আপনিও খুব সুন্দর ভাবে এই মুহূর্ত উপভোগ করেছেন আর আমিও এই মুহূর্তে উপভোগ করেছিলাম৷ আপনি ঘরে বারান্দায় বৃষ্টি উপভোগ করেছেন আর আমি বৃষ্টি যতক্ষণ পর্যন্ত ছিল ততক্ষণ পর্যন্ত বাইরে ছিলাম৷ অনেক ধন্যবাদ এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য৷
বৃষ্টিতে আপনারা যেমন বাহিরে থাকতে পারেন কিন্তু আমরা মেয়েরা সবকিছু করতে পারিনা। সমাজ বলে কথা। ধন্যবাদ ভাইয়া।