লাইফ স্টাইল || বান্ধবীর সাথে কিছু মুহুর্ত
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্তের কথা শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় আড়াই মাসের মতো আমার কলেজে মডেল টেস্ট এক্সাম চলার কারণে বাহিরে ওইভাবে বের হওয়া খুব একটা হত না। তাই কালকে আমার এক ফ্রেন্ডকে বললাম চল কালকে একটু ঘুরে আসা যাক। ওকে বলার সাথে সাথে ওইও রাজি হয়ে গেল। আমার বাসার সামনেই একটা রেস্টুরেন্ট আছে। রেস্টুরেন্টটা আমার কাছে ভীষণ পছন্দের। এই রেস্টুরেন্টটা আমার বাসা থেকে পায়ে হেঁটে গেলে প্রায় পনেরো মিনিটের মত আর রিক্সা দিয়ে গেলে ৫ মিনিট সময় লাগে। তাই এই রেস্টুরেন্টে আমি মাঝে মাঝেই বাবার সাথে খেতে চলে যাই।
রেস্টুরেন্টের সামনে একটি কৃষি ফার্ম রয়েছে। আর এই রেস্টুরেন্টটা একদম সাত তালায় ছিল যার কারণে এই রেস্টুরেন্টের নাম হলো ট্যারেস। আর রেস্টুরেন্টের আশেপাশে ফাঁকা ছিল আর বিকালের ওই সময়টাতে বেশ ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। আকাশটাও এত সুন্দর হয়েছিল আকাশে একটা চাদও ছিল। আমার ফ্রেন্ড আমার যাওয়ার আগেই রেস্টুরেন্টে বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। এরপর আমি যাওয়ার পর দুজনে বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম। ছবি তুলতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
কালকে আবহাওয়া টা একটু গরম হলেও ঠান্ডা বাতাস ছিল। যার কারনে আমরা দুই ফ্রেন্ড সময়টাকে বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করছিলাম। সেদিন খুব একটা বেশি আমরা খাবার খাইনি। আমার ফ্রেন্ড নিয়েছিল একটি লাচ্ছি ও আমি নিয়েছিলাম একটি কোল্ড কফি। খাওয়া-দাওয়ার মাঝে আমরা বেশ ছোটখাটো একটা আড্ডা দিয়েছিলাম। যেহেতু আমাদের অনেক দিন পর দেখা তাই গল্পটা বেশ জমিয়ে উঠেছিল। আড্ডা দিতে দিতে কখন যে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে বুঝতেই পারিনি। তারপর আম্মুর ফোন আসার পর বুঝতে পারলাম গল্প করতে করতে সময়টা বেশ অনেকটুকুই অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে প্রায় মাগরিবের আজানের সময় হয়ে গিয়েছিল। তারপর তাড়াহুড়ো করে আমরা দুজন রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে দুজনে দুটা রিক্সা নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসলাম।
আগে প্রায় সময়ই প্রাইভেট থেকে আসার সময় ওই রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষণ বসে খাওয়া-দাওয়া করে তারপর বাসায় আসতাম। কিন্তু এখন পড়ালেখার চাপে আর সেই ভাবে রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় না আড্ডাও দেওয়া হয় না।
আজ এ পর্যন্তই। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আসলে প্রিয় মানুষগুলোর সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠলে কখন সময় পার হয়ে যায় সেটা কিন্তু বোঝা যায় না। বন্ধুদের সাথে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন শুভকামনা রইল আপু।
আপনার জন্য রইল শুভকামনা ভাইয়া।
বান্ধবীর সাথে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে এমন সুন্দরভাবে বাইরের পরিবেশে ঘুরতে আমি খুব পছন্দ করি এবং খাওয়া-দাওয়া করতে পছন্দ করতাম কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ পায় না। তবে আপনাদের এই মুহূর্ত দেখে বেশ কিছু মনে পড়লো অতীতের কথা।
আপু এই অতীতগুলো আমিও এক সময় খুঁজবো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে অনেকদিন পর বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে কোথাও আড্ডা দিতে সবার খুব ভালো লাগে। আসলে আপনি আপনার বান্ধবীকে পেয়ে খুব খুশি হয়েছিলেন এবং বান্ধবীর সাথে মনে হয় অনেক বেশি মজা করেছিলেন। কেননা বন্ধু-বান্ধবরা যদি এক জায়গায় থাকে তখন অনেক বেশি মজা হয়। যদিও এখন বন্ধুগুলোকে আমরা সবাই খুব মিস করি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার বান্ধবীর সাথে কাটানো কিছু আনন্দের সময় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। আর অনেক গল্প গুজব হয়। আপনারা কাছাকাছি একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখনকার সময়ে ভালো সময় কাটানো কিংবা বন্ধুর সাথে আড্ডা বিষয় টি কেমন জানো সবসময়ই রেস্টুরেন্ট কেন্দ্রীক হয়ে গেছে। এছাড়া অবশ্য ভালো কোন অপশন ও নেই হাতে! আপনি আপনার বন্ধুর সাথে প্রায় দুই- আড়াই মাস পর বেশ দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছেন দেখে বেশ ভালোই লাগলো। পড়াশুনার পাশাপাশি মনকে ফ্রেশ রাখাটাও জরুরি। শুভকামনা রইলো পরীক্ষার জন্য।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন পড়ালেখার পাশাপাশি মনটাকেও ফ্রেশ রাখা উচিত।
বান্ধবীদের সাথে কাটানো চমৎকার একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে বান্ধবীদের সাথে এরকম ভাবে সময় কাটালে সেই সময়টুকু বেশ মধুর হয়।
আপনার মন্তব্য করে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে আপু বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। যদিও আপনার পরীক্ষার এক্সাম এর কারণে তেমন বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন নাই। তবে আপু রেস্টুরেন্টে মনে হয় আপনার একদম কাছে। হেঁটে গেলে মাত্র ১৫ মিনিটের রাস্তা। আর চেনা পরিচিত রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে গেলে নিজের কাজ সব ভালো লাগে। যাইহোক দুই বন্ধু মিলে ভালো সময় কাটিয়েছেন ।এবং আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে এরকম ভাবে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি তো দেখছি আপনার ফ্রেন্ডের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন এবং খাওয়া-দাওয়া করেছিলেন। আপনাদের দুজনের কাটানো মুহূর্তটা ভালোভাবে উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার কাছে এই রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এরকম পরিবেশে আড্ডা দেওয়ার মজাটাই কিন্তু আলাদা হয়। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা এবং আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা এত সুন্দর করে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বন্ধু-বান্ধবের সাথে বাহিরে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ফ্রেন্ডদের সাথে বাহিরে গেলে সময় কিভাবে যে চলে যায় এটা বলাই যায় না। আপনি আপনার বান্ধবীর সাথে দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন। হালকা খাওয়া-দাওয়া করলেও দুজনে ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ এখানে। আর এরকম পরিবেশে আড্ডা দিতে তো আরো ভালো লাগবে। আপনার কাটানো মুহূর্তটা সুন্দর করে সবার মাঝে ভাগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। দারুন সময় কাটিয়েছিলেন বুঝতে পারছি।
জি ভাইয়া অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি। গল্পের মাঝে সময় যে কিভাবে অতিবাহিত হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পরিচিত রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে মাঝেমধ্যে খাওয়া দাওয়া করতে গেলে বেশ ভালোই লাগে। তবে আপনি আপনার ফ্রেন্ডের সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো নিজের কাছেও খুব ভালো লাগে। যদিও রেস্টুরেন্টে আপনাদের বাসার খুব কাছে। যাই হোক খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন। তা আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।