লাইফ স্টাইল || কলেজের প্র্যাকটিক্যাল এর কিছু মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজ ছিল আমার কলেজের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা। আমার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় টা ছিল ঠিক দুপুর ২ টা থেকে বিকাল 4 টা পর্যন্ত। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করেই প্রায় ১ টা ২০ মিনিটে আমি বাসা থেকে বের হই। আমার বাসা থেকে কলেজের দূরত্ব খুব একটা বেশি না প্রায় ২০ মিনিটের মত সময় লাগে যেতে। দুপুরের সময় হওয়ার কারণে রিকশাও সেভাবে পাচ্ছিলাম না। একটু টেনশনেও হচ্ছিল মনে হচ্ছিল যে আরেকটু আগে বের হলে হয়তো রিক্সা পাওয়া যেত। যাইহোক বেশ কিছুক্ষণ পরে একটা রিক্সা পেলাম এই রিকশায় উঠে পড়লাম আর কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর দেখতে পেলাম আমাদের কলেজের সামনে রাস্তাটা ঠিক করার জন্য রাস্তাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপর রিক্সা ওয়ালা মামা অন্যদিক দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আমাকে কলেজে নামিয়ে দেয়। যেখানে আমার কলেজে যেতে সময় লাগে 20 মিনিট সেখানে আজকে আমার কলেজে যেতে সময় লেগেছিল প্রায় ৪০ মিনিটের মত। যাইহোক কলেজে পৌঁছানোর পর সোজা চলে গেলাম পাঁচতলায় কারণ আমাদের প্রাকটিকাল পরীক্ষাটা হবে পাঁচতলায়। এরপর রুমে ঢুকতে দেখি সবাই সবার প্র্যাকটিক্যাল আবার কেউ গল্প নিয়ে ব্যস্ত। আমিও ব্যাগটা রেখে একটু গল্প করে নিলাম। এর মধ্যেই আমাদের আইসিটি স্যার রুমে প্রবেশ করল। আমরা সবাই চুপচাপ হয়ে নিজেদের জায়গায় বসে পড়লাম।
এরপর স্যার আমাদের সবাইকে এক এক করে খাতা দেওয়া শুরু করল। আমরা যথারীতি খাতায় মার্জিন নাম রোল লিখে ফেললাম। এরপর আমাদেরকে প্রাকটিক্যাল লিখতে বলা হলো । আমরা সবাই সবার পছন্দমত দুইটা করে প্রাকটিক্যাল লিখে স্যারের কাছে খাতা জমা দিলাম। স্যার আমাদের রো ল দেখে আমাদের খাতা সাইন করে দিলেন। আজকের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষাটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। কারণ আজকে সবাই একসাথে বসে আমরা পরীক্ষা দিয়েছিলাম।
আজ প্রচন্ড পরিমাণে গরম থাকার কারণে পরীক্ষাটা দিতেও একটু বিরক্ত লাগছিল তারপরও সবার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগলো। পরীক্ষা শেষে চলে গেলাম ম্যামের কাছে খাতা সাইন করতে। ম্যাম আমাদের সবার থেকে এক এক করে খাতা জমা নিলেন আর বললেন একটু ওয়েট করতে। আমরা এই সুযোগে কলেজের চার পাশে হাঁটছিলাম আর গল্প করছিলাম। এরপর ক্যান্টিন থেকে সবাই একটা করে পেপসি কিনে খেয়ে নিলাম। এরপর ম্যাম আমাদের খাতা গুলো আমাদের কাছে দিয়ে দিলেন। তারপর আবারো বাসার উদ্দেশ্যে রিকশায় করে রওনা দিলাম।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী