আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগন আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন? আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। প্রতিদিনের মতো আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমার আজকের পোস্টটি হলো গাজরের বরফি। প্রতিবছরই গাজরের সময় আমি এই বরফি বানিয়ে থাকি। তাই বাবা বাজার থেকে গাজর কিনে এনেছিল। আমারও যেহেতু পরীক্ষা চলছিল যার কারণে সময় হয়ে উঠছিল না গাজরের বরফি বানানোর। আজকে যেহেতু শুক্রবার ছুটি আছে তাই ভাবলাম আজকেই গাজরের বরফি তৈরি করে ফেলা যাক। এই গাজরের বরফি কমবেশি আমরা প্রায় সকলেই পছন্দ করি।
| উপকরণসমূহ | পরিমান সমূহ |
|---|
| গাজর | ১/২ কেজি |
| চিনি | পরিমাণ মতো |
| দুধ | ২ কাপ |
| ঘি | ৪ চা চামচ |
| দারচিনি | ২ টি |
| তেজপাতা | ৩ টি |
| সাদা এলাচ | ২ টি |
| কিসমিস | কিছু সংখ্যক |
| বাদাম | কিছু সংখ্যক |
প্রথমে গাজর গুলোকে পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
পরিষ্কার করে রাখা গাজর গুলোকে একটি কাটারের সাহায্যে উপরের খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এরপর সেই গাজর গুলোকে একটি গ্রেটারের সাহায্যে সব গাজর গ্রেট করে নিয়েছি।
এরপর একটি প্রেসার কুকারের ভেতরে গ্রেট করে রাখা সেই গাজর গুলো দিয়ে দিয়েছি সেই সাথে চার কাপ পরিমাণ পানি অ্যাড করে গাজর গুলোকে সেদ্ধ করে নিয়েছি।
এরপর সেদ্ধ করা গাজর গুলো একটি চালনার ভেতর রেখেছি এবং পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
পানি ঝরানো হয়ে যাবার পর সেই গাজর গুলোকে একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
এরপর একটি পাত্রে দুধ দিয়ে দিয়েছি এবং সেই দুধকে ঘন করে জাল দিয়ে নিয়েছি।
এরপর আরেকটি পাত্রে চার চা চামচ ঘি দিয়েছি ও ব্লেন্ড করে রাখা গাজর গুলো দিয়ে ঘি এর সাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
এর ভিতর তেজপাতা, দারচিনি ও সাদা এলাচ দিয়ে আবারো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি
এর কিছুক্ষণ পর ঘন করে রাখা সেই দুধ এর ভিতরে ঢেলে দিয়েছি ও পরিমান মত চিনি এড করে দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
এরপর যখন সে মিশ্রণটি ঘন হয়ে এসেছে তখন একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি।
এরপর একটি পেটে পরিবেশনের জন্য গোল করে সেই মিশ্রণটি রেখেছি ও এর উপরে কিছু বাদাম ও কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করে নিয়েছি। আবার একটি ছুরির সাহায্যে সেই বরফিগুলো কে চারকোণা করে কেটে নিয়ে ফ্রিজে রেখেছিলাম ঠান্ডা হবার জন্য।
পরিবেশন
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আজকের রেসিপি গাজরের বরফি। আমার কাছে খেতেও বেশ ভালো লেগেছে। আজ এই পর্যন্তই। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
গাজরের হালুয়া খেয়েছি তবে গাজরের বরফি কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আমার কাছে একদম ইউনিক লেগেছে। তাছাড়া আপনার উপস্থাপনা দারুন ছিলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য।
একবার করে খেয়ে দেখেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গাজরের বরফি ভীষণ সুন্দর সুস্বাদু পুষ্টিকর একটিও খাবার। আপনার গাজরের বরফি রেসিপিটি অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে অনেকটা সুস্বাদু। ধাপে ধাপে গাজরের বরফি সুন্দর ভাবে আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
অনেক সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। গাজর দিয়ে এমন রেসিপি আমি কোনদিন তৈরি করি নাই বা খাওয়া হয়নি। তাই আপনার সুন্দর এই রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় মনে হল আমার কাছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু একবার তৈরি করে খেয়ে দেখেন আমার মনে হয় আপনার কাছেও খুব ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গাজরের বরফি বা গাজরের হালুয়া খুবই ভিটামিনযুক্ত একটি খাবার। এটা বাহির থেকে না খেয়ে নিজে বানিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার হয়। আজকে আপনার গাজরের বরফি রেসিপি টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পরিবেশনটা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর ও উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এটা কে মনে হয় হালুয়া ও বলে। এটা আমার অনেক ভালো লাগে খেতে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি টি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন এটাকে হালুয়াও বলে। তবে প্লেটে রেখে এভাবে কাটার পর হালুয়ার নাম হয়ে যায় বরফি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাজরের বরফি খুবই মজাদার রেসিপি দেখতে পেলাম। এ ধরনের রেসিপি কখনো তৈরি করা হয়নি। তাই আপনার রেসিপির পরিবেশন আমার কাছে ইউনিক লেগেছে দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।
কষ্ট হলেও একবার তৈরি করে খেয়ে দেখেন ভাইয়া ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সবার ব্যস্ততা অনেক বেশি থাকে। আজকে ছুটির দিন পেয়ে আপনি খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। গাজরের বরফি রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। আমিও আপনার তৈরি করা রেসিপি দেখে এই মজার রেসিপি শিখে নিলাম।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
যদিও আমি এর আগে গাজরের হালুয়া খেয়েছি। কিন্তু গাজরের বরফি আমি কখনো খাইনি। আজকে আপনার পোস্টে আমি গাজরের বরফি রেসিপিটা দেখতে পেলাম। এই রেসিপির প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপনার রেসিপিটা দেখে পরবর্তীতে আমি বাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল গাজরের বরফি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এগুলো তৈরি করতে একটু সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন। আপনি অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন।প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন গাজরের বরফি তৈরি করতে সময় ও ধৈর্য লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
গাজরের বরফির দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। গাজর কিংবা সুজির বরফি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আজ আপনি গাজরের বরফি বেশ সুন্দরভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটা ধাপ বেশ সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলে ধরেছেন খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।