কলেজের ফরম ফিলাপের অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে বেশ ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আজকে একদিকে মনটা যেমন ভালো লাগছিল ঠিক অন্যদিকে খারাপও লাগছিল। আমার সামনে জুন মাসের শেষের দিকে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তো এই জন্য সারা বাংলাদেশের প্রায় সব কলেজ গুলোতেই ফরম ফিলাপ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের ফরম ফিলাপ শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে। কিন্তু বৃহস্পতিবারে আমার বাবা একটু ব্যস্ত থাকার কারণে সেদিন ফরম ফিলাপ করা হয়ে ওঠেনি। আর শুক্র শনি সরকারি ছুটি থাকার কারণে ব্যাংক যেহেতু বন্ধ থাকে সেজন্য আর ফরম ফিলাপ করা হয়নি। তাই আজকে আমি আর বাবা মিলে আমার ফরম ফিলাপ করতে গিয়েছিলাম।
সরকার থেকে আমাদের একটা ফরম ফিলাপের জন্য টাকার অ্যামাউন্ট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকার পরিমাণটা সরকারি কলেজের জন্য প্রযোজ্য হলেও আমাদের মতন বেসরকারি কলেজের জন্য প্রযোজ্য নয়। যেহেতু আমি বে সরকারি লাইনে পড়ালেখা করছি সেজন্য আমার পেছনে বেশ মোটা অংকের টাকা খরচ করতে হয়। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন ভাবতাম কবে এইচএসসি এক্সাম দিয়ে ভার্সিটিতে উঠব। কিন্তু এখন মনে হয় কেন বড় হলাম। যত বড় হচ্ছি জীবনে যেন ততই দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। আগে যখন ছোট ছিলাম তখনও বাবা-মা আমাদের লেখাপড়ার পেছনে অনেক টাকা খরচ করত কিন্তু তখন ওইভাবে বুঝতাম না। কিন্তু এখন বড় হয়ে নিজের চোখে যখন দেখছি আমার পেছনে বেশ অনেক টাকা খরচ করছে তখন নিজের কাছেই অনেক খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে মনে হয় ইস যদি আরেকটু ভালো করে পড়তাম তাহলে হয়তো বেসরকারি লাইনে না পড়ে সরকারি ভাবে চান্স পেলে এত খরচ হতো না।
আসলে বাবা মারা সন্তানের লেখাপড়ার পেছনে টাকা খরচ করার সময় ভেবে খরচ করে না। একটা সন্তানকে ভালো জায়গায় সবার বাবা-মাই দেখতে চায়। পড়ালেখার জন্য যত খরচ করার কথা তারা সর্বস্ব দিয়েই সে তার সন্তানকে লেখাপড়া করানোর চেষ্টা করে । আমরা প্রতিটি সন্তানই আমাদের বাবা মার কাছে কৃতজ্ঞ। তাদের ঋণ কখনোই আমরা শোধ করতে পারবো না। বিশেষ করে আমাদের বাবা-মার পরিশ্রমের এত কষ্টের টাকা তারা প্রায় শেষ করে ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার পেছনে। এছাড়াও ছেলেমেয়ের আবদার তো রয়েছেই। আজকে আমার ফরম ফিলাপের পেছনে এতগুলো টাকা দিতে দেখে আমার সত্যি মনটা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আমার বাবার এই টাকাগুলো সার্থক করতে পারি এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি। বাবা-মার মুখে যেন হাসি ফোটাতে পারি।
আজ এখানেই শেষ করছি। এরপর নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারো হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আপনার কলেজের ফরম ফিলাপের অনুভূতিটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি বেশ চমৎকার ভাবে আপনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কলেজে ফরম পূরণ এর দারুন অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেকদিন পর স্মরণ করলাম কলেজ জীবনের কথা। ইন্টার অনার্স মাস্টার্স কবে কমপ্লিট করে যেন কলেজ লাইফ হারিয়ে ফেলেছি। যাইহোক বেশি ভালো লাগলো আপনার সুন্দর একটা অনুভূতি আর বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন বিস্তারিত। সুন্দর অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।আর কলেজ এর ফর্ম ফিলাপ এ কম টাকা লাগলেও এডমিশন এর সময় বিভিন্ন কোচিং এ ভর্তি বিভিন্ন যায়গায় গিয়ে পরিক্ষা দিতে আরো বেশি টাকা লাগে।