লাইফ স্টাইল : মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আজ আমি ঘুরতে গিয়েছিলাম এক মেলাতে । মেলাটি খুব বেশি বড় ছিল না।
আজ আপনাদের সাথে মেলাতে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি খুব একটা বেশি মেলাতে যাইনা।কিন্তু আজ খালামনিরা সবাই যাচ্ছে দেখে আমারও খুব ইচ্ছা হলো যেতে। আর পড়ালেখার চাপ থাকার কারণে আমি খুব একটা বাহিরে যেতেও পারি না , আবার ইচ্ছাও করে না।বাসাতে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি লাগছিল তাই ভাবলাম খালামনিদের সাথে একটু ঘুরে আসা যাক। মন টাও ভালো হবে।
তাই সকাল এর খাবার খেয়েই রেডি হয়ে নিলাম।এরপর একটা রিক্সা নিয়ে মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম । মেলা মানেই লোকজন এর ভির।আর এই ভিড় এর মধ্যেও কিছু দোকান পরিদর্শন করেও ফেললাম।আমার কাছে মনে হয় মেলার মধ্যে দোকান এর থেকে মানুষ এর পরিমাণ বেশি। কিছু দোকানে বেশ সুন্দর সুন্দর কাঠের জিনিস পত্র দেখলাম।আবার দেখলাম ছোট ছোট হারি পাতিল ।আমার কাছে এসব দেখে বেশ ভালই লাগলো।আমার কাছে সব থেকে ভালো লেগেছিলো গাছের দোকান গুলো।নানা রকম গাছের সমাহার দেখে এত বেশি ভালো লেগেছে আমার । এছাড়াও ছিল নানা ধরনের ফুল গাছ।সবাই দেখলাম নানা ধরনের গাছ কিনছে। এসব দেখে আমিও আর লোভ সামলাতে না পেরে কিছু গাছ আমিও কিনে ফেললাম।তাছাড়াও ছিল নানা ধরনের খাবারের দোকান।আমরাও কিছু খাবার খেলাম।আমার কাছে সময় টা বেশ ভালোই কেটেছে।
আজ অনেক দিন পর সবাই মিলে এক সাথে ঘুরতে গেলাম।সবাই এক সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা।একা একা যেয়ে সেই মজা টা হয়তো পাওয়া যায় না। অনেক ভিড় থাকার কারণে আমরা খুব বেশি সময় সেখানে থাকি নি ।
আজ আর নয় । এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হব।আজ এখানেই শেষ করছি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ।সবাই কে ধন্যবাদ।
আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী।
আসলে আমরা যখন মেলায় উপস্থিত হয়ে থাকি তখন কিন্তু অনেক কিছুই দেখতে পাই। আর এই জন্যই মূলত আমি মেলা ভ্রমন করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। ঠিক কিছুদিন আগে আমিও আমাদের এখানে একটি ওয়াজ মাহফিলের বেলায় ভ্রমণ করেছিলাম আর অনেক কিছু দেখা পাশাপাশি কেনাকাটা করেছি। বেশ ভালো লাগলো আপনার মেলা ভ্রমণ সম্পর্কে অনেক ধারণা পেয়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সবসময়ের একঘেয়ে জীবন তো ভালো লাগার কথা না, তাই মাঝে মধ্যে এমন বিনোদন হলে বেশ ভালোই হয়! খালামনিদের সাথে করে মেলায় বেশ দারুণ মুহুর্ত উপোভোগ করা হলো তাহলে। আর কিউট কিউট হাড়িপাতিল গুলো দেখেই শৈশব এর কথা মনে পড়ে গেলো! 😍
আসলেই আপু অনেক মজা করেছি। পাতিল গুলো দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
তারমানে আপনি আজকে অনেক আনন্দ করছেন এবং অনেক সুন্দর ভাবে ঘোরাফেরা করছেন সেটি আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে।এত সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি এবং আপনার লাইফস্টাইলের কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে বাসাতে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি লাগে। তাই আমাদের ভ্রমণের প্রয়োজন পড়ে। কোথাও গেলে খুবই ভালো লাগে। আপনিও তাই বাসাতে বসে থাকতে থাকতে আপনার ভালো লাগতেছে না। যার কারণে আপনি আপনার খালামনির সাথে মেলাতে এসেছেন, মেলাতে এসে খুবই ভালো মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ঘরে বসে থাকতে থাকতে মন যেন বাইরের দিকে ছুটে যেতে চায়। আপনারও ঠিক তেমনি হয়েছে তাই আপনি আপনার খালামণিদের সাথে মেলাতে এসে কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। সেই মুহূর্তের ফটোগ্রাফি দেখতে ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমারও বাইরে বের হতে একদমই ভালো লাগে না কিন্তুু যদি কখনো এমন মেলায় যাই তাহলে খুব ভালো লাগে।মেলায় হরেক করমের জিনিস পত্র পাওয়া যায়।আপনার মেলার সব গুলো ফটোগ্রাফি ভীষণ চমৎকার কিন্তুু ফুল গাছ গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে ইস যদি কিনতে পারতাম কতই না ভালো হতো। বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট টি পড়ে।মাঝে মাঝে লোক মাঝে গেলে কিংবা এমন মেলায় গেলে বেশ ভালোই লাগে কিন্তুু।ধন্যবাদ আপনাকে মেলায় ঘোরাঘুরির অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে মেলার সবথেকে ভালোলাগার জিনিসটাই ছিল নানা রকমের গাছ। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।