লাইফ স্টাইল || কলেজে কাটানো কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে ভালো ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো ও সুস্থ আছি। আজ আমি আবারো আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
![]() |
---|
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার কলেজে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি। প্রায় টানা দুই মাস ধরে আমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছে কারণ সামনে আমাদের এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা। আমার আজকের পরীক্ষার বিষয় ছিল পৌরনীতি ও সুশাসন। সকাল থেকে আকাশটা অনেক বেশি মেঘলা ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল যেন বৃষ্টি হবে। আর সেই সাথে বেশ বাতাসও ছিল। যাইহোক তারপর তো এক্সামে উপস্থিত থাকতেই হবে। তাই আর দেরি না করে বাসা থেকে রেডি হয়ে রিকশাতে উঠে পড়লাম কলেজে যাবার উদ্দেশ্যে।
আমার এক্সাম শুরু হয়েছিল ঠিক বারোটায়। কিন্তু রাস্তায় অতিরিক্ত জ্যাম থাকার কারণে আমি কলেজে পৌঁছাতে প্রায় এগারোটা পঞ্চাশ বেজে গিয়েছিল। আমি হলে প্রবেশ করার পরেই দেখতে পাই আমার ক্লাস রুমে টিচার প্রবেশ করে গিয়েছিল সেই সাথে সবাইকে খাতা দিচ্ছিল। আমিও স্যারের অনুমতি নিয়ে ক্লাস রুমে প্রবেশ করলাম তারপর স্যার আমাকে একটি খাতা দিয়ে দিল। আমি আর দেরি না করে সাথে সাথে খাতায় নিজের নাম, রোল মার্জিন দেওয়া শুরু করলাম। যেহেতু এটা এইচএসসির জন্য এই মডেল টেস্ট চলছে সেজন্য আমাদের সিট প্ল্যানটা হয়েছে ঠিক এইচএসসি সিট প্লান এর ভিত্তিতে। এরপর ঠিক ১২ টায় আমাদের প্রথমে এমসিকিউ দিতে হয়। এমসিকিউ এর জন্য সময় থাকে ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এর জন্য আমাদের আলাদা একটা শীট দেওয়া থাকে সেই শীটের ভেতরে সঠিক উত্তরটি কলমের সাহায্যে বৃত্তটি ভরাট করতে হয়। ৩০ মিনিট শেষ হয়ে যাওয়ার পরপরই আমাদেরকে সৃজনশীলের প্রশ্ন দেওয়া হয়। এই সৃজনশীল আমাদের কে এগারোটা প্রশ্নের ভেতর থেকে যেকোনো সাতটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আর আমাদের সময় থাকে দুই ঘন্টা তিরিশ মিনিট।
![]() |
---|
এরপর আমরা সবাই লেখা শুরু করে দেই আর আমাদের গার্ডে থাকে আমাদের টিচাররা। তিনটার দিকে আমাদের সবার পরীক্ষা শেষ হয়ে যায় আর তখন টিচাররা ও খাতা জমা নিয়ে নেয়। এরপর রুম থেকে বেরিয়ে আগে যাই আমাদের কলেজের ক্যান্টিনে। সেখান থেকে একটা পুরি ও একটা সিঙ্গারা কিনে নিয়েছিলাম। আমাদের কলেজের পুরি খেতে বেশ ভালো লাগে । যেহেতু দিনটা ছিল মেঘলা মেঘলা তাই কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতরে খোলা আকাশের নিচে বসে সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম আর আমরা আমাদের খাবারগুলো খাচ্ছিলাম। এরপর আধাঘন্টা গল্প করে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসি। কলেজের সামনে থেকে গোলা কিনে নিলাম। এরপর আমরা তিন ফ্রেন্ড গোলা খেতে খেতে বাসায় ফিরলাম।
![]() |
---|
![]() |
---|
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সে পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
তোমার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম তুমি এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী হ্যাঁ আমি ও এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। তবে তোমার পোস্ট পড়ে আরো জানতে পারলাম তোমাদের কলেজে মডেল টেস্ট পরীক্ষা চলছে । আজকে তোমার পরীক্ষার বিষয় ছিল পৌরনিতে ও সুশাসন। আসলে পরীক্ষা চলাকালীন সবাই চাই একটু আগে আগেই হলে প্রবেশ করি কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমরা অনেক সময় নির্দিষ্ট টাইমে পৌঁছাতে পারি না। যেমন তোমার ক্ষেত্রে হয়েছিল। আসলে বারোটাই পরীক্ষা আর ঘড়িতে বেজে গেছে ১১ঃ৫০ এমন সময় মাথায় আর কাজ করে না। যাইহোক আজকে যে পরীক্ষা দিলে এবং আশা করি পরীক্ষাটি খুবই ভালো হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে আরো আগে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সব মিলিয়ে কলেজে বেশ একটা ভালো সময় পার করেছো। আর এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। তোমার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কলেজ ক্যাম্পাসে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বেশি ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ মুহূর্ত দেখে। আসলে এই মুহূর্তটা এতটা আনন্দের হয়ে থাকে পরবর্তী যারা আমাদের মত সংসার জীবনে চলে আসে তারা শুধু মিস করে। জয় হোক বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই মুহূর্তে দেখতে পেরে।
আসলে আপু আমি তো ওই জীবনে পা রাখেনি তাই বুঝতেও পারছি না। তবে আম্মুর কাছে সব সময় শুনি স্কুল ও কলেজের জীবনটা নাকি অনেক আনন্দের। আমার আম্মু ও খুব মিস করে স্কুল কলেজে পড়ার সময়টা।