মামার গায়ে হলুদ
আশা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই বোনেরা ভালো আছেন, আমিও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার মামার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি এই হলুদের অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনদের ও ছোট বড় ভাই-বোনদের সাথে অনেক মজা করেছি। আজ সে আনন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে।
কিছুদিন আগে মামার বিয়ে উপলক্ষে ঢাকা গিয়েছিলাম। মামার বাসাতে যাওয়ার পর দেখতে পেলাম আমার আম্মুর ফ্যামিলির প্রায় সকল আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত হয়েছে। সেখানে এমন অনেক আত্মীয় ছিল যাদের সাথে ছোটবেলায় দেখা হয়েছিল কিন্তু বড় হয়ে ওঠার পর তাদের সাথে ওইভাবে সাক্ষাৎ করা হয়ে ওঠেনি কিন্তু কথা হতো। যেহেতু বিয়ে বাড়ি সেহেতু সব ভাই-বোনেরা মিলে একসাথে আড্ডা হইহুল্লোড় গল্প গুজব করে প্রায় অর্ধেক রাত শেষ হয়ে গেল। পরের দিন সন্ধ্যায় ছিল মামার গায়ে হলুদ। সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের খাবার খেয়ে আবার আমরা সবাই গল্পে মশগুল হয়ে পড়লাম। এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই যার যার মত করে মামার হলুদে যাবার জন্য রেডি হতে লাগলাম। মামার গায়ে হলুদ উপলক্ষে আমরা মেয়েরা সবাই হলুদ রঙের শাড়ি পরার চেষ্টা করেছি। মামার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল। সেই জন্য আমরা সবাই রেডি হয়ে চলে গেলাম সেই কমিউনিটি সেন্টারে।
কমিউনিটি সেন্টার এ যাবার পর ছবি তোলার পর্ব শুরু হয়ে গেল। কেউ সেলফি তুলছিল, কেউ গ্রুপ ফটো তুলছিল। তাদের মধ্যে আমিও বাদ যায়নি। আমিও সবার সাথে মিলেমিশে ছবি তুলছিলাম।এর মধ্যেই মামা মামি এসে উপস্থিত হলো।
যেহেতু গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সেহেতু গান-বাজনা তো থাকবেই। সেখানে মামীসহ মামির আত্মীয়-স্বজন সকলের গান ও নাচ পরিবেশন করতে লাগলো। আমাদের সেভাবে কোন প্রস্তুতি না থাকার কারণে আমরা কোনরকম নাচের পারফরম্যান্স করতে পারিনি। কিন্তু মিউজিসিয়ানদের সাথে আমরা কয়েকজন গান পরিবেশন করেছিলাম।নাচ গানের শেষে সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রাত প্রায় একটার দিকে মামার বাসায় চলে আসলাম।আর এভাবেই মামার হলুদের আয়োজনটা শেষ হলো । আর সেই সাথে পরের দিনের বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
আজ এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে আমার মামার বিয়ের আনন্দের মুহূর্ত টা নিয়ে হাজির হব। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী ।
মামার গায়ে হলুদ এটা তারাহুরো করে পড়তে গিয়ে পড়েছি আমার গায়ে হলুদ😁।পরে ভালো করে পড়ে দেখলাম আমার নয় মামার হাহা।আপনি দেখছি মামার বিয়েতে খুব ভালো সময় পার করেছেন।ঢাকায় গেছেন মামার বিয়ে উপলক্ষে জেনে খুব ভালো লাগলো।আসলে বিয়ে কিংবা কোন অনুষ্ঠান ছারা আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা হয় না।আপনার সবার সাথে দেখা হয়েছে বিয়েতে গিয়ে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ মামার বিয়ের আনন্দ গুলো আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এখনো বড় অনুষ্ঠানের সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো সকল আত্মীয়-স্বজন ও সমবয়সী সবাই একসাথ হই। সবাই একসাথে হইহুল্লর গল্প গুজব শুরু করে দিই। আপু তৃতীয় ছবিতে গোল্ডেন কালারের শাড়ি পড়া মাঝখানের মেয়েটি কে। কি হয় আপনার? যাইহোক পরবর্তী বিয়ের পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
মাঝখানের ওই মেয়েটি আমার বড় মামি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার বড় মামি কিন্তু বেশ কিউট আছে। 😍
ধন্যবাদ আপু।