অনুভূতি || শীতে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো
আসসালামু আলাইকুম। এই প্রচন্ড শীতে আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালই আছেন । আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালই আছি ।
![]() |
---|
বর্তমানে আমাদের এই বাংলাদেশে প্রচন্ড শীত পড়েছে। এই শীতকাল অনেক মানুষের পছন্দের ঋতু । কিন্তু এই ঋতু সব মানুষের সুখের বা আনন্দের নাও হতে পারে। বিশেষ করে রাস্তায় ,রেলওয়ে স্টেশনে যারা বসবাস করে বা গরিব-দুঃখীদের জন্য এই শীত অনেক কষ্টকর। আমরা যখন শীতের রাতে বাসা বাড়িতে মোটা কাপড় গায়ে জড়িয়ে লেপ বা কম্বলের মধ্যে ঠান্ডার নিবারণ করতে পারছি তখন রাস্তার ধারে থাকা কিছু মানুষ পাতলা কাপড় গায়ে জড়িয়ে শীতের সাথে যুদ্ধ করে জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীতে শীতকাল যে সবার জন্য সুখের হয় না তা হয়তো তাদেরকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
![]() |
---|
আমার মনে হয় তারাই হলো এই পৃথিবীর বড় যোদ্ধা। অতিরিক্ত গরমেও যেমন তারা গরমের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে ,তাদের কোন ফ্যান এসি লাগে না তেমনি প্রচণ্ড শীতের ঠান্ডা কেও তারা ভয় করে না। ভয়কে যেন জয় করে ফেলেছে তারা। কিন্তু এবার অন্য বছরের থেকে শীতটা যেন একটু বেশি পড়েছে। বেশ কয়েকদিন থেকেই আমি কলেজে যাওয়ার যাওয়ার সময় দেখলাম রাস্তার পাশে অনেক মানুষ কোন রকম একটি পাতলা কাপড় গায়ে দিয়ে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছে। শীতে তারা অনেক কষ্ট করছে। দেখে আমার সত্যিই অনেক কষ্ট লেগেছিল। একদিন শীতের সন্ধ্যায় চা খেতে বের হয়েছিলাম তখন দেখতে পেলাম রাতে খোলা আকাশের নিচে কিছু অসহায় মানুষ ঠান্ডায় শুয়ে আছে তাদের গায়ে পাতলা একটি চাদর। এসব দেখে আমার খুবই কষ্ট লেগেছিল। আমি এই বিষয়টা নিয়ে আমার বাবার সাথে পরামর্শ করি। এরপর আমার কথাগুলো শুনে আমার বাবারা তিন ভাই মিলে চেষ্টা করেছে কিছু শীতের কম্বল মানুষের মাঝে বিতরণ করার জন্য। এরপর আমরা কম্বল গুলো বাবার সাথে গিয়ে কিনে নিয়ে আসলাম। কিছু কম্বল আমরা রাস্তার পাশে থাকার দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করি আর কিছু কম্বল আমার বাবা গ্রামে গিয়ে সেগুলো বিতরণ করেছে। কারোর জন্য কিছু করতে পারলে মনে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়। আমার এত আনন্দ হচ্ছিল যে আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। আমার মনে হয় প্রত্যেক মানুষেরই তার নিজ নিজ জায়গা থেকে একটু হলেও এই গরীব মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা উচিত।
![]() | ![]() |
---|
আজ এ পর্যন্তই। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনাদের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে আপনারা দয়া করে এই অসহায় কিছু মানুষ গুলোকে একটু হলেও সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
খুব ভালো একটি কাজ করেছেন আপু।আসলে আমরা যদি সবাই সবার সামর্থ্য অনুয়ায়ী একটু একটু করে অসহায় গরীব দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতাম তাহলে মনে হয় কিছু টা হলে ও অসহায় মানুষ গুলো স্বস্তি পেতো।জেনে ভালো লাগলো কলেজ যাওয়ার পথে অসহায় মানুষদের দেখে বাবাকে গিয়ে বলেছেন এবং ওনারা তিন ভাই মিলে কম্বল গুলো কিনে দিয়েছেন বেশ ভালো লাগলো জেনে ।ধন্যবাদ পোস্ট টি করার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের সবার উচিত এই অসহায় মানুষ দের পাশে দাঁড়ানো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্ আপনার এই মানবিক কাজটা বেশ ভালো লাগলো আপু। আমরা মানুষ সবাই যদি সবার পাশে এভাবে থাকি তাহলে সবাই মিলে অনেক সুন্দর ভাবে এই পৃথিবীকে গড়ে তুলতে পারবো। শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে বেশ ভালো করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার প্রশংসা করলে আমার মনে হয় কম হবে। আপনার মন মানসিকতা আসলেই অনেক বড়। ঠিক বলেছেন এই শীতে যেমন তারা শীতের সাথে যুদ্ধ করে ঠিক একই রকম ভাবে গরমেও তারা ফ্যান ছাড়া থাকে। তারাই আসলে অনেক বড় যোদ্ধা আমিও মনে করি। আপনি এই শীতে অসহায় কিছু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাদেরকে বেশ কিছু কম্বল বিতরণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আমি মনে করি আমাদের সমাজে এরকম সবার মন মানসিকতা হওয়া উচিত। তাহলে আমাদের চারপাশের মানুষরা কখনোই কষ্ট থাকবে না। বেশ ভালো একটি পোস্ট করলেন আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
জি আপু এই অসহায় মানুষ রা যে কত কষ্ট করে জীবন যাপন করে এই শীত এর মধ্যে এসব দেখে সত্যি অনেক কষ্ট লাগে ।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ভালো একটি কাজ করেছেন আপু। এই কথাগুলো আমারও প্রায় সময় মনে পড়ে আমরা এত শীতের কাপড় পরিধান করেও কম্বলের ভিতর থেকে শীত নিবারণ করতে কষ্ট হয়। কিন্তু রাস্তার মধ্যে রেলস্টেশনে যারা শুয়ে থাকে তাদের না জানি কত কষ্ট হয়। আপনার বাবার সাথে কথা বলে খুব ভালো একটি কাজ করেছেন এ ধরনের কাজগুলো করলে মনে খুব প্রশান্তি পাওয়া যায় এবং নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
ভালো একটি কাজ করেছেন আপু। এই কথাগুলো আমারও প্রায় সময় মনে পড়ে আমরা এত শীতের কাপড় পরিধান করেও কম্বলের ভিতর থেকে শীত নিবারণ করতে কষ্ট হয়। কিন্তু রাস্তার মধ্যে রেলস্টেশনে যারা শুয়ে থাকে তাদের না জানি কত কষ্ট হয়। আপনার বাবার সাথে কথা বলে খুব ভালো একটি কাজ করেছেন এ ধরনের কাজগুলো করলে মনে খুব প্রশান্তি পাওয়া যায় এবং নিজের কাছেও বেশ ভালো লাগে। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বিষয়টি অনেক ভালো লাগার ছিল আপু শুনে অনেক ভালো লাগলো। এবছরের শীতের পরিমাণ টা অনেক বেশি ছিল। আশা করি আরো বেশ কয়েকদিন শীত থাকবে। অসহায় মানুষের পাশে কম্বল নিয়ে দাঁড়ালেন শুনে অনেক ভালো লাগলো। বিষয়টা আমাদের সাথে বিস্তারিত আপনি তুলে ধরলেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই শীত এর মধ্যে এই অসহায় মানুষ গুলো সত্যি অনেক কষ্ট করে বেঁচে আছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সহযোগিতা মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপনার উপরের কথা গুলো পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনার কথা শুনে আপনার বাবা এবং আপনার চাচারা মিলে অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে খুশি হলাম। এধরনের দারিদ্র্য মানুষ গুলো সত্যি ভীষণ কষ্ট করে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সহযোগিতা মূলক মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় শীত অনেক বেশি পরেছে। আমরা বাহিরে বের হলে মোটা কাপড় পরিধান করি এবং বাসায় কম্বল নিয়ে শীতটা বেশ ভালোভাবেই কাটাচ্ছি। কিন্তু যারা গৃহহীন এবং একেবারে গরীব, তারা প্রতিটি মুহূর্ত হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা কতটুকু। তাই আমাদের সবার উচিত সামর্থ্য অনুযায়ী তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। যাইহোক আপনার বাবা এবং দুই চাচা মিলে মোটামুটি অনেক গুলো কম্বল কিনে গরীবদের মাঝে বিলিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। আশা করি গরীবদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করতে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে এই পোস্টটি পড়ে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আমাদের সবারই উচিত এই গরীব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। আর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।