Lifestyle || ইফতারি আয়োজন
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগেরসকল ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই পরিবার নিয়ে বেশ ভাল ও সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় বেশ ভাল ও সুস্থ আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে আবারো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
আমার আজকের পোষ্টটি অন্য দিনের পোস্টগুলোর থেকে আলাদা। এই রমজানের মধ্যে গরীব-দুঃখীদের পাশাপাশি আমাদের চারপাশের পাড়া-প্রতিবেশীদেরও খোঁজ খবর রাখা আমাদের একটি বড় দায়িত্ব। প্রতিবার রোজা আসলেই আমার সব থেকে যে বিষয়টি বেশি ভালো লাগে সেটি হল প্রতিবেশীদের সাথে ইফতার ভাগাভাগি করে খাওয়া। রোজার মাসে আমার বাসার সবাই চেষ্টা করে একটা দিন হলেও প্রতিবেশীদের বাসায় ইফতার দেওয়া। আমার মনে হয় এটা প্রায় সব জায়গায় হয়ে থাকে।
সত্যি বলতে একা একাই ইফতার করার থেকে সবার সাথে ইফতারি শেয়ার করার মজাই আলাদা। আর এই ইফতারটা সবার বাসায় বাসায় পৌঁছে দিতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ছোটবেলা থেকেই আমি সবার বাসায় বাসায় গিয়ে ইফতারি দিয়ে আসতাম। আমার কাছে এই কাজটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
এই রমজানেও আমরা আমাদের চেনা পরিচিত প্রতিবেশীদের বাসায় গিয়ে আমি ইফতার দিয়ে এসেছি। আমরা আমাদের সামর্থ্য মতোই ইফতারি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ইফতারের আইটেম এ ছিল বিভিন্ন ধরনের ফল, বুট, বুনদা, খেজুর, বেগুনি, বরা ও তেহারি।
বাবা সকাল সকাল বাজারে গিয়েই ফলমূল কিনে এনেছিল। আর আম্মু সব রান্নার আয়োজন করেছিল। আমি আর আমার ভাই মিলে সব প্যাকেটে ইফতারি গুলো সাজিয়ে দিচ্ছিলাম। এরপর বিকালে সবার বাসায় আমি আর আমার ভাই মিলে ইফতার গুলো দিয়ে এসেছি।
আমরা যেমন তাদেরকে ইফতারি দেই তারাও তেমনি আমাদেরকে ইফতারি দিয়ে যায়। এর মাধ্যমে আমাদের সমাজের মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি হয়। সকলে একসাথে মিলেমিশে থাকলে একে অন্যের বিপদে আপদে এগিয়ে আসে। মানুষকে কিছু দেয়া এবং খাওয়ানোর মাঝে অনেক বড় একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়। যা আমি এখন অনুভব করতে পারি।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এরপর আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন ও আমার জন্য দোয়া করবেন। আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসসালামু আলাইকুম। আমি আফরিন খান উপমা। আমি রাজশাহী বিভাগের বগুড়া জেলায় বসবাস করি। আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রী। আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি একজন ব্লগার উদ্যোক্তা। আমি গান গাইতে , নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে এবং ছাদ বাগান করতে খুব ভালোবাসি। আমি আনন্দময়ী এবং সকলকে নিয়ে হৈহুল্লর ও একসঙ্গে সকলকে নিয়ে মজা করতে পছন্দ করি। আমি সকলের দুঃখে দুঃখী এবং সকলের সুখে সুখী
আপু আমরা যখন ভাড়া বাসায় ছিলাম তখন সব আন্টিরা আমাদের ইফতার দিয়ে যেত। আর আমার এক আপু ছিল সে মাঝে মাঝে ইফতার নিয়ে কয়েকটি পরিবার মিলে একসাথে ইফতার করত। আপু র ও বিয়ে হয়েছে।আমরাও এখন নিজের বাসায়। অনেক মিস করি এই ইফতার। কেনা ইফতার থেকে আন্টি দের তৈরি করা ইফতার গুলো বেশি মজা লাগত।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু একা একা ইফতার খাওয়ার চেয়ে সবার সাথে একসঙ্গে ইফতার ভাগ করে খাওয়ার মজাই আলাদা ।আপনি গরীব দুঃখী এবং প্রতিবেশীদের মাঝে ইফতার দিয়েছেন আসলে অনেক ভালো একটা কাজ করেছেন আপু ।রমজান মাসে মানুষের ইফতার দেওয়া অনেক সয়াবের কাজ ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিবেশীদের সাথে ইফতারি ভাগাভাগি করে নেওয়ার মজাই আলাদা। আর রমজান মাসে একজন ব্যক্তি আরেকজনের ইফতারি খাওয়ালে অনেক নেকি পাওয়া যায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই ইফতারির বিষয়ক পোস্ট দেখে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন এক ইফতার করার চেয়ে সবাই মিলে একসাথে ইফতার করার অনুভূতি অন্যরকম। আসলেই আমাদের সবার উচিত প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে সবাই একসাথে বসে ইফতার করা। ধন্যবাদ পোস্টটি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে রমজান আমাদের পরস্পরের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করে। বেশ ভালো হয়েছে আপু আপনাদের সমার্থ অনুযায়ী সবার মাঝে ইফতার দিয়েছেন। সবার মাঝে ইফতারি দিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ইফতারি দেওয়ার মধ্য দিয়ে সকালের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। ইফতারি দেওয়ার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনাদের এই কাজটা দেখে খুব ভালো লাগলো। একটা সময় ছিলো যখন আমাদের এলাকায়ও প্রতিবেশীদের ভেতর ইফতার দেয়া নেয়ার চল ছিলো। তবে এখন আর সে বিষয়টা নেই। আসলে এই সমস্ত কাজ করলে প্রতিবেশীদের সাথে হৃদ্যতা বাড়ে। আর এটাই তো ইসলামের শিক্ষা। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া একদম ঠিক কথা বলেছেন আগের মত ইফতারের সেই প্রচলন গুলো বর্তমান সময়ে খুব কম দেখা যায়। বিশেষ করে আমার বাবার জন্যই আমাদের পরিবারে এখনো এই ইফতারের প্রচলনটা রয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে রমজান মাস সংযমের মাস৷ এই রমজান মাসে আমরা অনেক ধরনের কাজকর্ম করে থাকি৷ যা আমাদের অনেকটাই ভালো লাগে৷ এই রমজান মাসে আমরা যখন কোন ধরনের ভালো কাজ করি তখন তা থেকে আমরা অনেক ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি৷ এই থেকে আমরা অনেক ধরনের সাওয়াব পেয়ে থাকি৷ আপনারা ইফতার বিতরণ করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ আসলে এরকম মুহূর্ত গুলো আমাদের সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়া উচিত৷
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু৷