- সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমার সকল খাদ্য প্রেমি বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে খাবার দাবার খেতে কেই না পছন্দ করে !! নতুন নতুন রেসিপি খেতে সবাই পছন্দ করে ।তাই আমি যখন যেটা পারি সেটাই করি এবং তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।তো বন্ধুরা আমার আজকের রেসিপিটা আশা করি আপনাদ ভালো লাগবে। রেসিপি টা হল টমেটোর সস এর মজাদার রেসিপি।।। এটা আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি । কারণ ভাজাপোড়া পাকোড়া এগুলো সস ছাড়া একেবারে অসম্ভব। তাছাড়া নুডুলস পাস্তা সবকিছুর সাথে সসের খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে😁। এগুলো সবগুলোর সাথে আমার সস লাগে। আর যেহেতু বাহিরের সসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত না তাই নিজেই ঘরে তৈরি করে ফেলতে পারেন। যদিও তৈরি করতে একটু ঝামেলা লাগে কিন্তু অল্প উপকরণে খুবই এটি তৈরি করা যায়। এবং আমাদের বাসার সবাই অনেক পছন্দ করে । আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে।
তো বন্ধুরা যদি আমার কোন ভুল হয় আশাকরি সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। |
রেসিপিটি তৈরি করতে আমার যা যা প্রয়োজন: |
- টমেটো
- কর্ণ ফ্লাওয়ার
- মরিচের গুঁড়া
- জিরে গুঁড়া
- লবণ
- প্রথমে আমি টমেটো গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে সিদ্ধ বসিয়ে দেবো। এরপর ঢাকনা দিয়ে রেখে দেবো।
- এরপর দিয়ে দেবো এক কাপ পরিমাণ পানি। দেখা যাচ্ছে টমেটো গুলো কিভাবে সিদ্ধ হচ্ছে।
- এরপর যখন দেখবো টমেটোগুলো পুরোপুরি হয়ে গেছে তখন চামচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিব।
- এরপর ঠাণ্ডা হলে টমেটো গুলোকে একটি চালনির ঝুড়িতে নিয়ে চেলে নেব, যাতে করে টমেটো শাস গুলো আলাদা হয়ে যায়।
- এরপর আমি সেই চেলে নেওয়া টমেটো গুলোকে চুলায় বসিয়ে দেবো। এবং দিয়ে দেব দুই চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার।
- এরপর দিয়ে দেব এক চামচ জিরা গুড়া এবং দুই চামচ চিনি।
- এরপর আমি এক চামচ গুড়া মরিচ টেলে নিব।
- চেলে আমি গুঁড়া মরিচ গুলো দিয়ে দেব।
- এরপর অনবরত নাড়তে থাকতে হবে যতক্ষণ না এটা ঘন হয়ে । সসের মত ঘনত্ব হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নেব।
ব্যাস হয়ে গেল আমার আজকের মজাদার রেসিপি । |
ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে আমার পোস্ট টি দেখার জন্য। 😍😍 |
টুইটারে শেয়ার করলাম
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আমারও তাই সমস্যা হয় প্রায় সময়। বাজার থেকে প্যাকেট নিয়ে আসা হয় কিন্তু আমার ভালো লাগে না। আরমসস তৈরি করলেও পারফেক্ট হয় না। আপনার রেসিপিটা দেখে একদিন তৈরি করে দেখতে হবে কেমন হয়। অনেক ভালো লেগেছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমিও যখন প্রথম তৈরি করেছিলাম পার্ফেক্ট হয়নি। কিন্তু কয়েকবার বানানোর পর এখন পারফেক্ট হয়। তাছাড়া আমি ডিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করি ,খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে নামিয়ে রাখলেই হয় ।তাহলে আপনি বছরখানেক খেতে পারবেন।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে এভাবে টমেটোর সস তৈরি করে রেখে দিলে এগুলো কিন্তু অনেক ভালো থাকে এবং এগুলো একেবারে পুষ্টি সমৃদ্ধ হয় বাজারের টমেটোর সস থেকে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে টমেটো সস তৈরি করেছেন যা দেখে বুঝতে পারছি এগুলো খুবই ভালো লেগেছে খেতে। আমি আমাদের বাড়িতে কয়েক বক্স তৈরি করে রেখে দিয়েছিলাম। এগুলো ফ্রিজে রেখে দিলে খুবই ভালো থাকে। আপনার সম্পূর্ণ রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আপু ঘরোয়া পদ্ধতিতে টমেটো সস তৈরি খেতে খুবই ভালো লাগে এবং একটি স্বাস্থ্যসম্মত। বিশেষ করে সস বাচ্চাদের খুব পছন্দ ,তাই তাদেরকে বাহিরের সসগুলো খেতে না দিয়ে ঘরে এভাবে তৈরি করে খাওয়ালে বেশি ভালো হবে।
ওয়াও অসাধারন একটি রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে।টমেটোর সস এর মজাদার রেসিপি। এই ধরনের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু দেখে খুব খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। এত মজার রেসিপি একা তৈরি করে খেলে তো হবেনা আমাদের ও দাওয়াত করে খাওয়াতে হবে। প্রতিটি ধাপ অসাধারণ ছিল ধন্যবাদ।
ভাইয়া যেহেতু খেতে ইচ্ছে করছে সেহুতু আমার এখান থেকে একটু খেয়ে নেন নয়তো আমাদের বাসায় চলে আসেন। আপনার দাওয়াত রইলো, একা খাবোনা।😁😁
দারুন মজার রেসিপি আজ শেয়ার করলেন আপু।আসলে সস ছাড়া কোন ভাজা ভুজিই জমে উঠে না।আর কেনা সস ভালো ও লাগে না। আপনি খুব সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি শেয়ার করলেন। আমার খুব ভাল লেগেছে।শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জি আপু সস ছাড়া ভাজাপোড়া একেবারেই জমে না। জি আপু যেহেতু বাহিরের সস গুলো ভালো লাগে না, সেহেতু আপনি চাইলে নিজেই ঘরে তৈরি করতে পারেন টমেটো সস।আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাজাপোড়া বা নুডুলস এর সাথে টমেটো সস এর বিকল্প নেই। টমেটো সস ছাড়া এ ধরনের খাবার খেতে ভালো লাগে না। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সস তৈরি করলে যেমন একদিকে স্বাস্থ্যসম্মত হয় তেমনি খেতেও দারুন লাগে। বাজারে কেনা সস খেতে ভালো লাগে না। আপনি খুব সুন্দর করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সস তৈরি করেছেন। সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভাজাপোড়া এবং নুডুলস এর সাথে টমেটো সসের বিকল্প নেই ।আমার কাছেও টমেটো সস ছাড়া এই খাবারগুলো ভালো লাগে না । জ্বী ভাইয়া বাহিরের সসগুলো স্বাস্থ্যসম্মত ও না।
অনেক সুন্দর ভাবে টমেটো দিয়ে সস তৈরি করেছেন আপু। সস আমার অনেকটাই পছন্দের একটি খাবার।আমরা বিভিন্ন খাবারের সাথে সস খেতে পছন্দ করে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া সস আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার ।বিভিন্ন জিনিসের সাথে খুবই ভালো লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।