আমার বাংলা ব্লগ কনটেস্ট-৯ আমার পছন্দের শীতের পিঠা(চই পিঠা )তৈরির রেসিপি

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

প্রিয়,
@amarbanglablog বাসী
সবাই কেমন আছেন? আমি বেশ ভালোই আছি। আশা করি আপনারাও সবাই ভাল আছেন। শীত বেশ ভালোভাবেই নেমেছে। শীতকাল এলেই যে জিনিস গুলো লক্ষ্য করা যায় তা হলো,ভারী কাপড় চোপড় পড়া, সকালবেলা লেপ কিংবা কম্বল মুড়ি দিয়ে দীর্ঘক্ষন শুয়ে থাকা,বিভিন্ন ধরনের পিঠা খাওয়া থেকে শুরু করে আরো নানান ধরনের আয়োজন। আমার বাংলা ব্লগ কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এ সপ্তাহের কনটেস্ট হল - "আমার পছন্দের শীতের পিঠা রেসিপি"। আমার আজকের পোস্টটি পিঠা তৈরির রেসিপি প্রতিযোগিতা নিয়ে।

আমাদের পরিবারের সারাবছর এর বিভিন্ন সময়ের মধ্যে শীতকালের এই সময়ে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। বেশিরভাগ পিঠা সকালবেলা তৈরি করা হলেও, কিছু কিছু পিঠা তৈরির জন্য বিকেলবেলা উত্তম সময়। দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রাখা পিঠাগুলো সাধারণত রাতে কিংবা বিকেল বেলা তৈরি করে রাখতে হয়। পরবর্তীতে সকালবেলা পিঠা মধ্যে দুধ ভালোভাবে প্রবেশ করলে সেগুলো খাওয়া হয়। সেরকমই একটি পিঠা হল চই পিঠা। আমরা বাঙালিরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেলেও, চই পিঠার সঙ্গে খুব কম সংখ্যক মানুষই পরিচিতি রয়েছি। চই পিঠা আমার খুব পছন্দের একটি পিঠা। দুধ দিয়ে তৈরি হওয়ায় এবং অতুলনীয় স্বাদ এর জন্য এইটা আমার খুবই প্রিয়। প্রতিবছর বেশ কয়েকবার এই পিঠা খাওয়া হয়। যদিও শীতকালের পিঠা খেতে বেশি মজা পাওয়া যায়।

আজকে আমি আপনাদের সামনে চই পিঠা তৈরির রেসিপি নিয়ে আলোচনা করব:

আমার তৈরি করা চই পিঠার ছবি

IMG_20211105_223329.jpg

প্রয়োজনীয় উপকরণ

received_879120849639800.jpeg

received_437170411096154.jpeg

উপকরণ সমূহপরিমাণ
চালের আটাএক পোয়া
দুধহাফ কেজি
সাদা এলাচচার পিস
দারুচিনিকয়েক টুকরা
চিনিপরিমাণমতো
পানিপরিমাণ মতো
গুড়া দুধএক প্যাকেট

প্রথম ধাপ:

received_3208374482820461.jpeg

প্রথমে একটি পাতিলে করে অল্প পরিমাণ পানি গরম করে নিই। গরম পানিতে প্রয়োজনীয় আটা মিশিয়ে কাওয়া করে নেই।

দ্বিতীয় ধাপঃ

received_1466356753765291.jpeg

received_252243596946738.jpeg

এরপর কাওয়া পাতিল থেকে বেলুনে উঠিয়ে নিয়ে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ছেনে নেই।

তৃতীয় ধাপঃ

received_376602604209150.jpeg

কাওয়াগুলো ছেনে নেওয়ার পর নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করি।

চতুর্থ ধাপঃ

received_215475720714313.jpeg

received_4610429152336514.jpeg

received_445236190280331.jpeg

এরপর নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদান করেন কাওয়া গুলো হাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নুডুলস এর মত চিকন এবং লম্বাকৃতি করে নেই।

পঞ্চম ধাপঃ

received_686657022316974.jpeg

received_306616061061870.jpeg

received_1715836705285194.jpeg

এ ধাপে নুডুলস এর মত আকৃতি করে নেওয়া কাওয়া গুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিন সেগুলো আবার হাত দিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লম্বা ও ছোট খন্ডাংশ তে ভাগ করে নিই। এই কাজটি খুব কষ্টকর এবং সময় সাপেক্ষ।

ষষ্ঠ ধাপঃ

received_599481447868294.jpeg

অন্য একটি পাত্রে দুধের মধ্যে এলাচ দারুচিনি এবং চিনি মিশিয়ে দুধ গরম করি এবং দুধ গরম হওয়ার পর এতে গুড়া দুধ মিশাই যাতে দুধ ঘন হয়।

সপ্তম ধাপঃ

received_599481447868294.jpeg

দুধ উপযুক্ত পরিমাণে গরম করার পর এরমধ্যে ক্ষুদ্র লম্বা ও ছোট খন্ডাংশগুলো ছেড়ে দেই।

অষ্টম ধাপঃ

সপ্তম ধাপ এ সম্পন্ন করা প্রক্রিয়াটি তিন-চার ঘন্টা রেখে দেই। তাহলে চই পিঠা খাওয়ার জন্য উপযুক্ত হবে।

received_597302994848602.jpeg

received_1120026115069101.jpeg

উপরোক্ত সকল ধাপগুলো অনুসরণ করে আমি আমার রেসিপি তৈরি করলাম। আপনাদের সবার কেমন লাগলো তা জানাবেন। আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
 3 years ago 

খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আলোচনা করেছেন ভাই। চই পিঠা আগে কখনো খাইনি। খুব সুন্দর ভাবে রেসিপির প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

আমি কখনো নাম শুনি নি দাদা এই পিঠার। বেশ মজার নাম টা। দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। এমনিতে দুধের তৈরি সব পিঠাই আমার মজা লাগে। এটাও যে মজা লাগবে সেটা চোখ বুজে বলা যায়। শুভেচ্ছা রইলো দাদা।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

ভাইয়া অসাধারন একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। চই পিঠা শীতের। এর আগে কখনো নাম শুনিনি। আজকে প্রথম শুনলাম। সত্যি বলতে ভাইয়া অনেক ভালো লাগলো নতুন একটা রেসিপির সাথে পরিচয় হয়ে। সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

 3 years ago 

আমার অনেক পছন্দের একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন, এই পিঠা আমার অনেক পছন্দের।এই পিঠাকে আমরা সেমাই পিঠা বলি। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে, ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

দারুন একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই পিঠাটি আমার খুবই প্রিয়।প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

 3 years ago 

ভাই দেখে জিভে জল চলে এলো। এক কথায় অসাধারন চ ই পিঠা আমার বাসায়ও অনেক বার তৈরি করেছিলো খেতে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনারা সুন্দর মতামতের জন্য।

 3 years ago 

খুবই মজার ও আমার প্রিয় পিঠা নিয়ে আপনি হাজির হয়ে গেছেন। সেমাই পিঠা বলে থাকি আমরা। এই পিঠা খেতে খুবই মজা ।আপনি ঠিকই বলেছেন এই পিঠা বানাতে অনেক সময় ও কষ্টের ব্যাপার ।একা একা এ পিঠা বানানো সম্ভব নয় আমরা যখন বাসায় থাকতাম তখন সবাই মিলে একসাথে পিঠাগুলো বানাতাম। এখন আর বানাতেও পারিনা খেতেও পারি না ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 3 years ago 

চই পিঠের নাম আগে কখনো শুনিনি। দেখে যে কি লোভনীয় লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না কিন্তু মনে হয় খুব সুস্বাদু হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

বেশিদিন হয়নি আমার দাদির মারা যাওয়া,আর দুইদিন পর চল্লিশদিন পূর্ণ হবে। আপনি দাদির কথা মনে করায় দিলেন🙂
দাদি আমার জন্য নিজে হাতে বানায় দিতো।পাশে আমি বসে থাকতাম আর লেটিগুলো নিয়ে সাপের মতো করে খেলতাম😔
যাইহোক, বেছে বেছে নিদারুণ একটি রেসিপি বানিয়েছেন। শুভেচ্ছা রইলো ❣️

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।

 3 years ago 

আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ছোটবেলায় আম্মুর হতে এই পিঠা অনেক খেয়েছি ।এখন তেমন একটা খাওয়া হয় না। খুব পছন্দ করতাম আমি ।আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.025
BTC 55011.75
ETH 2337.88
USDT 1.00
SBD 2.34