ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে আনন্দঘন মুহূর্ত
আমাদের পরিবারের চারজন সদস্য। বাবা-মা,ছোট ভাই এবং আমি। ছোটবেলা থেকে বাইরের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে খুব কম মিশেছি। সাধারণত আমার আড্ডাগুলো পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া গল্প গুজব করা কিংবা সবাই মিলে একত্রে পিকনিক খাওয়া-এ সবাই আমার পরিবার কেন্দ্রিক বিনোদনের মাধ্যম। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার বেশ ভালো লাগে।
তবে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা একটু ভিন্ন ধরনের। ওর সঙ্গে আমার সব সময় রেষারেষি লেগে থাকে। ছোটখাটো বিষয় থেকে শুরু করে বড় ধরনের বিষয়গুলোতেও কিছু একটা হয়ে গেলেই হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় দুজনের মধ্যে। এ ধরনের কার্যকলাপের কারণে বাবা মা আমাদের প্রায়ই বকাবকি করত। তবুও শুনতাম না। এখন অবশ্য আমাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটির পরিমাণটাও কমে গেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছি এবং আমার ছোট ভাই নবম শ্রেণীতে পড়ে। দুজনের মধ্যে যথেষ্ট ম্যাচিউরিটি এসে গেছে।
গতকাল আমার ছোট ভাইয়ের জন্মদিন ছিল। আমাদের পরিবারে জন্মদিন তেমন একটা ঘটা করে পালিত হয় না। এজন্য কেক কাটা, বন্ধুবান্ধবদের বাসায় ডাকা, সবাই মিলে একত্রে উৎসবে মেতে ওঠা এসব উৎসব মুখর পরিবেশে কখনোই মেতে উঠিনি। ছোট ভাইয়ের জন্মদিনও কখনো পালিত না,হলেও এবার আমি নিজ উদ্যোগে ট্রিট দিলাম ওর জন্মদিন উপলক্ষে। সন্ধ্যায় ছোট ভাইকে নিয়ে বাইরে বেরোলাম। বাইরে বেরোনোর উদ্দেশ্য হলো ওকে একটা গিফট করার এবং ওর পছন্দের খাবার খাওয়ানো। ও তো যেতেই চায় না। জোর করে আমি নিয়ে গেলাম। টিউশনির টাকা প্রতিমাস শেষে পরের মাসের ৫ তারিখের ভেতর দিলেও এই মাসের টাকাটা আগেই নিয়েছিলাম। ওকে সঙ্গে করে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় গেলাম। ওর পছন্দের খাবার চিকেন বিরিয়ানি। ওর জন্য চিকেন বিরিয়ানি এবং বোরহানি অর্ডার করলাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে মাটন বিরিয়ানি খেতে বেশ পছন্দ করি। অনেকদিন পর দুই ভাই মিলে দুজনের পছন্দের খাবার খেলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওর গিফট কেনার জন্য মার্কেটে গেলাম। পরিকল্পনা ছিল ঘড়ি এবং টি শার্ট গিফট করব। সাধারণত আমাদের পোশাক আমার মা পছন্দ করে কিনে। আমরা মার্কেটে গিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি করার পরও টি-শার্ট পছন্দ হলো না। আর বাসা থেকে মা ফোন করে টি-শার্ট কিনতে নিষেধ করে দিল।মা নিজে এসে পছন্দ করে কিনে দেবে। পরে আমি ওর হাতে ১৫০০ টাকা ধরিয়ে দিলাম। সব মিলে খুব সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটলো।
বুক টা ভরে যায় এমন সুন্দরঘন মুহুর্ত দেখলে। ছোট পরিবার ছোট ভাই,টিউশনি করে টাকা নিয়ে ছোট ভাই এর জন্য উপহার, খাবার আয়োজন আসলে এসবের মধ্যে একটা আত্মতৃপ্তি আছে, মানষিক ভাবে খুব শান্তি লাগে। নিজের পরিবার এবং নিজে সহ যা আছে তাই নিয়ে সুখে থাকার নিদারুন চেষ্টা আসলেই অসাধারণ। দোয়া ও ভালোবাসা রইলো বাবা-মা ছোট ভাই এবং আপনার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
পরিবারের দুই ভাই বা ভাই বোনদের মধ্যে রেষারেষি থাকবেই এটা স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। তবে ছোট থেকেই বন্ধুদের সাথে সেরকম মেলামেশা করেননি পরিবারের সাথে সময় কাটিয়েছেন এই বিষয়টি আমাকে একটু অবাক করেছে। যাইহোক ছোটভাইয়ের জন্মদিন টা খুব ভালো অতিবাহিত করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে ছোট বেলার রেষারেসির ও দুষ্টুমির গল্প ভালো লেগেছে। আমার ছোট ভাইয়ের সাথেও এইরকম ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। অনেক দিন পর ছোট ভাইয়ের জন্ম দিনের অনুভূতির গল্প অসাধারণ। বিষয়টি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ভাই বোনদের সম্পর্ক এমনই হয়। মারামারি রেষারেষি থাকলেও মনের একটা মিল থেকেই যায়। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে খুব ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। তাকে খুব ভালো একটি সময় উপহার দিয়েছেন ।শুভকামনা রইল আপনার এবং আপনার ভাইয়ের জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে আপনার ছোট ভাইকে আমার পক্ষ থেকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ভাই।জীবনে অনেক বড় হোও ভালো কিছু করুক।
অনেক সুন্দর এবং দারুন মুহুর্ত কাটিয়েছেন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ছোট ভাইয়ের জন্মদিনে আনন্দময় মুহূর্তটি সুন্দর ছিল। আরো সুন্দর হোক আগামী দিনগুলো। আর আপনার ছোট ভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা রইল। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল। তাই আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি আপনার ছোট ভাইকে খুব ভালোবাসেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আসলে ছোটদের এভাবে কিছুনা কিছু দিতে পারলে নিজের ই খুব বেশি খুশি লাগে। আমার কাছে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে দুজনকে একসাথে দেখতে পেয়ে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার ছোট ভাইয়ের জন্মদিনেটা আনন্দ দিন ছিল। ভালো কাটুক আপনার ভাইয়ের আগামীর দিনগুলো। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সত্যি বলতে আমিও সেম ভাই। ছোট বেলায় আমার কোন বন্ধু ছিল না। আমি আমার বোনের সাথেই খেলাধুলা করতাম। আপনার ভাই এর জন্য ভালোবাসা রইল।🥰🥰🥰🥰🥰।
সব মিলিয়ে একটি ভালো সময় কাটিয়েছেন এটা বুজতে পারলাম। দোয়া রইল এমন ভালোলাগা দিন যেন সব সময় আসে।
এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রথমে জানাই আপনার ছোট ভাইকে শুভ জন্মদিন, আর খুব সুন্দর একটা মোমেন্ট কাটিয়েছেন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।