হ্যালো স্টিমিট বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি বেশ ভালোই আছি। আশা করি আপনারাও উপরওয়ালার অশেষ রহমতে সবাই ভালোই আছেন। আমার আজকের পোস্টে মূলত প্রতিযোগিতা-১০ এর শীতকালীন সবজি রেসিপির টপিক নিয়ে। আমার আজকের রেসিপি উপস্থাপন করার পূর্বে আমি প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের প্রাণ প্রিয় এডমিন ভাই @moh.arif এবং @hafizullah ভাইকে। কারণ তাদের আয়োজিত সুন্দর কনটেস্টের জন্যই আমি আজকের সবজি রেসিপি পোস্টটি লিখতে পারছি। আজ আমি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব 'ফুলকপির পাকোড়া' রেসিপি নিয়ে।
আমি পূর্বেই বলেছি শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার সবচেয়ে পছন্দের রেসিপি। কমিউনিটির যেসকল ভাই এবং বোনেরা বিভিন্ন রেসিপি নিয়োগ পোস্ট করেছেন তাদের পোস্টে আমার প্রিয় শীতকালীন সবজির কথা জানিয়েছি। ফুলকপি আমার প্রিয় হওয়ার কারণ হলো এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি তৈরির পদ্ধতি ধাপ আকারে নিচে উপস্থাপন করা হলো:
রান্না করা পাকোড়া রেসিপির ছবি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ সমূহ | পরিমাণ |
ফুলকপি | ১পিস |
ময়দা | হাফ কেজি |
বেসন | সামান্য পরিমাণ |
মরিচের গুঁড়া | এক প্যাকেট |
হলুদের গুঁড়া | এক প্যাকেট |
আদা-রসুন-জিরা | এক চামচ করে (বেটে নেয়া) |
লবণ | পরিমাণমতো |
প্রথম ধাপ
প্রথমে ফুলকপি গুলো কেটে নিয়েছি। |
দ্বিতীয় ধাপ
এই পর্যায়ে কেটে রাখা ফুলকপি পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে পাতিলে পানি আর ফুলকপি নিয়েছি চুলায় বসিয়ে চুলা অন করেছি সিদ্ধ করার জন্য বেশি সিদ্ধ করা যাবে না ৫০% সিদ্ধ করে নিতে হবে। |
তৃতীয় ধাপ
এই পর্যায়ে পানি থেকে ফুলকপি উঠিয়ে নিয়েছি। |
চতুর্থ ধাপ
এই পর্যায়ে একটি বাটিতে পরিমান মত বেসন,ময়দা, এবং ১ চা চামচ করে আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুড়া সাদমত লবণ, মরিচ গুড়া পানি দিয়ে গুলিয়ে নিয়েছি বেশি ঘন করা যাবে না বেশি পাতলা করা যাবে না। |
পঞ্চম ধাপ
এই পর্যায়ে তৈল কাড়াই এ দিয়েছি তৈল গরম হয়ে গেলে ফুলকপি বেসন এর সাথে মাখিয়ে নিয়ে তৈল এর মধ্য দিয়েছি লাল হয়ে আসলে তা তৈল থেকে উঠিয়ে নিয়েছি। |
ষষ্ঠ ধাপ
চূড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের ফুলকপির পাকোড়া তৈরী হল। |
শীতকালীন সবজি দিয়ে অনেকে অনেককিছু বানিয়েছে। আর আপনার তৈরি করা পাকড়া ও দারুন সুন্দর হয়েছে। এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এর প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আপনি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যেটি আপনার পোস্ট টাকে আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপু।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ফুলকপির পাকোড়া কিংবা পড়া যাই বলি না কেন এটা খেতে কিন্তু বেশ মজাদার এবং কিছুটা ভিন্ন ধর্মীয় বটে। তবে ফুলকপির বড়া বেসন দিয়ে এভাবে আমি কখনো খাইনি, মসুর ডাল বেটে সেই ব্যাটারে ফুলকপি গুলোকে ডুবিয়ে পাকোড়া বানানো হলে সেটা খেতে কিন্তু টেস্ট টা অন্যরকম।
আপনার রেসিপিটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপি টা কে উপস্থাপন করেছেন।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ফুলকপির পাকোড়া আমার ভীষণ পছন্দের একটি পাকোড়া। এই ধরনের সবজিগুলোর পাকোড়া খেতে দারুন মজার হয়। এরমধ্যে আমার কাছে ফুলকপির পাকোড়া টাই সবথেকে বেশি মজার মনে হয়।
আপনার পাকোড়া টি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। খেতে যে দারুন হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর পাকোড়া তৈরির পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুব সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকালীন সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।শীতকালীন শবজি আমার খুব পছন্দের। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে।যা আমাদের দেহে অনেক উপকারে আসে।ফুলকপির পকোড়া অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে।প্রতিটা ধাপ সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।যা বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে।শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
জী ভাই নিয়মিত এই পুষ্টিকর সবজি খাবেন।তাহলে আপনার জন্যই বেশ কার্যকর হবে।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
ফুলকপির পাকোড়া খেতে খুবই মজা। আসলে শীতকালীন সবজি দিয়ে যে কোন কিছু তৈরি করে নিলেই মজার রেসিপি হয়ে যায়। আপনার এই ফুলকপির পাকোড়া এটা খেতে অনেক মজা আর আপনার পরিবেশন দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা অনেক মজা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
শীতকালীন সবজি গুলোর স্বাদ এতো টেস্ট হয় বলে বোঝানো যায় না। আমাদের বাড়িতে প্রায়ই ফুলকপির পকোড়া হয়ে থাকে। খেতেও দারুন লাগে। আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।এবং রেসিপিটি বানানোর পদ্ধতির ধাপগুলো খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ফুলকপি আমার ও বেশ পছন্দের একটি রেসিপি।আমাদের বাসাতেও প্রায়ই রান্না করা হয় এই রেসিপি।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এটা সত্যিই ভাল স্বাদ হবে, এবং আমি এই ভাজা কখনও দেখিনি.
বাসায় বানিয়ে খাবেন।এই রেসিপি অনুসরণ করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই দিয়ে কয়েকবার দেখলাম ফুল কপির পাকোরা বাংলা ব্লগ এর জন্য এই পাকোরার সঙ্গে পরিচয় আমি ফুলকপি তেমন পছন্দ করি না তবে পকোরা খেতেই হবে একদিন বাসায় বানাবো। আপনি চমৎকার ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ফুলকপির পকোরা। শুভ কামনা রইলো।
জী ভাই,একদিন বাসায় বানিয়ে খাবেন ফুলকপির পাকোড়া রেসিপি।খুব সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার।