অজুহাত কখনো সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে না

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

received_368224014858943.jpeg

আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের কাজ কিংবা
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকি। কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় সফল হই, আবার কখনো বা এসব কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। আমরা কাজ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দাঁড় করায়।

বাঙ্গালীদের একটি সহজাত বৈশিষ্ট্য হলো তারা ব্যর্থ হওয়া কিংবা হার মেনে নেওয়া একদমই পছন্দ করে না। তারা যুক্তিতর্ক থেকে শুরু করে যাবতীয় যেকোনো প্রতিযোগিতা মূলক কার্যক্রমের জিততে চায়। কাজ করে জিততে না পারলেও আমরা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দিয়ে জেতার চেষ্টা করি। আর সব সময় এবং সকল ক্ষেত্রে অজুহাত দিতে গিয়ে একসময় আমাদের মধ্যে অহংকার কিংবা দাম্ভিকতার সৃষ্টি হয়।

মানব জীবনের সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের পাপ কাজের সূচনা অজুহাত এর মাধ্যমে ঘটে। এই যেমন ধরুন বাবা-মার কাছে কোন একটি নিন্দনীয় কাজ করে ধরা পড়লে আমরা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে পার পাওয়ার চেষ্টা করি। আবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের দেয়া পড়া কিংবা বাড়ির কাজ না করলে আমরা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা অজুহাত দাঁড় করায়। আবার পরীক্ষায় কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে ফেল করলে আমরা শিক্ষকদের নিকট মিথ্যা বলে বিষয়টি থেকে পরিত্রান পাওয়ার চেষ্টা করি। অর্থাৎ বাস্তব জীবনের কাজকর্মে যত অজুহাত দাঁড় করায় তার সবাই বানোয়াট এবং মিথ্যাতে ভরপুর।

অজুহাত দেয়ার পেছনে অভিভাবকরাও দায়ী থাকেন। কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা তাদের সন্তানদের একপ্রকার প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেন। অভিভাবকদের চাহিদা থাকে যে তাদের সন্তানরা সব সময় এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হোক। আর এই প্রতিযোগিতায় জিততে গিয়ে অনেক সময় ব্যর্থ হলে বাচ্চারা অজুহাত দাঁড় করিয়ে তারা সকল প্রমাণ করতে চায়। অনেক সময় অভিভাবকগণ নিজ নিজ সন্তানদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে অনেক সময় বিফল হওয়ার পরও অজুহাত দাঁড় করিয়ে তাদের সন্তানদের উচ্চ পর্যায়ে রাখে।

অজুহাত প্রতিরোধে সর্বপ্রথম অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। কারণ প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত অভিভাবকগণ কখনোই তাদের সন্তানদের এরকম প্রতিযোগিতামূলক পর্যায় কখনো ফেলবেন না। তাদের সন্তানরা ব্যর্থ বা বিফল হলেও তারা বিষয়টি সহজভাবেই নেবে। আর সন্তানরা তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে এরকম বন্ধুত্বসুলভ ব্যবহার পেলে কখনো মিথ্যা অজুহাত দাড় করাবে না, যা ভবিষ্যতে উন্নত জাতি গঠনে সহায়ক হবে।

received_889050508361467.jpeg

received_901064560799297.jpeg

Sort:  

অজুহাত কখনো সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে নাা-একদম বাস্তব বিষয় ফুটে তুলেছেন আপনার লেখনীতে। এত সুন্দর ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

আপনাকে ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

খুব সুন্দর একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আজকাল সবাই অজুহাত দিয়ে সবকিছু থেকে পার পেতে চায়। আপনার এত সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

আপনি যেভাবে বিষয়টিকে ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণ। এভাবে চালিয়ে যান ভাই বোঝা যাচ্ছে আপনার ভিতরে কিছু একটা আছে আর আপনার এই অসাধারণ লেখাগুলো পড়ে আমরা ও আমাদের বাস্তব জীবনকে আরো সুন্দর ভাবে গুছিয়ে তুলতে পারব। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে আমরা আমাদের বাচ্চাদেরকে ও আপনার মত একজন সুন্দর মনের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 3 years ago 

"অজুহাত দেয়ার পেছনে অভিভাবকরাও দায়ী থাকেন। কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা তাদের সন্তানদের একপ্রকার প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেন। অভিভাবকদের চাহিদা থাকে যে তাদের সন্তানরা সব সময় এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হোক। আর এই প্রতিযোগিতায় জিততে গিয়ে অনেক সময় ব্যর্থ হলে বাচ্চারা অজুহাত দাঁড় করিয়ে তারা সকল প্রমাণ করতে চায়। অনেক সময় অভিভাবকগণ নিজ নিজ সন্তানদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে অনেক সময় বিফল হওয়ার পরও অজুহাত দাঁড় করিয়ে তাদের সন্তানদের উচ্চ পর্যায়ে রাখে।" যথার্থ বলেছেন ভাই । চেষ্টা করুন কমিউনিটির এঙ্গেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য এবং কমিউনিটির অন্যদের পোস্ট পরার চেষ্টা করুন এবং কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভারে একটিভ থাকুন ধন্যবাদ।

 3 years ago 

গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 3 years ago 

দারুণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাইয়া।আমি আপনার সঙ্গে একমত পোষণ করছি ভাইয়া।অজুহাত অগ্রগতির পথ নয় বরং অধগতির পথ দেখায়।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।

 3 years ago 

অজুহাত কখনো সমস্যার সমাধান এনে দিতে পারে নাা-একদম বাস্তব কথা বলেছেন ভাই পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া

 3 years ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

অজুহাত দেয়ার পেছনে অভিভাবকরাও দায়ী থাকেন। কারণ ছোটবেলা থেকেই তারা তাদের সন্তানদের একপ্রকার প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেন।

বাবা হিসেবে মেনে নিলাম আপনার কথাগুলো। আমাদের ব্যর্থতা

 3 years ago 

ধন্যবাদ ভাই আপনারা মন্তব্য করার জন্য।

 3 years ago 

খুবই সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন এবং বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণও বটে। আমাদেরকে অজুহাতের পিছনে না দৌড়ে সমাধানের পেছনে দৌড়াতে হবে।

তবে, একটা বিষয় একটু দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাচ্ছি। আপনার পোষ্টের মূল বিষয়ের সাথে ছবি গুলোর কোন প্রাসংগিকতা নাই।

 3 years ago 

উপদেশমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.29
TRX 0.12
JST 0.032
BTC 63122.36
ETH 3072.69
USDT 1.00
SBD 3.86