শিকড়ের টানে বাড়ি ফেরা "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
বছরের বেশিরভাগ সময় রংপুর শহরে থাকা হয়। খুব কম সময় গ্রামের বাড়িতে গিয়েছি। তবে আমার জন্মস্থান আমাদের নিজ গ্রামেই। যার ফলে জন্মস্থানের প্রতি স্বাভাবিকভাবেই টান থাকার কথা।কিন্তু ছোটবেলা থেকে কোনো জানি গ্রামে যাওয়ার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ কাজ করত না।বাবার সরকারি চাকরিতে নিয়মিত বদলি হওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থেকেছি। নিজের পরিবারের মা-বাবা এবং ছোট ভাই ছাড়া আর কারো সঙ্গে তেমনভাবে মেশাও হয়নি। পরিবারের সদস্যদের বাহিরে গ্রাম কিংবা বাইরের অন্য কারো সঙ্গে সেরকম ঘনিষ্ঠভাবে না মেশার কারণে নিজ গ্রামের প্রতি তেমন একটা ভালোবাসা কাজ করেনি।
মোটামুটি আমি বাইরের জগত সম্পর্কে জানতে শুরু করি ভার্সিটিতে পড়ার পর থেকে। এসময় বন্ধুদের সঙ্গে মেশা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, মাঝে মাঝে কোন বন্ধুর গ্রাম কিংবা রংপুর শহরের কোন একটি গ্রামে বাইকে করে ঘুরতে যাওয়া এসব কার্যক্রম এ পর্যায়ে এসে মাঝেমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। যার ফলে গ্রামীণ পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর মধ্যে এক ধরনের ভালোবাসা বা ভালোলাগা কাজ করতে শুরু করেছে।এজন্য করোনা ভাইরাস এর শুরুর লকডাউন এ মাঝে মাঝে নিজ গ্রামেও ঘুরতে যাওয়া হয়।আর তখনই বুঝতে পারলাম আসলে আমি কত সুন্দর একটি স্থানে সময় কাটানো থেকে নিজেকে বঞ্চিত করেছি।বাবা যখন যে শহরে বদলি হয়েছেন ওই শহরে পর্যন্ত ঈদ কিংবা বড় বড় অনুষ্ঠান গুলো সম্পন্ন করেছি। নানাবিধ বিভিন্ন রকম কার্যক্রমগুলোতে পর্যন্ত নিজ গ্রামে যাওয়ার প্রতি কোন ধরনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করিনি।
কিন্তু এখন আর আমি এমন সুন্দর শান্তিময় গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটানোর সুযোগ মিস করতে চাইনা। তাইতো এবারের ঈদে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে গেলাম গ্রামে। আমার সঙ্গে ছিল আমার ছোট ভাই এবং মা। আমার বাবার ছুটি পরে হওয়ায় উনি অবশ্য পরে একাই আসবেন। দুদিন আগে আমরা রংপুর শহর থেকে গ্রামে ফিরে এসেছি।রংপুর শহর থেকে নিজ গ্রামে ফিরে আসার সময় মনের মধ্যে অনেক আনন্দ কাজ করছিল।মনের মধ্যে কি পরিমাণ ভালোলাগা কাজ করছিল সেই অনুভূতি বলে বোঝানো সম্ভব নয়। শুধু মনে হচ্ছিল কখন গ্রামে ফিরতে ফিরবো এবং কখন গ্রামীন প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে পারবো। বাসের মধ্যে আমি এবং আমার ছোট ভাই একসঙ্গে বসে ছিলাম আর আমার মাকে অন্য একজন অপরিচিত আন্টির কাছে বসে রেখেছিলাম।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষে আমি মা এবং আমার ছোট ভাই মিলে চলে আসলাম আমাদের বাড়িতে। বাড়িতে কেউ থাকে না। যার ফলে আমরা তিনজন মিলে সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু করলাম।আজ আপাতত এতোটুকুই। আগামীকাল আবারো নতুন কোন লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7i |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
প্রিয়জনদের ভালোবাসায় আপনি বাড়ি যাচ্ছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কর্ম ব্যস্ততার কারণে আমাদের অনেকের বাড়িতে থাকা হয়না। ঈদের সময় নাড়ির টানে আমারা বাড়িতে ফিরে যায়। আপনি সুন্দরভাবে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার শেয়ার করা লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম ভাই। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাই।
সত্যি কথা বলতে গ্রামের প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা কাজ করে। কারণ নাড়ির টান বলে একটা কথা আছে। আসলে আমরা পড়াশোনা এবং জীবনের তাগিদে বিভিন্ন জায়গায় থেকে থাকে। তবে নিজের গ্রামের কথা কখনও বলা সম্ভব না। নিজের গ্রামের সবার সাথে ঈদ করার মজাটাই অন্যরকম। নিজের গ্রামের সবার সাথে ঈদ করতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। আর মুহূর্তটাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বুঝতে পেরেছেন ভাই আমরা জীবনে অনেক কর্মের তাগিদে বাইরে থাকি ঠিকই। কিন্তু গ্রামের বাড়িতে একটা মায়া-মমতা সব সময় কাজ করে। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সামনে ঈদ আর ঈদ সামনে রেখে অনেকেই দুরন্ত থেকে বাসার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। আপনি শিকড়ের টানে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছেন দেখে ভালো লাগলো। শীঘ্রই বাড়িতে এসে পৌঁছে যাবেন এবং পরিবারের সকলের সঙ্গে সুন্দরভাবেই ঈদ উদযাপন করবেন এই দোয়া করি। সুস্থ থাকুন সবসময়।
বাসের মধ্যে থাকা অবস্থায় অধীর আগ্রহে বসে ছিলাম যে,কখন বাড়িতে যাব। দোয়া করবেন সব সময়।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন আপনি অনেক সুন্দর জায়গায় মুহূর্ত কাটানো থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শুরু থেকেই গ্রামে গেলে খুবই ভালো লাগতো। এখন আপনার মা এবং ছোট ভাইকে নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন দেখে বেশ ভালো লাগতেছে। গ্রামের সবার সাথে একসাথে ঈদ উদযাপন করে অনেক আনন্দ করেন এটাই কামনা।
আমি আমার ছোট ভাই এবং মাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। দোয়া করবেন আপু সবাই মিলে অনেক ভালোভাবে ঈদ করে ফিরে আসতে পারি। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ে সুন্দর এবং যথাযথ মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
শুভ হোক আপনার যাত্রা। আপনি যেন সুস্থ সবল শরীর নিয়েই বাড়ীতে ফিরে আসতে পারেন এবং আপনজনদের সাথে ঈদের দিনগুলো ভালোভাবে কাটাতে পারেন সেই দোয়া ও কামনা করি। সর্বোপরি খুব ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট।
আপনাদের দোয়ায় এবং ভালবাসা থাকলে সবসময় সুস্থ থাকব ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার"কথাটির কত খুব মনে পড়ছে আপনার পোস্ট দেখে। আপনি বাড়ি আসার জন্য আপনি অনেক অধীর আগ্রহে ছিলেন। সকল জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বাড়ি আসুক লক্ষ্যে আপনার অনুভূতি গুলো দারুন ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আশা করছি আপনার ঈদ আনন্দ অনেক ভালো কাটবে আর আপনাকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা।
আমার অনুভূতি গুলো জেনে সুন্দর একটি মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা আপু।
গ্রামে ঈদ করার মজাটাই আলাদা। শুভ হোক আপনার যাত্রা এই কামনা করি। খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট আমার কাছে পড়ে। অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। সুস্থ শরীর নিয়ে বাড়িতে ফেরেন এই কামনা করি।
রংপুর থেকে গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ঘটনাটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদের সময় যে যেখানে থাকি শিকড়ের টানে বাড়ি ফিরতেই হয়। বাবা মা পরিবারের সাথে ঈদ করার আনন্দটাই আলাদা। তাইতো আমরা ঈদের সময় হাজার টাকা ব্যয় করে শত ক্রোশ মাইল পথ অতিক্রম করে পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য ছুটে আসি গ্রামের বাড়িতে।
ঠিক বলেছেন ভাই। বাবা-মাসহ পরিবারের সকল লোক জন মিলে গ্রামে একত্রে ঈদ করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামের বাড়ীতে ঈদের আনন্দটাই একটু আলাদা। শহুরে জীবনের ঈদে কিন্তু গ্রামীন মমতা বেশ একটা থাকেনা। যা হোক গ্রামের বাড়ীতে ঈদ করতে আসার জন্য আপনাকে ধন্যবান জানাই।
শহরে ঈদ করার থেকে গ্রামে করার মধ্যে বেশি আনন্দ হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসেন বাড়ি পড়েন নামাজ
প্রিয়জনদের সাথে।
মাস্তি করেন ফুর্তি করেন
মনের আনন্দেতে ।
কবিতার মাধ্যমে সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।