ভাই-ব্রাদারদের সঙ্গে ইফতার "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
ক্যাম্পাস লাইফ এ বন্ধুবান্ধব,ভাই-ব্রাদার থেকে শুরু করে জেলা এসোসিয়েশন,ডিপার্টমেন্ট কিংবা আরো নানান জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। আর এই প্রোগ্রামগুলো বিভিন্ন মৌসুমের বিভিন্নভাবে সম্পন্ন হয়। শীতকালে বনভোজন, বছরের মাঝামাঝি সময়ে নবীন বরণ, কিংবা রমজান মাস আসলে সবাই মিলে ইফতার মাহফিল। রমজান মাস আসলে অনেকের সঙ্গে একত্রে ইফতার বেশ ঘটা করেই সম্পন্ন হয়।
এই যেমন ধরুন আজকেই কিছু বড় ভাইদের সঙ্গে ইফতার করলাম একসঙ্গে। ইফতারিতে মুসলমান বড় ভাইদের সঙ্গে হিন্দু বড় ভাইরাও অংশ নিয়েছিল। এটাই ক্যাম্পাসলাইফে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এখানে সবাই সবাইকে আপন করে নেয়। ক্যাম্পাস জীবন থেকে প্রাপ্ত এই শিক্ষা গুলোই সকলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ করে একত্রে চলতে সহায়তা করে।আমাদের চলার পথে সবসময় নিজেদেরকে বিনয়ী করে তোলে।
রমজান মাসের শেষের দিকের রোজা চলছে। এ সময় অবশ্য অনেকেই ক্যাম্পাস থেকে চলে যেতে শুরু করেছে,আবার অনেকেই রয়ে গেছে। ক্যাম্পাসে থাকা কালিন সময়ে সবার চেষ্টা থাকে একত্রে ইফতার করার। আর আমরা রংপুরের স্থানীয় হাওয়ায়, বেশিরভাগ সময় বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে ইফতার করা হয়। মাঝে মাঝের সময় সুযোগ হয়ে উঠলে ক্যাম্পাসে ইফতার করার চেষ্টা করি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমার কিছু কাছের বড় ভাইদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করা। আমাদের ক্যাম্পাস এর বেশিরভাগ ইফতার ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে সম্পন্ন হয়।
প্রতিদিন এখানে ছোট এবং বড় আকারে গোল হয়ে অনেকের একত্রিত হয়ে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন হতে দেখা যায়। আজকেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে রোজার প্রথম দিকে এই প্রাঙ্গণে যতটা ভিড় ছিল এখন আর তেমন একটা ভিড় নেই। কারণ হলো ক্যাম্পাস থেকে অনেক শিক্ষার্থীর ঈদের ছুটিতে চলে যাওয়া। আজকে আমাদের ইফতারিতে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন রিফাত ভাই, তানজিম ভাই, অরুন ভাই, সুব্রত ঘোষ ভাই সহ নাম না জানা আরো কিছু ভাই।ভাইরা ছিলেন মূলত আমাদের এলোটেড হলের পলিটিক্যাল ভাই।হলের বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামগুলোতে মাঝে মাঝে যেতাম। যার ফলে ভাইদের সঙ্গে ভালো সখ্যতা গড়ে ওঠে। ইফতারের ৩০ মিনিট পূর্বে আমরা সবাই একত্রিত হই। এরপর ভাইদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইফতার কিনে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে চলে গেলাম। ইফতারের সাধারণ খাবার গুলো একত্রে মেখে নিল বড় ভাইয়েরা। আমি সময় অবশ্য কয়েকটি সেলফি এবং ছবি উঠিয়ে নিলাম। নির্দিষ্ট সময় এ আযান দেওয়ার পর আমরা সবাই মিলে একত্রে ইফতার করলাম।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A-12 |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
ভাই ব্রাদার বন্ধুবান্ধবের সাথে ইফতারির ফিলিম চাই অন্যরকম আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সাথে খুব ভালো একটি সময় পার করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এমন একটি মুহূর্তও আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিক বুঝতে পেরেছেন ভাই। সবাই মিলে একত্রিত করার অনুভূতিই অন্যরকম। মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই ব্রাদারের সাথে ইফতার করার মজাই আলাদা, একা একা ইফতার করার থেকে ভাই ব্রাদারের সাথে ইফতার করে সত্যি তৃপ্তি পাওয়া যায়।আমরাও মাঝে মাঝে সবাই এক সাথে ইফতার করি ,আপনার পোস্ট টি পরে খুব ভালো লাগলো ভাই আপনি সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন
একা ইফতার করার থেকে সবাই মিলে একত্রিত করলে বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। এজন্য আমাদের সকলের উচিত মাঝে মাঝে সবাই মিলে ইফতারি করা। ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রিয় ক্যাম্পাসে প্রিয় মানুষগুলোদের নিয়ে ইফতার আয়োজনে মুখরিত হয়েছে আপনার প্রিয় ক্যাম্পাস। আপনাদের এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই। আপনার প্রিয় ক্যাম্পাস এবং প্রিয় মানুষগুলোর সাথে ইফতারির আয়োজন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
যদিওবা ক্যাম্পাসের সবাই মিলে ইফতার করিনি। গুটি কয়েক জনের সঙ্গে একত্রে ইফতার করা হয়েছে। সবাই মিলে ইফতার করলে বেশি মজা পাওয়া যেত। আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
এই সার্লেক দেখলে ভালো লাগে আমার কেননা এভাবে এক হলে অনেক আনন্দ হয় দিনটা খুবই ভালো যায়। বন্ধু বান্ধব এক সাথে থাকা কতো যে আনন্দের বলে বুঝানো যাবে না।আমি এখন ফিল করতেছি।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাই। বন্ধু-বান্ধব কিংবা বড় ভাই সবাই মিলে একত্রিত একসঙ্গে ইফতার করার কিংবা যে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং তা সম্পন্ন করতে বেশ ভালো লাগে। আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাই ব্রাদারদের সঙ্গে ইফতার আয়োজনটা বেশ ভালই ছিল ভাইয়া। সকলে মিলে একত্র হয়ে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। সবাই মিলে গোল হয়ে বসে পেপার এর উপরে ইফতার গুলোকে মাখিয়ে খাবারের আয়োজন করেছেন। খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন তো। আর এই সুন্দর সময়টুকু আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন।
সবাই মিলে যখন একত্রিত করা হয় তখন এমন ভাবে কাগজ বিছিয়ে এর ওপর ইফতারি গুলা মেখে নিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে খেতে হয়। আপনার সুন্দর মতামত আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের এত সুন্দর সংঘবদ্ধ ইফতারের আয়োজন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে ।আশা করি আপনাদের একত্বতা আরো দীর্ঘদিন ভাবে থাকবে সে আশাই ব্যক্ত করলাম। দোয়া করি আপনাদের জন্য।
জি ভাই অবশ্যই দোয়া করবেন। আপনার জন্যও দোয়া এবং ভালোবাসা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ভাই সকলের সাথে ইফতার করার মজাটাই আলাদা। একসাথে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে ইফতার খাওয়ার মুহূর্তটা খুব অন্যরকম হয়। ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি খুব অসাধারণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
সকলে মিলে একত্রিত তার করলে ভ্রাতৃত্ববোধ এবং সকলের মধ্যে মিল মহব্বত বেড়ে যায়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এভাবে সবাই মিলে ইফতার করতে আসলে ভালই লাগে। আপনি আপনার ভাইদের সাথে ইফতার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগছে আপনার মুহূর্তগুলো ধন্যবাদ আপনাকে
বড় ভাই কিংবা বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করলে অনেক আনন্দ হয়। আমার আনন্দঘন মুহূর্তের পোস্টে আপনার এই মন্তব্যটি করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্যাম্পাসের ইফতারির জন্য গোল হয়ে বসার চিত্রটা অনেক সুন্দর লাগছে। রোজা শুরুর দিকে এই চিত্রটা বেশি দেখা যেত এবং রোজা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই চিত্রটা কিছুটা কমতে শুরু করেছে তার পিছনের কারণ হলো ঈদের ছুটিতে সকলেই বাড়ি চলে যাচ্ছে। তাছারা আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে ইফতারির আয়োজন আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য প্রদান করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।