পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ ( দশ শতাংশ রিওয়ার্ড বরাদ্দ থাকলো লাজুক শেয়ালের জন্য)
অতীতের স্মৃতি গুলোর মধ্যে কিছু কিছু স্মৃতি সারাজীবন মনের মধ্যে গেঁথে থাকে। বহুদিন পরেও এই স্মৃতিগুলো বারবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ হওয়ায় মোবাইল ফোন, ডিএসএলআর ক্যামেরাসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক ডিভাইসসমূহ বেশ সহজলভ্যই হয়ে গেছে। অতীতের পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো মুহূর্তেই ক্যামেরা বন্দি করে রাখা সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর কারণে।
২০১৪ সালের কথা। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। কত না সুখময় স্মৃতি কাটিয়েছি ওই সময়। বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠা, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া, সবাই মিলে একত্রে চায়ের কাপে চুমুক, বড় ভাইদের ফাপড় থেকে শুরু করে আরো কত কিছুই না জমে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতির ডায়রিতে। যদিও কখনো মুহূর্তগুলোতে ডায়েরি বন্দি করে রাখা হয়নি, তবুও স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কে ধারণ করা আছে এখনো। চোখ বুঝে কল্পনা করলে সবকিছু স্পষ্ট ভেসে ওঠে চোখের সামনে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করতে সময় লাগে ২০২০ সাল পর্যন্ত। ২০১৪-২০২০ এই ছয় বছরের কাটানো মুহূর্তগুলো এখন শুধু স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে।
বন্ধুবান্ধবরাও যে যার মত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাদের পড়াশোনা নিয়ে। কেউ আবার পড়াশোনা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করছে। ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার পর কারো সঙ্গে আর দেখা হয়নি। তবে কিছু কিছু বন্ধু বান্ধব রয়েছে, যাদের বাসা রংপুর এর মধ্যেই। মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। তবে তাদের সঙ্গে একত্রে আর ক্যাম্পাসে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।একে তো করোনা ভাইরাসের মহামারী, তার উপর আবার ক্যাম্পাসে প্রবেশের কঠোর বিধি-নিষেধ। সব মিলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও উপায় ছিল না। এর মধ্যে আবার বাবার বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে গ্রামের বাড়িতে বাবার কিছু কিছু কাজ নিজেকেই সম্পন্ন করতে হয়েছে।
সপ্তাহ খানেক হলো গ্রামের বাড়ির বাবার দায়িত্ব দেয়া সব কাজ শেষ করে আবার রংপুর চলে আসলাম। এখন অবশ্য করোনাভাইরাস এর মহামারী কমে যাওয়ায় সরকার কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আর আগের মতো আর করা অবস্থানে নেই। ক্যাম্পাসের ছাত্রদের সবাইকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমরাও রংপুরের স্থানীয় কয়েকজন বন্ধু মিলে ক্যাম্পাসে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম। পুরনো ক্যাম্পাসে পা রাখতেই কেমন জানি অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল। কতদিন পর সেই প্রাণের জায়গায় আসতে পেরেছি। সবমিলে দিনটা বেশ ভালই কেটে গেল। আজকের দিনের জন্য পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো স্মৃতি চারিত হতে লাগলো।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দিনগুলো আসলে সত্যিই খুব মধুর থাকে সবার জন্য। আপনার স্মৃতিচারণ গুলো পড়ে আমার নিজের স্মৃতিচারণ হয়ে যাচ্ছিল। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনি আপনার ক্যাম্পাস জীবনে কাটানো স্মৃতিগুলো খুব মিস করছেন। সোনালী অতীত গুলো নিজের মধ্যে ধারণ করে সামনে এগিয়ে যান। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।