শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে স্কুল কলেজ
১৮ মার্চ,২০২০ সাল। দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে লকডাউন জারি। যদিও করোনা ভাইরাসের সঙ্গে আগেই পরিচিত ছিল। কেননা এই ভাইরাস ১মে চীন দেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছিল। চারদিকে স্কুল কলেজসহ যাবতীয় সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধের হিড়িক পড়ে গেল। যে যার মত চলে গেলো গ্রামের বাড়িতে।
শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনা বাদ দিয়ে যে যার মত নিজ বাড়িতে চলে গেল। শুধু যে শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ ছিল তা নয়, বন্ধ ছিল গ্রামের স্কুল কলেজ গুলোও। সেই থেকে শিক্ষার্থীরা বাসায় দিন কাটাচ্ছে।লকডাউন এর শুরু থেকে সরকার স্কুল কলেজ খোলার জন্য বিভিন্ন তারিখ দিয়ে আসছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের এবং মৃত্যুর হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো পুনরায় চালু করতে বিলম্ব করছিল।
পরবর্তীতে ধীরে ধীরে দেশের সকল লোকজনদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্কুল কলেজ খোলার জন্য সর্বশেষ তারিখ দিয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ গতকালের দিন। যা সরকার কর্তৃক কার্যরত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এতদিন স্কুল-কলেজ না চালু থাকলেও সরকার বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছে। বিভিন্ন ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট এবং অটো পাস প্রদান করার মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার আগ্রহ ধরে রাখতে চেষ্টা চালিয়েছে।
অবশেষে গত কাল শিক্ষার্থীদের সামনে এলো বহুল প্রতীক্ষিত সেই ১২ই সেপ্টেম্বর এর দিন। প্রায় দুই বছর স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর এদিন খুলে দেওয়া হয়েছিল উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ। দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বন্ধুবান্ধব, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কারো দেখা নেই। যদিওবা ছেলেমেয়েরা মাঝে মাঝে ২-১দিন অ্যাসাইনমেন্ট নিতে প্রতিষ্ঠানে গেছিল, কিন্তু সবাই মিলে একত্রিত হওয়া হয়নি।তাই স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ উত্তেজনা কাজ করছিল। স্কুল-কলেজ বাসগুলোতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হতেই কুশল বিনিময়, আবার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কেক কেটে প্রথমদিন সেলিব্রেট করা, করোনাভাইরাস এর যাবতীয় সকল নিয়ম কানুন শেখানো ইত্যাদি কার্যক্রম প্রথম দিনে বেশ ধুমধামের সাথে পালিত হচ্ছিল। আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম দিনে শিক্ষামূলক ভিডিও দেখানো হয়েছিল।
শিক্ষার্থীদের পদচারণায় স্কুল কলেজ গুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে, ফিরে পেয়েছে সেই চিরচেনা কোলাহলপূর্ণ রূপ।১ম দিনের আমেজ দেখে মনে হচ্ছিল স্কুল কলেজ গুলো বুঝি পড়াশোনার জন্য নয়, উৎসবে মেতে ওঠার জন্য।
অবশেষে শিক্ষার দুয়ারে যেন একটু আলো জ্বেলে উঠলো।কত দিন জ্বলবে সেটা আল্লাহ জানে।খুব শীগ্রই আবার বন্ধ হয়েও যেতে পাড়ে বলা যাচ্ছে না।আল্লাহ ভরসা পরিস্থিতি ঠিক থাকলে প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
অনেক সুন্দর সময় ছিল আপনার।অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
অসম্পূর্ণ একটি পোস্ট হয়েছে। ছবিগুলির নিচে what3words লোকেশন কোড নেই।কাজ ভালোভাবে শেখার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
W3W লোকেশন কোড এর কথা সবাই বলে।কিন্তু কিভাবে এটা এড করব কেউ বলে না সেই বিষয়ে।এর আগেও কমেন্ট এ জানতে চেয়েছি। যাই হোক ভাই উপদেশ মূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
ভাই সমস্যা হচ্ছে কি জানেন। বাঙালি কষ্ট করতে জানেনা। কোন কিছু শিখতে চাই না। শেখার জন্য যে পরিশ্রম করতে হয় সেই পরিশ্রমে তাদের আগ্রহ নেই। গত কিছুদিন যাবত ডিসকর্ড চ্যানেলে বারবার করে বলে আসছি আমাদের চ্যানেলের টিউটোরিয়াল আর্কাইভে একটি পোষ্ট দেয়া আছে। যদি আপনার কাজ শেখার ন্যূনতম ইচ্ছা থাকে। তাহলে সেই পোষ্টটি ভালভাবে পড়ুন। সেখানে এই বিষয়টিও সুন্দরভাবে উল্লেখ করা আছে। বিনা পরিশ্রমে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে না।
প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায় এই কামনাই করি। আর ভাইয়া আপনি যদি লোকেশন ব্যবহার করতেন তাহলে আরো অনেক ভালো হতো। অবশ্যই পরের পোস্ট থেকে ব্যবহার শুরু করবেন।
গঠণমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মুখরিত হয়ে উঠুক আবার ক্যাম্পাসগুলো ।আবারো ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে যাক স্কুলগুলো। তাদের শিক্ষাজীবন আবারো আগের মত ফিরে আসুক। এই কামনাই করি ।ভালো লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
সকালে একবার গিয়েছিলাম আমাদের বিদ্যালয়ে। দেখে মনে হচ্ছে মৃত জায়গায় আবার প্রণের সঞ্চালন দেখে খুব ভালো লাগল।
আপনার ১ম ছবিটা দেখেই সেটা বোঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
দেখে খুবই ভালো লাগছে যে সবাই আবার নিজের মতো করে স্কুল ড্রেস পরে স্কুলে যেতে পারছে,এমনি তেই অনেক গুলো বছর আমাদের কেটে গেছে করোনা মহামারিতে,সবার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভাইয়া।বাচ্চারা এবার মুক্ত হওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে আনন্দে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
আজ স্কুল কলেজ আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে