দীর্ঘদিন পর গ্রামে যাওয়ার অনুভূতি এবং গ্রাম নিয়ে কিছু কথা
বিজয়ের মাস। দীর্ঘ নয় মাস রক্ত ক্ষয় যুদ্ধের মাধ্যমে অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বরে এসে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জিত হয়।দীর্ঘ ৯ মাসে যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে অনেক বীর বাঙালি এবং সেইসঙ্গে ইজ্জত হারিয়েছেন বহু মা জননী।তাদের প্রতি রইল আমার গভীর শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।এখন আমি আপনাদের সামনে আমার আজকের পোষ্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।
আমার এবং আমার ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার জন্য ছোটবেলা থেকেই রংপুর শহরে অবস্থান করা। বাবার পুলিশের চাকরি এবং আমাদের দুই ভাইয়ের পড়াশোনার চাপের জন্য দীর্ঘ সময়ের জন্য ছুটি না পেলে পরিবার সমেত গ্রামের বাড়িতে তেমন একটা যাওয়া হয় না। দেখা যায় কখনও আমার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলে আমার ছোট ভাইয়ের স্কুল খোলা থাকে, আবার কখনো এর বিপরীত ঘটনাও ঘটে। তাছাড়াও ছোটবেলা থেকে পরিবারের সদস্যরা কোথাও না গেলে আমি একা যাওয়ার সাহস পাইনি। সব সময় কোথাও ঘুরতে গেলে বাবা-মা কিংবা অন্য কোনো অভিভাবক এর সঙ্গে যেতাম।ফলে গ্রামের বাড়িতে ঘন ঘন যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাবে যাওয়া হয়ে ওঠে নি। কিন্তু এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি। এজন্য সিদ্ধান্ত নিলাম একা গ্রামের বাড়িতে ঘুরতে যাব। মাথায় পরিকল্পনা আসামাত্রই ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর বেলা রওনা হলাম। এবার অবশ্য আমি একাই গ্রামে এসেছি। গ্রাম প্রতিটি মানুষের শিকড়। আর এই শিকড়কে ভুলে গেলে চলবে না।
আমাদের গ্রাম আমার কাছে যথেষ্ট ভালো লাগে। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষেরই নিজ গ্রামের প্রতি ভালোলাগা এবং ভালোবাসা কাজ করে। গ্রামের বাড়ি ঘর কেমন একটা উন্নত না হলেও, গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করেছে। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। আমাদের গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। নদীকেন্দ্রিক কৃষি কাজ গুলোকেই গ্রামের লোকজন তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। তবে অনেক লোকজনই পেশা হিসেবে চাকরি এবং ব্যবসা কেও বেছে নিয়েছেন। অনেকে গ্রামের স্কুলে চাকরি করেন।আবার অনেকে চাকরি এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে শহরমুখীও হয়েছেন। আমাদের গ্রামের সব লোকজনের ধারণা শহরের স্কুল-কলেজগুলো পড়াশোনার মনের দিক দিয়ে অনেক উন্নত। এজন্য অনেক গার্হস্থ্য পরিবারের কর্তারা পড়াশুনার জন্য তাদের সন্তানদের শহরের স্কুল কলেজগুলোতে পাঠান।গ্রামের লোকজনদের মধ্যে আন্তরিকতা অনেক বেশি।ফলে যে কোন বিপদ আপদে একে অপরের পাশে দাঁড়ান।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | @abusalehnahid |
---|---|
ডিভাইস | DSLR camera |
লোকেশন | W3W |
গ্রামের সাথে শহরের মিশ্রণ দিয়া, গ্রাম ভ্রমণ বিষয়টা ভাল লেখেছেন।সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
🌹
গ্রাম আমারও অনেক ভালো লাগে। গ্রামের চারপাশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা থাকে। কিন্তু শহরে চারা কোলাহল যুক্ত ও কৃত্রিম সৌন্দর্য। তাই আমার গ্রাম একটু বেশিই ভালো লাগে। আপনার দিনটিও খুব ভালো কেটেছিল। ভাইয়া সালটা একটু দেখবেন,ভুল আগে। যাইহোক ভুল আমারও হয় ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া আপনার সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সবাইকে শেয়ার করার জন্য 😊
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার ভুলটি ধরিয়ে দেয়ার জন্য।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
রংপুর থেকে বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রামে এসে অনেক ভালো কাজ করেছেন ভাই। গ্রামে যে কি পরিমান সুখ শান্তি এবং নীরবতা যিনি বাস করেন হয়তো তিনি বলতে পারবেন। আমরা সবাই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য পছন্দ করি যা গ্রাম অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি দেখা যায় । সব মিলিয়ে আপনার বন্ধু বান্ধবদের সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য।
জী ভাই,গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ যে কাউকে মুগ্ধ করে।সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো সত্যি অনেক সুন্দর হয়। শহর থেকে ফিরে আসা প্রত্যেকটি মানুষ তার গ্রামকে অনেক মিস করে। আমি যখন লেখাপড়ার জন্য ঢাকায় অবস্থান করতাম ঠিক তখন আপনার মত আমিও ইচ্ছা করলেই গ্রামে ফিরে আসতে পারতাম না খুব কষ্ট লাগতো তখন।
জী ভাই,একদম ঠিক বলেছেন।শহরের প্রত্যেক মানুষই তার নিজ গ্রামকে মিস করে।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার গ্রাম খুব সুন্দর ! আমিও আমার গ্রামকে অনেক ভালোবাসি।মাঝে মধ্যে একটু সময় পেলে সবারই ঘুরতে মন চায়। এতে মনটা আরও ভালো হয়ে যায়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
গ্রামে বসবাস করার মজাই আলাদা। মুক্ত বাতাস বিশুদ্ধ অক্সিজেন ।নেই কোন গাড়ির আওয়াজ, নেই কোন গাড়ির ধোঁয়া। গ্রামের মানুষ একজন একজনের সাথে খুবই সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ এ আবদ্ধ ।আপনি গ্রামের খুব সুন্দর সময় পার করছেন।
জী ভাই,গ্রামের পরিবেশ অনেক সুস্বাস্থ্যকর।লোকজনের মধ্যে আন্তরিকতা বেশি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি বিজয় দিবস উপলক্ষে গ্রামে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন। আসলে প্রতিটি মানুষের কাছে গ্রামের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। আমিও গ্রামের সৌন্দর্য তা উপভোগ করতে খুবই ভালোবাসি। খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। 😍
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া, গ্রাম প্রতিটি মানুষের শিকড়।আমিও গ্রামকে খুব ভালোবাসি।আর আমাদের প্রত্যেকের গ্রামের সঙ্গে কোনো না কোনো যোগসূত্র রয়েছে।খুবই ভালো লাগলো যে আপনারা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।