বন্ধুদের সঙ্গে ভিন্নজগত ভ্রমন "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
শহর জীবনের কোলাহল, ব্যস্ততা এবং ইটপাটকেলের এই বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে মাঝে মাঝে মনে হয় দূরে কোথাও হারিয়ে যাই। হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে সহজ সরল মানুষদের মধ্যে। মনের মত সবকিছুই যেখানে থাকবে। যেখানে থাকবে না কোন বাধাধরা নিয়ম-কানুন, শাসন-বারন। সর্বত্রই শুধু বিরাজ করবে স্বাধীনতা আর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। আসলে পৃথিবীর সবকিছুই নিজের মতো করে পাওয়া যায় না। এগুলো শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। অনুকূল এবং প্রতিকূল সকল পরিস্থিতি মিলিয়েই জীবন। সময়ের ব্যবধানে সব কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। তা না হলে বাস্তব জগতে টিকে থাকা যায় না।
নিজের কল্পনায় সাজানো স্থানে কখনো যাওয়া সম্ভব না হলেও, নিজের ভাললাগার স্থানগুলোতে সময়-সুযোগ পেলেই ঘুরতে যাওয়া হয়। সাধারণত আমি বেশিরভাগ সময়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দেই। এই লকডাউনের মধ্যে দূরে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। এজন্য এখন কাছাকাছি লোকেশন গুলোতেই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া হয়। ভিন্নজগৎ আমাদের রংপুর শহর থেকে খুব একটা দূরে নয়। আমার আজকের ভ্রমণের স্থানটি ছিল ভিন্ন জগৎ ই। ছোটবেলা থেকে যে কতবার এখানে গিয়েছি তার কোনো হিসাব নেই। তবুও মাঝে মাঝে সময়-সুযোগ পেলেই ওখানে ঘুরতে যাই।নিজের মনের খোরাক মেটানোর জন্য।
ভিন্নজগৎ রংপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে। আমরা মোট চারজন বন্ধু-বান্ধব মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল অনিক, মাইশা এবং রাকিব। প্রত্যেককেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডিপার্টমেন্ট এর বন্ধু। রংপুর থেকে আমরা রওনা হলাম ঠিক এগারোটার দিকে। যেতে সময় লাগলো এক ঘন্টা। প্রথমে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলাম। এরপর বন্ধুবান্ধবরা মিলে সেখানে ঘোরাঘুরি করে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেলাম। এটি মূলত একটি পিকনিক স্পট।প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এখানে ঘুরতে আসে। আপনারা হয়তো এখানে অনেকেই ঘুরতে এসেছেন। শীত মৌসুমে সাধারণত শিক্ষা সফরের জন্য পারফেক্ট সময় হলেও এখন লকডাউন চলছে।যার ফলে এখানে ভিড়ও পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় অনেক কম। এজন্য বেশ ভালোভাবেই বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দিন টা উপভোগ করতে পারলাম। অনেক শপিং মল কটেজ এবং দোকানপাট বন্ধ ছিল। তবুও নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগলো। আজকে শুধু বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্ত উপভোগের ঘটনাটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম। সেখানে কি অবশ্য আমার ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছি। সেগুলো পরবর্তী সময়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
তবে ছোটবেলায় বিভিন্ন পিকনিক স্পটগুলোতে গিয়ে যে রকম মজা পেতাম এখন আর তেমন ভাল লাগেনা।আসলেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনোদনগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। ছোট বাচ্চাদের বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যম যেমন নাগরদোলা,চরকি ও অন্যান্য খেলনা গুলো দেখে আর সেগুলোতে ওঠার জন্য জিদ করি না।
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A-12 |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
বন্ধুদের সাথে ভিন্নজগৎ ভ্রমণের সময় টুকু উপরে অনেক ভালো লাগলো । আপনি বন্ধুদের সাথে মধুর একটি সময় কাটিয়েছেন । যেটা সব সময় আসে না হঠাৎ করেই কোন একদিন চলে আসি । বন্ধুদের সাথে এত সুন্দর সময় গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । তাছাড়া আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আমার সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
বন্ধুদের সাথে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। যে কোনো যায়গায় বন্ধুদের সাথে গেলে অনেক মজা করা যায়। দিন টাই অন্য রকম ফুর্তিতে কাটে। আমারো বন্ধুদের সাথে ঘুরেবেড়াতে অনেক ভালো লাগে। অনেক মজার একটি দিন কাটিয়েছেন বন্ধুরা মিলে। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাই।
বেশ ভালো একটি ব্যাপার।
ভিন্নজগৎ সেই কবে স্কুল থেকে পিকনিকে গিয়েছিলাম। আজ অনেকদিন পর ভিন্নজগতের ভিতরের পরিবেশ টা দেখলাম বেশ পরিবর্তন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে ব্লগটি সাজিয়েছেন।
আমার ব্লগ টি করে আপনার ভালো লেগেছে এবং এই ব্লগের মাধ্যমে ভিন্নজগতের ভেতরের পরিবেশটি দেখতে পেরেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভিন্নজগৎ আমি অনেকবার গিয়েছি। আমার কাছে জায়গাটি বেশ ভাল লেগেছে। খোলামেলা পরিবেশ, পরিবার নিয়ে ঘুরাঘুরি করার মত অনেক ভাল একটি জায়গা। শুভকামনা আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাই।